Street dog
জুলাই ৩০, ২০২০
ফের অবলা রাস্তার কুকুর হলো ধর্ষণের স্বীকার।
ফের এক যৌন নির্যাতন ঘটনা সামনে এলো, মহারাষ্টের থানেতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে এই ক্ষেত্রে নির্যাতনের ব্যাপার-টি একটু পৃথক। এখানে নির্যাতিত একটা রাস্তার অবলা মেয়ে কুকুর।
ইউটিউব ও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি সর্বপ্রথম নজরে আসে সেখানকার পথ কুকুরদের খাওয়ার দিতে যাওয়া একদল পশুপ্রেমীদের। সাম্প্রতিক এক ১৫ বছরের কিশোর ও তার বন্ধুরা মিলে একটি ছোটো বিড়াল ছানাকে ধর্ষণ চালায় বিগত এক সপ্তাহ বাবদ। এই ঘটনাটা জানাজানি হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া নড়েচড়ে বসে। ওই ঘটনার পর বিড়ালছানাটি মারা যায়।
এইবার ও ঠিক এমন এক অত্যাচারের ঘটনার সন্ধান পাওয়া গেলো..মহারাষ্টের থানেতে। একজন ৪০ বছর বয়স্ক লোক একটি মেয়ে রাস্তার কুকুরের উপর অত্যাচার চালাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লো তাও আবার পশুপ্রেমীদের হাতে।
লকডাউন চলাকালীন সময় থেকেই বিভিন্ন পশুপ্রেমীরা রাস্তার পোষ্যদের খাওয়া ও ট্রিটমেন্ট চালু করার কাজ শুরু করে দেয়, যাতে অবলাদের কোনোরকম অসুবিধার সম্মুখীন নাহতে হয়।
ঘটনার দিন বিকেলে ওখানকার পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা আশেপাশের স্থানীয় এলাকার কুকুরদের খাওয়ানোর কাজ করছিলো। খাবার পরিবেশনকরতে গিয়ে তারা যখন ঘটনার স্থলে হাজির হয় তখন একটি ফুট ব্রিজের নীচে একটা কুকুরের তীব্র আর্তনাদ শুনতে পায়। চিৎকার শুনে যখন তারা এগিয়ে যায় সেখানে তখন তাদের সামনে পুরো ঘটনাটা সচক্ষে ধরা পড়ে। এরপরেই ধরা পড়ে যাওয়া ও চক্ষু লজ্জার খাতিরে সেই লোকটি ওখান থেকে পালানোর চেষ্টা করলেও তিনি পশুপ্রেমী সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন।
এরপরে সেই পশুপ্রেমী সংস্থা থানায় যোগাযোগ করে, প্রথমে পুলিশ বিষয়টি আমলে না নেওয়ায় পরে যখন পুলিশের উপর মহলে যোগাযোগ করা হয় তখন স্থানীয় পুলিশ তাদের পাওয়া নির্দেশ মতোন কাজ করে।
ওই লোকটি নিজে তার অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি প্রয়োজনীয় তথ্য ও বয়ানের উপর ভিত্তি করে তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন।
লোকটির ওখানকার স্থানীয় বাসিন্দা। রোজগার বলতে তার বিভিন্ন দিনমজুরির কাজ।
এই মানুষরা ফের সমাজের চোখে আঙুল তুলে তাদের নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে তাইনয় সাথে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, " আজকাল নারীদের সাথে পশুরাও রক্ষা পাবেনা এই পশুরপী মুখোশধারী মানুষদের থেকে "
ও তো একটা অবলাপ্রাণী..ঠিকভুল কোনোটাতেই সে ঠিকমতো অবগত নয়।। ওরাতো এটাও বোঝেনা যে, মানুষ যেমন কারুর থেকে আঘাত পেলে তার উপর অভিমান করে..ওরা কিন্তু সেটা বোঝেনা এজন্য হাজার অপমান সত্ত্বেও যেই লোকটি কিছুক্ষণ আগে যে অবলা পোষ্যটিকে তাড়িয়ে দিলো, কিংবা মারলো,কিংবা পোষ্যটিকে তাড়িয়ে দিলো তাদের উপর অভিমান করত্র হয়..না ব্যাপার-টা ঠিক সেইরকম নয়।। যেই ব্যাক্তিটি পাঁচ মিনিট আগে ওদের আঘাত করলো/মারলো/জল ছিটিয়ে তাড়িয়ে দিলো সেই যদি পাঁচ মিনিট পর ওদের সামনে গিয়ে একটা বিস্কুটের টুকরো তুলে ধরে..ওরা কিন্তু সব মান অভিমান দূরে রেখে সেই লোকটির সামনে আনান্দের সহিত এসে হাজির হয়ে যায়।
এভাবে আর কত অবলা পোষ্যরা যে দোষ না করা সত্ত্বেও অত্যাচারিত হবে আর সবথেকে বড়োকথা আগামী পরিস্থিতিতে অবলা প্রাণীরা আদেও সুরক্ষিত তো.....
প্রশ্ন কিন্তু একটা থেকেই যায়❓
সুত্র - ইউটিউব, কিছু ফেসবুক পোস্ট, নিউজ পেজ।
আমাদের নিজস্ব তোলা এই ছবিটি পোস্টের স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে।