ছবি ও তথ্যসূত্র - Anuradha Patel
উপস্থাপনায় - Silient Talks Of Midnight Animals
হেই বন্ধুরা ধরুন একজন আপনাকে অনেক উৎসাহ নিয়ে কোনো কথা বলা শুরু করলো..আর আপনি তখন তাকে বললেন হ্যাঁ আমি তো এইকথাটা জানিই। সেইসময় যিনি আপনাকে কথাটা বলছিলেন তার মনের অবস্থাটা শুধুমাত্র তিনি ছাড়া আর কেউই সেটা উপলব্ধি করতে পারবেনা। আসলে আমাদের জীবনে কিছু কিছু ঘটনা থাকে যেগুলোকে আমরা সহজেই এড়িয়ে যাই। অথচ আজ যদি আপনি তার কথাটা একটু মন দিয়ে শুনতেন তাহলে হয়তো আপনার জানা কথার মধ্যেও একটা রহস্যজনক গন্ধ পেতেন।
আমাদের রোজকার জীবনটা সত্যিই খুব সুন্দর হয়ে উঠতো যদি আমরা দোষ না খুঁজে কারুর মন খুঁজতাম, কারুর টাকা পয়সা না খুঁজে তার বন্ধুত্ব খুঁজতাম, কাউকে কষ্ট না দিয়ে বুকে টেনে নিতাম। আমাদের নেওয়া একটা ছোটো সিদ্ধান্ত আমাদের মনের মধ্যে একটা চাপ সৃষ্টি করে..সেটার ভার আমরা পরে গিয়ে উপলব্ধি করতে পারি।
ভেবে দেখুন, একদিকে একশো কেজি ওজনের এক ব্যাগ ভরতি খুচরো টাকা, আবার অন্যদিকে ১০০ কেজি ওজনের এক ব্যাগ ভরতি পালক।
এখন আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, এখানে সবথেকে ভারী ব্যাগ কোনটি?
আপনি উত্তর দিলেন
- নিশ্চয়ই ওই খুচরো টাকার ব্যাগটি।
না বন্ধুরা উত্তর হবে দুটো ব্যাগের ওজনই সমান।
( সকলেই যে উপরের প্রশ্নটার ভুল উত্তর দেবে সেটা নয়। )
কিছু সময় আমাদের কাছে সত্যিই অনেক মূল্যবান। যেগুলো জীবনের ইতিহাসের ভেলায় কাগজের নৌকা হয়ে ভাসমান অবস্থায় থাকে।
আজ আমি আপনাদের দমদম থেকে অনুরাধা পাটেলর নামের এক মায়ের দুষ্টু ছেলে মুনিয়ার গল্প। হ্যাঁ মুনিয়া। আসলে মুনিয়া যখন ছোটো ছিলো তখনি তার নাম মুনিয়া রাখা হয়েছিলো। মুনিয়ার বাড়ির সকলে ভেবেছিলো মেয়েই হবে। কিন্তু ধীরেধীরে যখন মুনিয়া বড়ো হলো তখন তারা বুঝলো মুনিয়া আসলে মেয়ে নয় ছেলে। তাই নামটা আর পরিবর্তন হয়নি।
মুনিয়ার ২০১৭ সালের জুন মাসের কোনো এক তারিখে জন্ম। অন্যসব বিড়ালদের থেকে মুনিয়ার ব্যাপারটা একটুখানি আলাদা।
দুষ্টুমির থেকেও তার সবভেয়ে বেশী প্রিয় চিকেন কষা। হ্যাঁ সেই চিকেন..মুনিয়া ছোটো থেকেই তার মায়ের খুব কথা শোনে। তবে মুনিয়া সোনা দুষ্টু হলেও সে তার মাকে প্রচন্ড ভালোবাসে।
মুনিয়া সোনা রেগে গেলে..ওর রাগ ভাঙাতে তখন মুনিয়ার মা'কে কোলে তুলে নিয়ে বলতে হয়। তুমি আমার হিরে..তুমি আমার মানিক। তুমি আমার সবথেকে দামি জিনিস। তুমি আমার সোনা ছেলে রাগ করেনা বাবু।
আমাদের মুনিয়া কিন্তু আজ অবধি চুরি করে কিছু খাইনি।
বাবুর খিদে পেলে..সে কিন্তু তার মায়ের কাছে গিয়ে নালিশ জানায়..তার ছোটো মাথাটা মায়ের পায়ের সামনে নিয়ে গিয়ে
গুটো দেয়..আর সেই গুতোর আঘাতে অভ্যস্ত অনুরাধা বুঝে যায় যে তার বাচ্চার খাবারের সময় হয়ে গেছে।
আসলে ভালোবাসাটাই সব৷
ভালোবাসা দিয়ে অনেক কিছু জয় করা সম্ভব। আমরা শুধু ব্যস্ততা নামক চাদরে নিজেদের মুড়ে রাখি। যেদিন এই ব্যস্ততার চাদর খুলে দেবো সেইদিন আমরা প্রতিটা ছোটো ছোটো আনান্দগুলোর বিন্ধু বিন্দু উপভোগ করতে পারবো।
বন্ধুরা আমাদের উদ্দেশ্যে বিড়াল কুকুরের প্রতি মানুষের ভালোবাসা গুলো একটু অন্যভাবে প্রকাশ করানো। যাতে একটু হলেও ওদের উপর যারা অত্যাচার করে..তাদের বিবেকে আমাদের এই গল্প গুলো গেঁথে তাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব, ও অবলাপ্রাণীদের প্রতি ভালোবাসা জন্ম নেয়। জানিনা এইভাবে গল্পের মাধ্যমে আমরা কতটুকু ভালোবাসা বোঝাতে পারি। তবে আমাদের বিশ্বাস একদিন অবলাপ্রাণীদের মর্ম ও উপকারিতা, তাদের বন্ধু সুলভ আচরণ, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, তাদের মতোন বন্ধু শত্রুকে সহজে চিনে নেওয়ার ক্ষমতার গুরুত্ব সবাই একদিন উপলব্ধি করতে পারবে।