প্রমাণ করতে পারবেন না গল্পের দ্বিতীয় পর্ব রামপুরহাট_মেমো
লেখক - মলয়_বিশ্বাস
বিষয় - ভূত ও রহস্যে
ঘড়িতে তখন ১২.৫০..গাড়িটা তখন রেলগেট খোলার অপেক্ষায়। এক নম্বর লাইনের এপাড়ে দাঁড়িয়ে আছে গাড়িটা..আর তাতে রয়েছে তিনজন লোক, ড্রাইভার সমেত চারজন। থানার উচ্চপদস্থ এক পুলিশ, একজন এম.এল.এ, আর একজন ব্যবসায়ী। গাড়িটা আজ কোর্টে যাবে। এই কোর্টেই একটা কেস চলছে একজন এম.এল.এ আর একজন ব্যবসায়ীর উপর।।
অন্যদিকে চার নম্বর লাইনের ওপারে দাঁড়িয়ে আছে vk এর নজরদারি লোকজনেরা। দুইজন মোটরসাইকেলে আর চারজন গাড়িতে। তারা প্রত্যেকেই অপেক্ষা করছে কখন রেলগেট-টা খুলবে। আর যেই গাড়িটাকে তারা অনুসরণ করছিলো সেইগাড়ি কখন তাদের ওভারটেক করবে। এরফলে ওই গাড়িটা যাতে এই কোর্টের দিকে যাওয়া গাড়িটির উপর আবার নজরদারি চালাতে পারে..
অনেকক্ষণ ধরেই vk এর লোকজনের গাড়িটা এই কোর্টের দিকে যাওয়া গাড়িটির উপর নজর রাখছিলো..শুধুমাত্র অভয়ের প্ল্যান মাফিক রেলগেটের রাস্তাটা ধরার আগেই মেন রাস্তার মোড়টা যেদিকে বাক নিচ্ছে সেখানে এসে গাড়িটাকে থামিয়ে দেয়..আর এমন নাটক করতে থাকে যাতে গাড়িটা খারাপ হয়ে গেছে।। আর এদিকে vk এর দলবলের লোকেরা গাড়ি থামানোর ভুল করেনি কারণ গাড়িটা যদি একবারও পুলিশের সন্দেহ মাফিক চেক হয় তো গাড়িটির ভেতরের থাকা বে-আইনি অস্ত্র গুলো পুলিশের নজরে চলে আসার ভয় আছে..তাই vk এর দলবলের লোকেরা এই কোর্টের দিকে যাওয়া গাড়িটির ড্রাইভার কে ইশারা করে বলে দিলো..যে তারা সকলে গেটের ওপারে দাঁড়িয়ে আছে, ব্যস তারপর যেই রেলগেটের সাইরেন বাজতে লাগলো ওমনি vk এর লোকেরা সিগন্যালে না দাঁড়ানোর ঝামেলায় তাদের গাড়িটির গতি বাড়িয়ে চার নম্বর লাইনের ওপারে নিয়ে গেলো..ওই গাড়িতেই অভয় ছিলো..সাথে আরও কয়েকজন vk এর সদস্য।
এরপর তারা গাড়িটি থামিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখে গেট নেমে গেছে, আর এক নম্বর লাইনের ওপারে কোর্টের দিকে যাওয়া গাড়িটি দাঁড়িয়ে আছে।
তিন নম্বর লাইন দিয়ে তখন যাচ্ছিলো রামপুরহাট মেমো প্যাসেঞ্জার, আর চার নম্বর দিয়ে তখন জসিডি পাস করছিলো।
এরপর ট্রেন চলে গেলো তারপর গেট খুললো, এবং ওই এম.এল.এ সাহেবের গাড়িটি আবার এগোতে লাগলো।
অভয়ের মনে শান্তির ছাপ।
অভয় তখন চোখ বুজে পরবর্তী পরিস্থিতির চিন্তায় মগ্ন, অভয় হঠাৎ ভাবতে থাকে..vk এইরকম একটা কাজ দিলো করতে।
অভয় শহরের সবথেকে বড়ো ক্রিমিনাল একটা গ্রুপের সদস্য হতে চায়, সেইজন্য দলের হেড..অভয়ের যোগ্যতা দেখার জন্য অভয়কে তিনটে কাজ দেয়।
যার প্রথম কাজ ছিলো..পুলিশের চোখ বাঁচিয়ে খড়গপুরে একটা ব্যাগ ডেলিভারি করা। এই বিষয়ে আমার এই প্রমাণ করতে পারবেন না গল্পের প্রথম পর্ব " ঘাটশিলা মেমো " তে উল্লেখ আছে।
এখন গল্পের দ্বিতীয় পর্ব - " রামপুরহাট মেমো প্যাসেঞ্জার "
অভয়ের দ্বিতীয় কাজ ছিলো.. একটা এম.এল.এর গাড়িতে বোম লাগানো।
গোড়া থেকে বলছি..
গল্পের নায়ক প্রথম কাজটি সফল ভাবে সম্পুর্ণ করবার পর..তাকে আবার vk ডাকে নিজের ডেরায়।।
অভয়কে দ্বিতীয় কাজ দেয়..একটা গাড়িতে একটা পেন লাগাতে হবে..যেটার মধ্যে তেজস্ক্রিয় পদার্থ আছে যেটা বোমার বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
তো এই কাজটা শোনার পর তো..অভয় একপায়ে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু আসল টুইস্ট আসে তো এরপরেই..আসুন দেখেনি।
অভয় - হ্যাঁ ঠিক আছে.. গাড়িতে একটা পেন লাগাতে এতো অসুবিধা হবেনা।
vk - ওরে বোকা ছেলে..একটা সিম্পল বোমা লাগানোর ব্যাপার হলে..আমি অনেক আগেই লাগিয়ে দিতে পারতাম কিন্তু এরফলে একজন মরবে..আমি তিনজনকেই মারতে চাই..
আর আমার কাছে সবসময় প্ল্যান - বি এর উপায় থাকে..আমি আমার দলের সকল মেম্বারদের থেকেও সাজেশন চাইছি..কারণ একে তো তিনজন অনেক হাই সিকিউরিটির অধীনস্থ তারপরে এদের তিন জনকে একসাথে মারলে তবেই vk এর রাস্তা পরিস্কার হবে..কিন্তু এদের তিনজনকে একসাথে করা, আর তাদের হত্যা করা।। এবং এদের আইনজীবী দের সহ কোর্টের সকল আইনজীবী একটু ডেমো দেখাতে চাই আমি..যাতে আমার বে আইনি জমি দখলের ব্যাপারে এরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনা।
এখন তুই কি পারবি?
নাহলে হার স্বীকার কর।
অভয় - নিজেকে প্রমাণ করার জন্য আমি সবকিছু পারবো।
vk - তাহলে তুই রাজি বলছিস??
(অভয় মনে মনে ভাবলো..এটাতো সোজা একটা কাজ, চুপচাপ ভাবে যাবে আর চলে আসবে)
কিন্তু অভয়ের মাথায় হাত পড়লো vk যখন বললো....যে ৯ দিন পর ওদের vk এর কেস কোর্টে উঠবে আর এই কটা দিনের মধ্যে গাড়িতে এই বোমটা লাগানো হবে যেটা রিমোট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
এইসব শুনে অভয়ের অবস্থা তো একেবারে..যাচ্ছেতাই হয়ে গেছিলো.. vk অভয়ের নিরব মুখ দেখে বললো..
তুই না পারলে, আমি অন্য কাউকে দিয়ে করিয়ে নেবো।
বল??
অভয় তখন শূন্যে দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ উপরের দিকে তাকায়। এবং অভয় রাজি হয়ে যায়।
এরপর অভয় vk এর থেকে পেনটা হাতে নেয় যেটার মধ্যে ওই তেজস্ক্রিয় পদার্থ রয়েছে যেটাকিনা বোমার কাজে ব্যবহৃত হয়..তারপর অভয় যখন এই ছোটো বোমাটার রিমোট-টা vk এর থেকে চায়....
তখন vk - অভয়কে বলে..রিমোট থাকবে তার নিজের লোকের কাছে।
ওই গাড়িটা কোর্টে যাওয়া মাত্রই কোর্টের ভেতরেই ওর গল্প হয়ে যাবে।
গাড়িটার একশো মিটারের মধ্যেই বোমাটার রিমোট থাকবে..আর সেই বোমায় গিয়ে আঘাত করবে একটা রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি।। যেই গাড়িটা অনেক দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে..এই রিমোট কন্ট্রোল গাড়িটা দেখতে খেলনার মতোন হলেও..এটিকে অনেক দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
গাড়িটার কাজ কিছুই না..ওই গোটা রিমোটে একটাই সুইচ লাগানো। যেটা খুব সংবেদনশীল। মানে ওই সুইচে একটা যদি টোকাও লাগে আর আশেপাশের একশো মিটারের মধ্যে ওই রিমোট নিয়ন্ত্রিত বোমা থাকলে সেটি বিস্ফোরক হতে বাধ্য।
vk এর লোকেরা নিরাপত্তার জন্য দূর থেকে এই রিমোট কন্ট্রোল গাড়িটার মাধ্যমে বোমাটার রিমোটে গিয়ে ধাক্কা দেবে। এরফলে বোমটা ফেটে উঠবে।
অভয় ওই বোমাটি নিয়ে এরপর বাড়ি চলে আসে। vk অভয়ের মোবাইলে একটা মেসেজ করে দেয় আর তাতে বলে দেয়.. কোন থানায়..আর কখন সেই গাড়ি এসে পৌঁছাবে। আরও অনেক বিষয়াদি।
আর ভাবতে থাকে কিভাবে কি করবে না করবে।। এইভাবতে ভাবতে একটা দিন চলে যায়।। হাতে মাত্র আর আটটা দিন।
অভয়ের মুখটার এইরকম অবস্থা দেখে..শেষে প্রতাপ বলেই ফেললো..
কিরে??
তোর মন খারাপ..
অভয় - নারে একটা জিনিস চিন্তা করছি।
প্রতাপ - কি?? তোর দ্বিতীয় কাজটার ব্যাপারে।
অভয় - হ্যাঁ কিন্তু কাজটা করবো কিভাবে? তাও আবার থানায়..আগে আমাদের থানায় ঢুকতে হবে..তারপরের ব্যবস্থা তারপর।
প্রতাপ - তুই কি পাগল হয়ে গেছিস? তুই যেই কাজের চেষ্টা করছিস তার পরিনাম কিন্তু সাংঘাতিক..
হয় তোকে কোনো ক্ষমতাবান লোকের তত্ত্বাবধানে যেতে হবে।। আর নাহলে তোকে কোনো একটা নকল কেস নিয়ে ওইদিন থানায় হাজির হতে হবে।। আর নাহলে ওই থানায় তোকে কোনো মিস্ত্রি হোক কিংবা সকালের যে মিউনিসিপালিটির ভ্যানটা থানায় যায় সেই ভ্যানের সাফাই কর্মী হয়ে ঢুকতে হবে..আরে আমার মাথায় কিছু আসছেনা কিভাবে থানায় ঢুকে তুই পেনটা ওই গাড়িতে লাগাবি..সিসিটিভি ক্যামেরা, পুলিশ এদের চোখে ধুলো দিবি কিভাবে? কিভাবে ওদের চোখ বাঁচিয়ে এই কাজটা করবি?আমার মাথায় কিছু আসছেনা।
অভয় - হাসে একটু।। ভাবতে থাকে তার সেই মানসিক বয়সের দিক থেকে প্রতাপ অনুন্নত সেই জায়গাই ও যে মানসিক সাপোর্ট অভয়কে দিচ্ছে অভয়কে নিয়ে এতো ভাবছে সেটা অভয়ের কাছে সোনার তুল্য।
তবে অভয় এই দুই নম্বর কাজটা নিয়ে খুশি নয়..তবে
অভয় অনেক ভেবে..অনেক চিন্তে শেষে ভেবেই ফেললো থানায় গিয়ে কিভাবে কি করতে হবে।।
এই আটদিন অভয়..থানাতে কুরিয়ার বয় হিসেবে গিয়েছিলো..থানায় চিঠি দিতে। সেই চিঠি গুলো অবশ্যই নকল চিঠি ছিলো....অভয় চিঠি গুলো নিজের হাতে লিখতো আর বিভিন্ন নাম আর ঠিকানা দিয়ে চিঠি গুলো লিখতো..আর কুরিয়ার করে দিত।।
অভয় তখন সেখানকার প্রচলিত স্থানীয় একটা কুরিয়ার সংস্থার মালিককে অনেক রিকুয়েষ্ট করে..ডেলিভারি বয় হিসেবে নিজেকে নিজুক্ত করলো....
অভয়-কে সেই কুরিয়ার সংস্থার বাকি ডেলিভারি বয় রা..নিদিষ্ট পিনকড ভুক্ত একটা জায়গা দিলো তার কাজের সুবিধার জন্য।
ব্যস ভেতর ভেতর এই পরিকল্পনা করতে করতে শেষমেশ এসেই গেলো সেই ফাইনাল দিন। যেদিন বোমাটা লাগাতে হবে গাড়িতে তাও আবার থানার ভেতরে।। অভয় আর প্রতাপের আগে থেকেই সব কিছু ঠিক ছিলো..পরিকল্পনা অনুযায়ী সব এগোচ্ছিলো।।
গাড়িটা থানায় এসে থামা মাত্রই..সেই এম.এল.এ আর ওই ব্যাবসায়ী থানার ভেতরে চলে গেলো।।
আর থানা থেকে এম.এল.এ আর ব্যবসায়ী ওই অফিসারের কিছু নিয়মবিধি ও জরুরি কাগজে সই করে..তারা কোর্টে রওনা দেবে। হাতে বেশী সময় নেই। যতটুকু সময় আছে ততটুকু সময় কাজে লাগাতে হবে।।
অভয় থানার মধ্যে প্রবেশ করে..থানার গেটের অনেকটা ভেতরে আছে ওই গাড়িটা..অভয় পরিকল্পনা অনুযায়ী চিঠি দিয়ে একটা সাইন করাচ্ছে একজন পুলিশ কর্মীকে দিয়ে গাড়িটার ঠিক সামনে..আর ঠিক তখনি থানার ভেতর থেকে আসছিলো প্রতাপ। প্রতাপ একটা মিথ্যা মোবাইল চুরি হওয়া নিয়ে একটা ডাইরি করতে এসেছিলো..
অভয়ের সাথে প্রতাপের চোখে চোখ পড়লেই..দূর থেকে ইশারা করে অভয়.. তার বন্ধু প্রতাপ কে..যে কাজটা দ্রুত সারতে হবে।
প্রতাপ অভয়ের সামনে দিয়ে আসার সময় ইচ্ছা করে নাটক করে পড়ে যাওয়ার ভান করে..এবং অভয়কে একটা জোরে ধাক্কা দেয়।
অভয় তখন সুযোগ বুঝে পেনটাকে হাত দিয়ে নিচে ফেলে দেয়..
এরপর অভয়..আর ওই পুলিশ কর্মী একটু জ্ঞান দিলো প্রতাপ-কে.. যে একটু দেখে চলবেন তো..
প্রতাপ তখন একটা ছোটো সরি বলে সেখান থেকে যায়।
এখান থেকেই পরিকল্পনা শুরু। অভয় তখন ওর প্যান্টের পকেটের ডান পকেট দিয়ে সেই তেজস্ক্রিয় পদার্থ যুক্ত পেনটা বের করে..সাথে সাথে গাড়ির নীচে হাত দিয়ে..পেনটা খোঁজার ভান করতে থাকে..আর আসল পেনটার গাড়িটার নীচে লাগিয়ে দেয়। পেনের ভেতর শক্তিশালী চুম্বক থাকায়..সহজে গাড়ির নীচে লেগে যায়।।আর অভয় তখন নীচে পরে থাকা পেনটাকে তুলে নিয়ে এসে.. পুলিশ টাকে দিয়ে ডি.আর.এসে সাইন করিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। বেচারা পুলিশ জানতেও পারলোনা যে গাড়ির নীচে এতো কিছু হয়ে গেলো।।
অভয়ের ভাবনার রাজ্যে থেকে এদেশে ফিরে আসতে বেশি সময় লাগলোনা। একটা মস্ত ঝাঁকুনি দিয়ে গাড়িটা দাঁড়িয়ে গেলো।
অভয় বুঝলো এইবার একটা কিছু হতে চলেছে। মিনিমাম অভয়ের গাড়িটা কোর্টের প্রবেশ পথ থেকে
৬০০ মিটার দূরে। গাড়িটার দুইদিকে দুটো মোটরসাইকেল দাড়িয়ে এম.এল.এর গাড়িটার কোর্টে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলো!
কোর্টগামী পথের গাড়িটা যেই কোর্টের ভেতরে প্রবেশ করলো..ওমনি রিমোটের সাহায্যে নিয়ে গাড়িটিকে কোর্টের ভেতরেই উড়িয়ে দেওয়া হলো..
আর এই কাজটি বাইকে যেই দুইজন বসেছিলো তারাই করলো..তারা কাজটি করে দ্রুত বাইক স্টার্ট দিলো..আর অভয় যেই গাড়িটিতে আছে..মানে দুটো বাইকের মাঝে.. ওই দুই বাইক ওয়ালা বন্ধুক নিয়ে..ওই গাড়ির দিকে নিশানা করে..এলোপাথাড়ি গুলি চালালো..গাড়িতে যেই চারজন ছিলো তাদের উপর..অভয় মারাই যেত কিন্তু কে যেন গাড়ির মধ্যেই অভয়ের মাথা চেপে নিচের দিকে ধরে ছিলো..যতক্ষণ গুলি চলছিলো..
যেই গুলি চালানো শেষ হলো ওমনি ওরা দুইজন বাইক আরোহী যারা vk এর লোক..ওরা দ্রুত চলে গেলো সেখান দিয়ে।। আর সাথে সাথে অভয়ের ঘাড়-টাও কে যেন ছেড়ে দিলো..অভয় যখন মুখ তুলে গাড়ির বাকি তিনজনের দিকে তাকায় তখন সে দেখে বুঝলো ওদের মধ্যে কেউ জীবিত নেই।
পুলিশের ঝামেলায় না পরার জন্য....অভয় দ্রুত সেই স্থান পরিত্যাগ করে।।
সন্ধ্যাবেলায় vk এর ডেরায়..
অভয় - আমিতো আপনার কাজ করতে গেছিলাম..আপনার ছেলেরা আমার উপর গুলি চালালো কেন? আর ওইযে আপনার তিনজন কর্মী মারা গেছে..আপনার সাথে কাজ করার এইটাই কি প্রতিদান।
vk - নিজের বন্দুক-টা বের করে..অভয়ের দিকে তাক করে..বন্দুক-টা হাত দিয়ে ঘোরাতে লাগলো..আর বললো..
দেখ অভয়..মানছি আমার নির্দেশে ওরা গুলি চালিয়েছে..তবে আমি তোর উপর গুলি চালাতে বলিনি।। আর তুই যে বেঁচে ফিরেছিস..এই অনেক।। কারণ এরফলে ছোটো করে তোর একটা পরীক্ষাও নিয়ে নেওয়া হলো..কারণ এই লাইনে সবসময় চোখ খোলা রাখতে হয়।।
তোর কাজের নিষ্ঠা আর সচেতনতা আমার খুব পছন্দ হয়েছে।। আমি খুশী হয়েছি।।
ইচ্ছা ছিলো আমার এই বড়ো রকমের জয় উপভোগ করার। কিন্তু আজ আরও একজন খুব কাছের মানুষকে আমি খুঁজে পাচ্ছিনা। তাকে নিয়ে আমজ খুব চিন্তিত কারণ সুন্দরবনের দিকের ব্যবসা সে দেখতো..
তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
তাই আজকের এই আনান্দ উপভোগ করতে পারলাম না।
এখন এখান দিয়ে যা, আর যাওয়ার সময় তোর পুরস্কার-টা নিয়ে যাস।
ওই দেখবি..বাইরের টেবিলে রাখা আছে একটা খামে।।
যা, মজা কর। খুব তাড়াতাড়ি তোকে তিন নম্বর কাজের জন্য খবর পাঠাবো।।
অভয় তখন ঠিক আছে বলে সেখান দিয়ে প্রস্থান করে..আসার আগে টেবিলের উপরে থাকা খামটা নিয়ে হাসিমুখে বাইরে বেরিয়ে আসলো।
আজ vk এর আরও একজন প্রিয় লোক নিখোঁজ..
অভয় তখন সকালের স্মৃতি গুলো ঝলকে ঝলকে মনে করলো..
সেইযে এম.এল.এর গাড়িটাকে প্ল্যান মাফিক দ্বার করানো..এবং গাড়িটিকে যারা নজরে রাখছিলো..তাদেরকে আগে গেট পার করার রাস্তা করে দেওয়া....
সবাই তো এইটুকুই জানেন..ভেতরে ভেতরে এই প্ল্যান-টা কিন্তু এম.এল.এ আর ওই অফিসার এবং ওই ব্যবসায়ী সকলেই জানতেন।
আপনারা নিশ্চয় জানেন যে..ওই এম.এল.এর গাড়িটা রেলগেটে যাওয়ার আগে একটু দাঁড়িয়ে গেছিলো..ওই গাড়ির ড্রাইভার এমন ভাব করছিলো যেন গাড়িটি খারাপ হয়ে গেছিলো.. আর এদিকে পুলিশের ঝামেলা এড়ানোর জন্য vk এর লোকজনেরা গেটের ওপারে চলে যাওয়া মাত্রই রেলগেট পড়ে যায়।
তখন অভয় সহ vk এর সব লোকজনেরা চার নম্বর লাইনের এপাড় থেকে এক নম্বর লাইনের ওপাড়ে দেখছিলো.. ঠিক তখনি তিন নম্বর লাইন দিয়ে রামপুর হাট মেমো প্যাসেঞ্জার যাচ্ছিলো..
আর এদিকে ওই এম.এল.এর গাড়িটা যখন রেলগেটের রাস্তাটাই আসা মাত্রই পেছন দিয়ে একই নম্বর প্লেটের আটটা গাড়ি একি রঙের..ওই এম.এল.এর গাড়িটার পেছনে, বাঁপাশে, ডান পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেলগেটের সামনে এসে দাঁড়ালো.. আর ওই রেলগেটের রাস্তার মুখে একটা বড়ো লরি..রাস্তার মুখে এসে দাঁড়িয়ে গেলো..এরফলে পেছন দিয়ে কোনো গাড়ি আসতে পারবেনা..আর যে আটটা গাড়ি ওই এম.এল.এর গাড়িটার আশে পাশে ছিলো..এরফলে পেছন দিক থেকে এম.এল.এর গাড়িটাকে দেখার কোনো রাস্তায় নেই।
এখানেই ওলট-পালট হয়েছে একটু।।
এম.এল.এর গাড়ির ড্রাইভার সহ.. ওই অফিসার,ব্যবসায়ী, আর এম.এল.এ কে..গাড়ি থেকে বের করে ওই রামপুর হাট মেমো প্যাসেঞ্জারে তুলে দেওয়া হয়েছে..কারণ রেলগেটের গায়েই স্টেশন..আর সেইদিন তিন নম্বর আর চার নম্বর লাইনে কাজ হচ্ছিলো এইজন্য ট্রেন খুব আস্তে চলছিলো..যেহেতু মেমো ট্রেনের বগি গুলোয় সিড়ি থাকে তাই খুব সহজেই ওরা সকলে টেনে উঠে যায়।
কিন্তু বলির পাঁঠা হয়ে দাঁড়ায় vk এর খাস কর্মী যেকিনা vk এর সুন্দরবনের দিকের সব ব্যবসা দেখতো।
ব্যস তারপরেই রামপুর হাট প্যাসেঞ্জার তিন নম্বর লাইনে আর চার নম্বর লাইন দিয়ে জসিডি পাস করছিলো।।
আপনারা নিশ্চয় জানেন..অভয় ট্রেন খুব ভালোবাসে..আর তাছাড়া অভয় ট্রেনের টাইম টেবিল সহ..ট্রেনটি কত নম্ভর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে বেশী যায়, কটার মধ্যে আসে স্টেশনে এগুলো সব অভয়ের বেশীরভাগটাই জানা।
তাই এই নিখুঁত পরিকল্পনা সাজাতে অভয়ের বেশী পরিশ্রম করতে হয়নি..
আপনারা হয়তো ভাবছেন..পুলিশ অভয়কে কিছু বললোনা আবার অভয় ওদের সকলকে ট্রেনে উঠিয়ে দিলো..তারমানে এটা একটা প্ল্যান..
হ্যাঁ এটা একটা প্ল্যান..
অভয় পুলিশকে আগেভাগেই সব জানিয়ে এই মিশনে নেমেছে..তবে ওই পুলিশটি অভয়ের পূর্ব পরিচিত। একদিন বাসে অভয়ের মানিব্যাগ হারিয়ে গেছিলো..
সেইদিন অভয় নিজের গ্রামে যাচ্ছিলো বাসে করে..এক ভদ্রলোক বাসে উঠে কেমন যেন উশখুশ করছিলেন..অভয় বুঝতে পারে যেবেই লোকটির হয়তো বাসে উঠলেই বমি পায়, সেজন্য অভয় নিজের জানলার সামনের জায়গা-টা ওই লোকটিকে দিয়ে দিলেন। আর এদিকে সদ্য মানিব্যাগ হারা অভয়ের কাছে বাস কন্ডাকটর যখন টিকিট দিয়ে ভাড়া চাইছিলেন..তখন অভয়ের কাছে টাকা ছিলোনা..কারণ বাসেই অভয়ের টাকা চুরি হয়ে গেছে।।
যেহেতু অভয় ওই লোকটিকে জাননাল সামনে বসতে দিয়েছিলো..আর এই বাসটা অনেক দূরপাল্লার বাস ছিলো..ওও ভদ্রলোকটি অভয় কে দেখে বুঝলেন ছেল্বটি খুব ইনোসেন্ট.. সেইজন্য অভয়ের বাস ভাড়াটা সেদিন উনিই দিয়ে দিলেন।
ব্যস তারপর থেকে দুইজনের-ই বন্ধুত্ব হয়ে যায়।
এরপর অভয় ওই ওদের আড্ডার জায়গা দিয়ে বেড়িয়ে রাস্তায় এদিক-ওদিক তাকিয়ে দূরে দেখতে পেলো..তার নিজের বন্ধু প্রতাপ।
অভয় ভালোমতোই জানে যে তার হাতে vk এর দেওয়া খামের ভেতরে টাকা আছে।
প্রতাপের দিকে দৃষ্টি দিয়ে অভয় এগোতে লাগলো..
আর ওইযে vk এর খাস লোকের বিষয়টা..ওই অফিসার যেকিনা অভয়ের বন্ধু সেই অফিসার বেশ কয়েকদিন আগে একটা বে-আইনি ট্রাকের উপর কাজ চালাচ্ছিলো..সেখানে vk এর নাম সহ সুন্দরবনে vk এর অন্তত প্রিয় একজনের নাম জড়িয়ে পরে..সেই কেস চালাতে চালাতে পুলিশ শেষমেশ একটা গোপন ডেরায় হানা দেয়..সেই ডেরায় অনেকে ধরা পড়লেও..পালিয়ে যায় vk এর সুন্দরবনের দিকে ব্যবসা সামলানো অন্তত প্রিয় একজন..তারসাথে আরও কয়েকজন ছিলো..
ওই ডেরার বাইরেও বেশ কিছু পুলিশ ছিলো..তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পুরো জায়গাটাকেই ঘিরে রেখেছিলো..এইজন্য তারা সকলে ধরা পড়ে..যারা পালিয়ে গেছিলো..ধরা পড়ে vk এর প্রিয় কর্মী।
একটা গোপন আস্থানায় পালিয়ে যাওয়া কর্মীদের রাখা হয়..পুলিশের বিভিন্ন রকম ডিগ্রি.. ব্যবহার করে..এক একজনের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রমাণ নেওয়া হয়। সেগুলোকে ক্যামেরাবন্দী করা হয়।
এরপর vk এর ওই খাস কর্মীকে..ছেড়ে দেওয়ার জন্য..ওর সাথে একটা চুক্তি করা হয়।
যদি সে vk এর এই বে আইনি কাজের বিবরণ গুলো..কোর্টে ঠিকঠাক ভাবে বলে তবেই তাকে ছাড়া হবে। এইজন্য ওই এম.এল.এর গাড়িটা যখন রেলগেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো..তখন ঠিক ওই গাড়িটার পাশ থেকে একজন বেরিয়ে আসে..যার কোমড়ে বাঁধা একটা বোম..আসলে ওটা ছিলো একটা খেলনা তবে টোপ হিসেবে ওটা ব্যবহার করা হয়েছে।। অভয়ের সেই অফিসার বন্ধু ওই বোমটা লাগিয়ে দিয়েছিলো vk দলের সবথেকে প্রিয় কর্মীর গায়ে। অফিসার সেই লোকটিকে বলেছিলো....যদি সে কোর্টের ভেতরে গিয়ে vk এর ব্যাপারে সত্যি কথাগুলো স্বীকার করে..তবেই তাকে ছাড়া হবে। আর নাহলে বোমাটা ফেটে যাবে। তাকে আরও বলা হয়েছিলো এইবোমার গায়ে বেশ কয়েকটা সেন্সর লাগানো আছে..যদি বাইরে থেকে খোলার চেষ্টা করা হয় কিংবা কোনোরকম উনিশ-বিশ হলে বোমটা নিজে থেকে ফেটে যাবে।
তাই যখন ওই এম.এল. এ সহ ব্যবসায়ী আর থানার অফিসার-টা রামপুর হাট মেমোতে উঠে গেলো..তখনি ওই vk এর দলের প্রিয় কর্মীটি পাশেএ গাড়িটা থেকে বেড়িয়ে ওই এম.এল.এর গাড়িটায় উঠে বসলো।।
তার গন্তব্য ছিলো..কোর্ট
একটু উনিশ-বিশ হলেই যে তার জান চলে যাবে সেটাসে ভালোভাবেই জানতো..আর ওই গাড়িটার মধ্যে রাখাছিলো..তিনটে লাশ.. ওই অফিসার...মর্গ থেকে এনেছিলেন..যাদের বয়স ও উচ্চতা পুরো অবিকল ওই এম.এল.এ,অফিসার আর ওই ব্যবসায়ীটার মতোন।।
ওদেরকে ঠিক সেইসকল জামা ও প্যান্ট পড়িয়ে..ওই গাড়িটায় রাখা হয়..
কাজেই গাড়িটা যখন কোর্টে গিয়ে..বিস্ফোরণের স্বীকার হয়..তখন ওই ড্রাইভার আসনে থাকা vk এর প্রিয় কর্মী সহ বাকিদের লাশ তীব্র ভাবে জ্বলে যায়। তাই লাশগুলো সনাক্ত করা খুব কঠিন...তবে বলা বাহুল্য এম.এল.এ সাহেব আর বাকি দুইজন যেহেতু ওই গাড়িতেই শেষ সময়টুকু ছিলো..তাই সাধারণ মানুষের মনে একটা কথাই আসবে যে..গাড়িটায় মৃত মানুষেরা বরং আর কেউ নয়..সেই এম.এল.এ এবং বাকি দুইজনের।
আর এই পুরো কাজটা হওয়ার আগে..vk এর দলের প্রিয় ওই কর্মীটাকে দিয়ে একটা সিক্রেট কনফেশন ভিডিও বানানো হয়..
ভিডিওটাতে সে বলছে যে..
আমার নাম অমিত..আমি আজ কোর্টে vk এর বিরুদ্ধে সব প্রমাণ দিতে যাচ্ছি..আমি এই ভিডিও-টা একটা ফেসবুক পেজের রাত ৯.০০ টায় সিডিউল করে পোস্ট করে দিলাম..যদি বেচে ফিরি তবে আমি বাড়ি এসে ওই ভিডিও-টা ডিলিট করে দেবো..আর যদি বাড়ি না ফিরি আর ভিডিও-টা সোশ্যাল মিডিয়াতে অটোমেটিক পোস্ট হয়ে যায়..তাহলে ভাববেন vk ইই আমাকে মেরে ফেলেছে।
ভিডিও-টা এতোটা নিখুঁত ভাবে বানানো হয় যে কেউ বিশ্বাস করতে পারবেনা যে এটা প্ল্যান মাফিক ভিডিও-টি বানানো। এছাড়া ভিডিও-টিতে অমিত এর আগে যে যে নোংরা কাজ করেছে তার কোনো বর্ণনা দেওয়া হয়নি।। সেইসকল কাজ এতোটাই ঘৃণার যে তা লিখে প্রকাশ করা যায়না। এইজন্য বলির পাঁঠা হিসেবে অমিত-কেই বাছে সেই অফিসার।
তারআগে নিজেকে শান্তনা দিয়ে নেয় সে অফিসার..যে একশোটা দোষী শাস্তি পেলেও যেন তাদের মধ্যে একজন নিরপরাধ কেউ শাস্তি না পায়।
তাই যে দোষী তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য এই অভাবনীয় পরিকল্পনা চিন্তা করে সেই অফিসার। যেহেতু সবকটা লাশ পুরো জ্বলে গেছে তাই বলা মুস্কিল যে..লাশ গুলোর আসল পরিচয় কি..
ফরেনসিক বিভাগ তদন্তের রিপোর্ট আসবে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই।।
এই পুরো ঘটনা গুলো অতি সাবধানতার ও মাস্টার প্ল্যানের সাথে করা হয়েছে..অমিত কে কিডন্যাপ করা..তাকে দিয়ে ভিডিও বানানো..সেই ভিডিও তারই মোবাইল দিয়ে ছাড়া। ভি.পি.এন ইউস করে ভিডিওটা ছাড়া হয়..
যেইঘরে অমিত ছিলো..সেইঘরে যারা যারা গেছিলো তারা সকলে গ্লাভস ব্যবহার করেছিলো..অফিসার সহ আর যারা যারা এসেছিলো..তারা প্রত্যেকে যার যার মোবাইল বাড়িতে রেখে এসেছিলো..ওই কনফেশনের ভিডিও-টা অমিতের ফোনে রেকর্ড করে..সেটিকে যখন ফেসবুক পেজে সিডিউল করা হয়..তারপরেই অমিতের ফোন বন্ধ করে সেখান থেকে তাকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়..যাতে কোনোরকমে ঝামেলায় তাদের না জড়াতে হয়।
এদিকে এরপরের গল্প গুলো হেব্বি ভাবে..সাজানো হয়..অভয় vk এর ডেরা থেকে বাইরে চলে আসার বেশ কিছুক্ষণ পর অমিতের সিক্রেট কনফেশন ওয়ালা ভিডিও-টা কোনো একটা ফেসবুক পেজে পোস্ট হয়। যেই পেজের ওনার ছিলো অমিত নিজেই। সিডিউল অনুযায়ী ভিডিওটি অটোমেটিক পোস্ট হয়ে যায়।
আর সেই ভিডিও প্রচুর ভাইরাল হয়।
আর এদিকে ফরেনসিক সাইন্সের রিপোর্ট চলে আসে..সেখানে শুধু ওই গাড়ির চালককের লাশের হাতের ছাপ ও ডি.এন.এ ক্রিমিনাল রেকর্ডে থাকা বিভিন্ন ব্যাক্তির সাথে মিল খোঁজার সময়..অমিতের নাম ও ছবি উঠে আসে..যেহেতু অমিত অনেক আগে থেকেই এসব বে-আইনি কাজের সাথে যুক্ত ছিলো। তাই তার ডেটা ক্রিমিনাল রেকর্ডে জমা ছিলো।
পুরো গল্পটা এইভাবে এখন পাবলিকের কাছে আসে যে..
ওই অমিত vk এর বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে গিয়েই মৃত্যুর স্বীকার হয়। এদিকে vk এর বিরুদ্ধে এম.এল.এর কেসটাও ছিলো..
প্রশাসন vk এর উপরে চাপ বাড়াতে থাকে।।
আচ্ছা অভয়ের এসব করছে তার স্বার্থ কি?
কেইবা অভয়ের ঘাড়-টা শক্ত করে গাড়িতে টেনে নীচের দিকে নামিয়ে দিয়েছিলো??
আর অভয় পুলিশ কে সাহায্যে করছে আবার vk এর কাজও করছে..অভয়ের উদ্দেশ্য-টা কি??
এতকিছুর পরেও অভয় কোনো বড়ো বিপদে পড়বেনা তো??
প্রশ্ন তো অনেক..উত্তর তো আমাদের কেই বার করতে হবে। এরপরে অভয়ের কিহলো
সেটা জানতে হলে আমার গ্রপে জয়েন করুন আর লেখা এই " প্রমাণ করতে পারবেন না " গল্পটির তৃতীয় পর্বটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।