আজ আবারো চলে এলাম তোমাদের গল্প শোনাতে। আজকে যার গল্প শোনাবো তারনাম টিনটিন। আজ থেকে ঠিক বছর খানেক আগেই বেলঘরিয়ার এপ্রিলের ১৫ তারিখ ২০১৯ সালের জন্ম হয় টিনটিন নামের এক আদুরে রাজপুত্রের। হ্যাঁ ঠিক শুনেছেন রাজপুত্র। তার দাপট, চাল চলন সবেতেই একটা নবাবিয়ানা ভাব থাকলেও সে কিন্তু বাস্তবে খুব শান্ত স্বভাবের। খেলা,দুষ্টুমি,খাওয়াদাওয়া সবেটেই পটু আমাদের ছোটো টিনটিন সোনা।
ছবিতে - টিনটিন ও তার মা
এটা টিনটিনের জন্মদিনের উৎযাপনের ছবি।
টিনটিন সোনা তার মা sudeshna কে খুব ভালোবাসে। টিনটিনের মা হলো টিনটিনের মন খারাপের সাথী। আর পাঁচটা বিড়ালের মতোন, টিনটিন খিদে পেলে কিন্তু আগেভাগে খাবারে মুখ দিয়ে দেয়না..সে তার মায়ের কাছে যায় এবং কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে ডাকতে থাকে।
এই রাজপুত্রের ডাক শুনে তার মা সহজেই বুঝে ফেলে বাবুর খিদে পেয়েছে।
এটাই মোক্ষম সুযোগ।
এখন যদি না খাওয়ানো যায় তাহলে পরে অনেক সাধ্যসাধনা করতে হয় গো বাপু।
টিনটিন একটু হলেও বুঝতেবপারে তার মায়ের চোখের ভাষা..সে পড়তে পারে তার মা কি বলতে চাইছে..যদি কোনো কারণে টিনটিনকে তার মা বোকা দিয়েছে..ব্যস তাহলে তো আর কথাই নেইগো..বাবু নিমেষে রাগ ও অভিমান করে করে ফেলে। তবে যেই টিনটিনের মা..টিনটিনকে কোলে তুলে আদর করে..তখন সব রাগ,অভিমান গোলে জল হয়ে মাটিতে মিশে যায়।
টিনটিনের মা শুধু যে টিনটিনের মা..এমন টা নয়..তার আরও একজন সন্তান আছে..
টিনটিনের মা দুইজনকেই ভালোবাসে। তবে গোপনে।
কারণ টিনটিন যদি বুঝতে পারে যে তার মা তাকে ছেড়ে অন্যজনকে আদর করছে তবে টিনটিন অন্যজনকে তো বকবেই সাথে মায়ের উপর রাগ করবে।
টিনটিন এই বন্দুকটাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে খুব ভালোবাসে।
ছবি - Sudeshna Dey
মায়ের কিন্তু সবথেকে বাধ্য ছেলে টিনটিন। সে যথেষ্ট বুদ্ধিমান ও শান্ত। টিনটিনের সময়ের বেশ জ্ঞান আছে। এই ধরুন ওর খেলার সময়ে যদি ওকে আপনি ঘুম পাড়াতে যান, তাহলে ওহ কিছুতেই ঘুমোবেনা। টিনটিনের খাওয়া হয়ে গেলে ওর মনোভাব দেখে তার মা বুঝে যায় যে..টিনটিনের এবার ঘুমানোর সময় হয়ে এসেছে..ওকে এখন আলমারির উপরে তুলে দিতে হবে।
তো বন্ধুরা এই হচ্ছে আমাদের টিনটিন। তোমরা ওকে আর ওর মা'কে আশীর্বাদ করো যেন তারা সারাজীবন এইভাবে সুখে থাকতে পারে।
আমাদের পেজথেকে টিনটিন ও টিনটিনের মায়ের প্রতি ভালোবাসা রইলো।