Kolkata Midnight Talk

প্রতিদিন আমাদের সাথে অসংখ্য ঘটনা ঘটে। সেই সকল ঘটনা যেগুলো আমরা কেউ শেয়ার করার মতোন কাউকে পাইনা, আমাদের ব্লগে সেই সকল অজানা গল্প, অবলা পোষ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন লেখা ছাড়াও কিছু লেখকের ভূত ও ভালোবাসার গল্প পাবেন। আশা রাখছি আমাদের পাশে আপনাদের মতোন বন্ধুদেরকে সবসময় পাবো।

LightBlog

Breaking

সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০২০

আগস্ট ৩১, ২০২০

।।সাবধান..কুকুরের ঘা ঠিক করতে ফিনাইল ব্যবহার বন্ধ করুন, এটি কুকুরের প্রাণ পর্যন্ত নিতে পারে।।

কাকু - তোরা বেকার বেকার এতোসব ওষুধপত্র কিনে পয়সা খরচ করছিস....কোনো মানে হয় এসবের।

 কেন?
আমারা আমাদের মতোন ওকে সুস্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছি। কারুর তো এতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।।

কাকু - আরে তোরা তো ভালো কাজ করছিস..তাতে সেটি নিয়ে আমার কেন কারুর অভিযোগ নেই, কিন্তু পাড়ার সকলের কাছ থেম
কে বেকার এতো টাকার চাঁদা তুলে ওষুধ ও চিকিৎসার পেছনে খরচ করে একটা বৃদ্ধ ঘা ওয়ালা কুকুরকে সুস্থ করার  জন্য....বৃথা চেষ্টা করছিস।
দুইদিন পরে তো মরেই যাবে..

 - বাহহ রে..
ও মারা যাবে বলে ওর অসুস্থতা দেখেও চুপ করে থাকবো?

কাকু - ওইদেখো আরে আমি কি একবারও সেটা বলেছি নাকি....ওর পেছনে তোরা বেকার টাকাপয়সা খরচ করছিস..আমার পাল্লায় পড়লে আমি বেশীনা ফিনাইল দিয়েই ওর ঘা সারিয়ে তুলতাম।

 - আপনি কি নিজের শরীরে কেটে গেলে কিংবা চোট পেলে সেখানে ফিনাইল ব্যবহার করেন??

কাকু - আরে বোকা..কেউ কি নিজের গায়ের ক্ষতস্থানে ফিনাইল দেয় নাকি..

 - তাহলে ওদের গায়ের ঘায়ের সময় ফিনাইল ব্যবহার করার কথা বলছেন কেন? 
(একটু উচ্চস্বরেই কথাগুলো বলা) 

কাকু - (এদিক-ওদিক তাকিয়ে)
আরে রাগ করছিস কেন..তোদের টাকা পয়সা বাচানোর জন্যই বলছিলাম আর কি....
ছাড় বাদ দে, মানুষের ভালো করতে নেই।

এরপর কাকু সোজা সেখান দিয়ে নিজের গন্তব্য যেতে লাগলো..যাওয়ার সময় একবারও পেছনের দিকে তাকায় পর্যন্ত নিই।।

© - M.B
ছবি - নিজস্ব

একটি বিশেষ আবেদন যদি এই বর্ষাকালে ঘা হয়েছে এমন কোনো কুকুর আপনার নজরে আসে..তবে সেই ঘা ছোটো থাকতেই ঠিক করে ফেলার চেষ্টা করুন....আর ওই ঘা ঠিক করতে ফিনাইল ব্যবহার একদম করবেন না...
ফিনাইল কুকুরের টিস্যু গুলোকে নাশ করে দেয়। এছাড়া এই ফিনাইল যদি কোনোক্রমে রক্ত ধারার সাথে গিয়ে মেশে তবে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।
ঘা অল্প থাকতে থাকতে সারিয়ে তুলুন, নাহলে মাথায় কিংবা বুকে পিঠে ঘা হলে সেটি বড়ো হতে হতে....এমন একটা অবস্থায় চলে আসবে তখন আর কিছু করার থাকবেনা। 

এইরকম অবস্থায় বিভিন্ন পশু চিকিৎসকের পরামর্শ কিংবা অভিজ্ঞ কারুর সহায়তা নিতে পারেন..তাদের কথামতো  ভেটেরিনারি মেডিসিন (Veterinary Medicine ) কিংবা স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। অনেক ধরণেরই স্প্রে আছে যেগুলো ঘা শুকানোর ক্ষেত্রে বিশেষ উপযোগী এবং সকলের সাধ্যের মধ্যে। 

তাই পরেরবার থেকে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন।। 

আর হ্যাঁ আলোচ্যে লেখাটি যেই কাকুটি কে নিয়ে সেটি একেবারে কাকতালীয়....যদি কারুর সাথে মিল পেয়ে যাও তো অবশ্যই কমেন্ট করো। আজকাল কার সমাজে এই ধরণের অনেক অভিজ্ঞ লোক দেখতে পাওয়া যায়, যারা কিনা সকল বিষয়ে মেধা তালিকায় নিজেকে শীর্ষে রাখতে ভালোবাসেন। এদের থেকেও দুরত্ব বজায় রাখুন। যদি আগে কেউ কোনোদিন এইরকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়ে থাকো তো অবশ্যই জানিও।

 আর হ্যাঁ..কোনো কুকুর ও বিড়ালদের রোগবালাই নিয়ে কিছু জানার থাকলে
kolkata street dog কে follow করো। আমি নিজে ব্যাক্তিগত ভাবে এই গ্রুপটিকে follow করি।

লাইক,শেয়ারের দরকার নেই, পোস্টটা মন দিয়ে পড়ো..তাহলেই হবে।

শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০২০

আগস্ট ২১, ২০২০

2.05 এর বজবজ-নৈহাটি লোকালের অজানা গল্প

ছবি - সংগৃহীত 
২.৪০ এর আপ বজবজ-নৈহাটি লোকাল ধরে আসছি। খড়দা থেকে ৩.৩০ এর ট্রেনে উঠেছিলাম। তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে। 
এখন লকডাউনের জন্য ট্রেন বন্ধ আছে, এই ঘটনাটা অনেক দিন আগের..

(কেউ আগে যদি এইরকম বিনা টিকিটে যাত্রার সময় চেকারের কাছে ধরা পড়ে ফাইন গুনেছো তাহলে কমেন্ট করো)  

 সেইদিন এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে আপ রাণাঘাট লোকাল আগে আসা সত্ত্বেও আমি ওর পেছনেই থাকা আপ নৈহাটি লোকাল-টার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এই দুটো ট্রেনের মধ্যে বিশাল রেষারেষি হয়। আর আমি নৈহাটি লোকাল-টা ধরি ফাঁকায় ফাঁকায় আসার জন্য। 

তো খড়দা থেকে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আসছিলাম। পেছনে দুইজন অজানা দাদা ছিলো, ওদের সাথে গল্প করছিলাম..টিটাগড় থেকে একটা দাদা ও দিদি ট্রেনে উঠলো।।ওরা ব্যারাকপুর নামবে। দেখেই বুঝতে পারলাম ওরা প্রেমিক-প্রেমিকা। তো ট্রেন ধীরে ধীরে ব্যারাকপুরে ঢুকছে, এদিকে ১ নম্বরে রাণাঘাট আর এদিকে ৩ নম্বরে আমাদের ট্রেন সেই রেস আর কি....তো ব্যারাকপুর আসা মাত্র আমি ট্রেন থেকে নেমে যথারীতি ট্রেনের দরজার হাতল-টা ধরে দাঁড়িয়ে সামনের দিকে ছিলাম। 

আর ওদিকে ওই ছেলে আর মেয়েটা ট্রেন থেকে সবে নামবে.. ছেলেটা নেমে গেছে..আর দুইজন ভদ্রলোক আর একজন ভদ্রমহিলা ট্রেনে উঠলেন আর ওই মেয়েটা যখন ট্রেন থেকে নামতে যাবে তখনি তার রাস্তা আটকে টিকিট চাইলেন এদিকে আমি সামনের দিকে তাকিয়ে থাকা পথিক আকাশ পাতাল ভেবে যাচ্ছিলাম সিগন্যালের দিকে তাকিয়ে ছিলাম..কখন ট্রেন ছাড়বে..যেইনা ট্রেন হর্ণ দিলো ওমনি উপরে উঠে পড়লাম..পেছনের দিকে তাকিয়ে দেখি গেটে যেকটা ঝুলছিলো সবকটা হাওয়া হয়ে গেছে আমি বাদে..

আর এদিকে পাশ ফিরে দেখি ট্রেনে চেকার উঠেছে..সত্যি বলতে সেইদিন আমি টিকিট কেটে উঠিনি, ওইদিকে মেয়েটার কাছে টিকিট চাওয়া মাত্রই মেয়েটা বলে, স্যার আমি এইমাত্র উঠলাম..ট্রেন ততক্ষণে আস্তে আস্তে করে তার নিজের গতি বাড়াচ্ছে আরকি..তো মেয়েটা কিছু না ভেবে তার বয়ফ্রেন্ডকে বলে দেয়, তুমি আমাদের দুইজনের টিকিট কেটে পরের ট্রেনে আসো।

মেয়ে - স্যার আমাকে ছেড়ে দিন, ওহহ(বয়ফ্রেন্ড) পরের ট্রেনেই টিকিট নিয়ে আসছে।

চেকার - কোনো কথা শুনবো না, ২৬০ টাকা ফাইন দিন..নাহলে চলুন নৈহাটি জি.আর.পি অফিস, যা বলার ওখানে গিয়ে বলবেন।

মেয়েটা ভয়ে আর লজ্জায় ওর মানিব্যাগ থেকে ২০০/- টাকা দেবেনা দেবেনা করেও দিয়ে দিলো।। আর এদিকে আমার অবস্থা সে যে কি বলবো..যে এইরকম অবস্থায় পড়েছে সেই জানে।
আমি বাইরের দিকে মুখ করে তাকিয়ে আছি..আর যাই হয়ে যাক ভেতরে আমার সামনেই টিটি দাঁড়িয়ে আছে।

আমি এতোটাই ভুল করেছিলাম সেদিন যে..ব্যাগের মধ্যে আইকার্ড টাও রাখিনি।

ওই মেয়েটা তখন আমাকে বলছে..ভাই একটু সরতো আমি পলতা নামবো..আমার গা-হাতপা কাঁপছে কেমন..

আমি সহানুভূতি দেখিয়ে বললাম - আইকার্ড-টা রাখোনি ব্যাগে?আমিও তো টিকিট কাটিনি, (সেইসময় চেকার-টা আমার দিকে একবার ঘুরে তাকালো) তবে আইকার্ড রোজ আমার ব্যাগেই থাকে।

মেয়েটা বললো - আইকার্ড রোজ থাকে আমার সাথে শুধু আজকেই আনিনি।

আমি হিতে বিপরীত হবে ভেবে আর কথা না বাড়িয়ে দরজার বাইরে তাকালাম।

যাইহোক পলতা স্টেশন আসতেই ওই বগির এক প্যাসেঞ্জার আমি যেই গেটে দাঁড়িয়ে ছিলাম ওখান থেকে হন্তদন্ত করে নামতে যাবে, ঠিক তাকেও চেকার-টা ধরে এবং টিকিট দেখতে বলে..ভদ্রলোক এতো চালাক ছিলো তার মানিব্যাগ ভরতি এতো রেলের টিকিট ছিলো সেইগুলো টিটির সামনে একটা একটা করে আঙুল দিয়ে তুলে...ওই ব্যাগের ভেতর টিকিট খুঁজতে খুঁজতে বার বার বলছে...এইতো টিকিট, আরে এইতো টিকিট।
এদিকে ট্রেনের হর্ণ দিয়ে দিয়েছে..সুযোগ বুঝে চেকার-কে ঠ্যালা দিয়ে..লোকটা দৌঁড় দিলো..সে যে কি দৌঁড়।
চেকার-টার সামনে তখন অন্য একজোড়া প্রেমিক-প্রেমিকা দাঁড়িয়ে ছিলো। এই দৃশ্য দেখে প্রেমিক ওই চেকার-কে বললো - যা ধরতে পারলেন না। এদিকে চেকার যখন ট্রেনে উঠেছিলো তখন ওই প্রেমিক ও প্রেমিকা কলেজের আইকার্ড বের করে গলায় ঝুলিয়ে নিয়েছিলো।
চেকার কিছু না বলে ভেতরে চলে গেলো। 

চেকার দের মধ্যে একজন মেয়ে চেকার তখন অন্য এক বিনা টিকিটের যাত্রী কে ধরেছে..ওই যাত্রীটির মাসিক মান্থলি কাটা থাকে। কিন্তু তার বৈধতা আগের দিন-ই শেষ হয়ে গেছে, কি দুঃখ জনক ঘটনা।

ওই যাত্রীর কাছ থেকে যখন ফাইন আদায় করে নিয়ে ওই মহিলা চেকার-টা চলে যাবে ঠিক সেইসময় ওই যাত্রী সেই চেকারের আইকার্ডের ছবি তুলে নেয় নিজের মোবাইলে।।ব্যাস তুমুল ঝামেলা..শেষে তো ওই চেকার ওই যাত্রীটির মোবাইল কেড়ে নেয়, এবং বলে নৈহাটি জি.আর.পি অফিস থেকে নিয়ে নিতে।

অন্যদিকে ওই যাত্রী ও বলে উঠে মোবাইল নিয়ে গেলে..খুব খারাপ হয়ে যাবে।। আবোলতাবোল আরও কত কি!!

ওইদিন যে কিভাবে বেঁচে গেছিলাম সেটা আমিই জানি (ঘটনার কথক)

এখানে একটা জিনিস খুব খারাপের সেটি হলো....চেকার যখন ধরলো ওই মেয়েটিকে তখন তার বয়ফ্রেন্ড চাহিলেই ট্রেনে উঠে মেয়েটাকে সেইসময় সাহায্য করতে পারতো....
কিন্তু বিপদের দিনে যে ছেলে একটা মেয়ের পাশে থাকেনা, সেকিভাবে একটা মেয়ের সারাজীবনের দায়িত্ব নেবে?
মেয়েটা যে কি সাংঘাতিক ভাবে ভয় পেয়ে গেছিলো সেটা ওই মেয়েটা আর তার আশেপাশের মানুষেরাই জানেন। অবাক করার মতোন একটা বিষয় এই যে ওই ছেলেটা, তার প্রেমিকা-কে যদি বিয়েও করে পরবর্তীতে, এরপর মেয়েটার যদি পরে কোনো বিপদ আপদ হয় ছেলেটা তখন কি পদক্ষেপ নেবে....

প্রশ্ন একটা থেকেই যায়❓
ইতি
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

এখানে বিনা টিকিটে যাত্রা করা যেমন অপরাধ সেইরকমি বিপদের সময় নিজের সাথীকে একা ফেলে পালিয়ে যাওয়া টাও একটা দায়িত্বহীনতা ও কাপুরুষের পরিচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।।

সর্বশেষে টিকিট না কেটে ট্রেনেউঠে কোনো বীরত্বেরকথা নয়, আজ নাহলে কাল আপনি একবার না একবার ধরা পড়বেন-ই পড়বেন।
সামান্য ৫-১০ টাকার টিকিটের জন্য যখন মোটা অঙ্কের ফাইন দিতে হবে তখন সেটা কি ভালো দেখা.. এছাড়া যখন সকল প্যাসেঞ্জারের সামনে আপনার থেকে চেকার ফাইন করবে তখন আপনার সম্মান-টা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ? 

কেমন লাগলো আমাদের এই পেজের এক বন্ধুর অভিজ্ঞতা সেটা আপনারা জানাতে ভুলবেন না। আর আপনাদের কাছে যদি এইরকম কোনো অজানা স্বীকারোক্তি থেকে থাকে যেটা আপনারা কাউকে বলতে পারছেন না তবে আমাদের পেজের  ইনবক্সে মেসেজ করে জানাতে পারেন।

বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০২০

আগস্ট ১৯, ২০২০

নিজের লাভের অঙ্কটি নয়, বরং একটি জীবের প্রাণ টাই তার কাছে অনেক বড়ো।।

এনিই সেই ইছাপুরের সেই ওষুধের দোকানের মালিক।
আমাদের চারিপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা সামাজিক মাধ্যমে বিশেষ বিখ্যাত না হলেও তাদের উদারতা ও দয়ালু মনের জন্য সবার মনে যায়গা করে নেয় অতি সহজেই। 

২২ শে মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে..এই লকডাউনে একদিকে যেমন অনেক মানুষ চাকরি হারিয়েছে ঠিক অন্যদিকে সবজি বাজারের জিনিসপত্রের গায়ে হাত দিলেই ছ্যাঁকা খাচ্ছে অনেক বাঙালি। 

এখন সকলেই চিন্তিত পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে, তবে এই যে ভদ্রলোকটির কথা জানতে চলেছেন আপনারা, এনিও কিন্তু আমার আর আপনার মতোন সাধারণ মানুষ তবে তিনি তার কাজের জন্য মন জিতেছেন পশুপ্রেমীদের।


হ্যাঁ ঠিক শুনেছেন,

এই ভদ্রলোকের কথা মনে আছে নিশ্চয়??মনে না থাকার-ই কথা।
এই ভদ্রলোককে অনেকেই চেনেন না। আসুন পরিচয় করানো যাক। এনি হলেন জয়গুরু ফার্মেসী নামের একটি ওষুধের দোকান টির মালিক। ইছাপুর বিধানপল্লী হাইস্কুলের কাছাকাছি এনার ওষুধের দোকান। 
বিগত লকডাউন চলাকালীন "ichapur animal lovers" গ্রুপের টিম মেম্বার-রা যখন ওনার দোকানের কাছাকাছি কিছু রাস্তার পোষ্য কুকুরের ট্রিটমেন্ট করছিলো তখন উনি নিজে "ichapur animal lovers" গ্রুপের টিম মেম্বার-দের সম্পুর্ণ বিনা পয়সায় চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান করেছে। ওষুধ,ইঞ্জেকশন, ব্যান্ডেজ আরও অনেক কিছু।

লকডাউনের মতোন সময়ে যেখানে কিছু লোক জিনিষপত্র চরাদামে বিক্রি করেছে, যেখানে আজকালকার সময়ে কেউ কেউ ফ্রী-তে পাওয়া কোনো জিনিস ও দিতে ও ছাড়তে চায়না..সেখানে এই ভদ্রলোক রাস্তার অবলা পোষ্যরা যাতে সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকে  সেজন্য মনুষ্যত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এনাকে দেওয়ার মতোন কোনো প্রশংসাতুল্য বাক্য না থাকলেও, এনার কাজ যথেষ্ট প্রশংসনীয়। 

অবলা পশুদের জন্য এনি যেইভাবে এগিয়ে এসেছেন, সেইরকম ভাবে যদি আরও অনেক সহোযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তবে আর যাই হোক অনেক অবলাজাতি প্রাণ ফিরে পাবে।

তথ্যসূত্র - ফেসবুক পেজ  Together Forever For Voiceless

শনিবার, ১ আগস্ট, ২০২০

আগস্ট ০১, ২০২০

স্যালুট সেইসব হিরোদের। যারা এই লকডাউনের শুরু থেকে এখনো অবধি অবলা প্রাণীদের সুস্থতার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।।

রাত কিংবা দুপুর..
বৃষ্টি হোক কিংবা রোদ।। সেইসব হিরোরা কোনোকিছুকেই তোয়াক্কা করেনা, লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে এখনো অবধি এরা এই অবলাপ্রাণী গুলোর সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

কিছু কিছু NGO রা আবার একটা ফোন পেলেই হয়েছে....
গভীর রাতেও নিজের ঘুম ত্যাগ করে চিকিৎসা করতে বেড়িয়ে পড়ে শুধুমাত্র এই প্রাণী গুলির সুস্থতার জন্য।

আবার কিছু কিছু পশুপ্রেমীরা এদের জন্য অনেক কিছু করেও তারা সমাজের আড়ালে থেকে যায়, যাদেরকে এইরকম মানবিক কাজের জন্য আমরা কৃতজ্ঞতাও জানাতে পারিনা।

শুধু কি চিকিৎসা??
না না..তাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় খাওয়ার তৈরি করা ও সেই খাবার এই অবলা প্রাণীদের পরিবেশন করা...
কেউ কেউ নিজের এলাকার কুকুরদের জন্য কেউবা যেসব স্থানে ওদের খাওয়ার পৌঁছানো অসম্ভব সেইসব স্থানে।।

কেউ দিনে ১০ জন কুকুরকে তো কেউ ১০০ জন। সংখ্যাটা কোনো ব্যাপার নয়..ব্যাপার-টা হলো ভালোবাসার। এই অবলাদের নিঃস্বার্থভাবে  ভালোবেসে তাদের সুস্থতা ও খুশির জন্য এইসকল হিরোরা বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এইসকল হিরোদের মন ও প্রাণ থেকে স্যালুট জানাই।

ছবি - নিজস্ব 

অঙ্কিতা দিদি ও দিদির ছানাপোনা

বন্ধুরা সবাই কেমন আছো? অনেকদিন পর আবারো একটা গল্প নিয়ে চলে এলাম।  যেই গল্পের মুখ্য চরিত্র কাজল, আলু আর মায়াকে নিয়ে। অঙ্কিতা দিই হচ্ছে এই বাচ...