উপস্থাপনায়- Silient Talks Of Midnight Animals
পুকুসোনা
- Madhukrishna Dhar
বিড়াল এমন এক প্রাণী যাকে যতোই আদর করা হোকনা কেন মনটা ঠিক ভরেনা। সামান্য একটু আদর করলেই ওরা নিমেষে বন্ধু হয়ে যেতে পারে। আজ আমি আপনাদের এমনি এক খুদে বন্ধুর সঙ্গে পরিচয় করাবো। যার নাম পুকু।
ছবি - পুকু ও তার মা
এই পুঁচকে পুকু 04/03/2016 তারিখে হাওড়ার কোনো এক যায়গায় জন্মেছিলো। ছবিতে যেই দিদিকে দেখছেন তার নাম Madhukrishna দিদি। তার কাছেই মানুষ হয়েছে আমাদের এই প্রিয় পুকু সোনা।
ছবিতে- পুকু ও তার মা
সারাদিন দুষ্টুমি করলেও পুকু কিন্তু তার মা'কে প্রচন্ড ভালোবাসে। মায়ের সাথে খেলা করা ওহ মায়ের কোলে মাথা দিয়ে ঘুমানো পুকুর রোজকার অভ্যাস। বিড়াল কুকুরের ভাষা আমরা কেউ বুঝতে পারিনা এটা ঠিকই। তবে ওদের কে যারা নিজের মনঃসংযোগ এক করে বোঝার চেষ্টা করে, ওদেরকে ভালোবেসে আপন করে নিজের কাছে টেনে নেয় তারা যতোই ওদের ভাষা বুঝতে না পারুক তবে ওদের ইচ্ছা, ওরা কি বলতে চাইছে একটু হলেও সে উপলব্ধি করতে পারবে। আমাদের এই পুকু সোনার দেহর ভাষা ( Body Language ) ও গতিবিধি এবং এতো ছোটো থেকে একটা বিড়ালসোনাকে বড়ো করে তোলার অভীজ্ঞতা মারফৎ পুকু কি চায়..কোনটা তার ভালো লাগছে কিংবা কোনটা তার কাছে কটু লাগছে সেটি বুঝে যায়। পুকুরা একভাই,দুইবোন। পুকুর একটা বোন আছে। কিন্তু ওর যে ভাই ছিলো সে আছে " না ফেরার কোনো এক দেশে "
আমাদের প্রিয় পুকুসোনা।
পুকুর প্রিয় খাবার বিড়ালদের ড্রাই ফুড। তবে পুকু কিন্তু মাঝেমধ্যে রাগ করে। যখন রেগে যায় তখন তাকে সামলানো খুব মুস্কিল। তখন কোনো সময় পুকুর মা..তার মেয়েকে আদর করে কিংবা
তার মেয়ের কাছে ক্ষমা চায় কিংবা জোড় করে কোলে নিয়ে পুকুকে একটু বেশীক্ষণ আদর দিতে হয়।
তারপর আর কি..পুকু তার ছোটো ছোটো হাত দিয়ে তার মা'কে অভিমান করে আলতো করে মারে..তারপর যখন রাগ কমে যায় তখন আবার আদর করে দেয়।
এটাই ছিলো আমাদের প্রিয় পুকু সোনার গল্প।