Kolkata Midnight Talk

প্রতিদিন আমাদের সাথে অসংখ্য ঘটনা ঘটে। সেই সকল ঘটনা যেগুলো আমরা কেউ শেয়ার করার মতোন কাউকে পাইনা, আমাদের ব্লগে সেই সকল অজানা গল্প, অবলা পোষ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন লেখা ছাড়াও কিছু লেখকের ভূত ও ভালোবাসার গল্প পাবেন। আশা রাখছি আমাদের পাশে আপনাদের মতোন বন্ধুদেরকে সবসময় পাবো।

LightBlog

Breaking

সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০

ওরিও ও তার মায়ের গল্প।


ছবি ও তথ্য আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন -  প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল।  






আমাদের জীবনে প্রতিনিয়ত এমন কিছু ঘটনা ঘটে যে ঘটনাগুলো আমাদের জীবনের চলার পথের রাস্তাকে সম্পুর্ণ পালটে দেয়। আমরা সবকিছুর ভাগ সকলের সাথে ভাগ করে নিতে পারি। কিন্তু নিজের প্রিয়জনদের ভাগ আমরা কাউকে দিইনা। আমরা ভালোবাসাকে ছড়িয়ে দিতে পিছুপা নাহলেও ভালোবাসার ভাগ দিতে পারিনা। 

আজ আমি আপনাদের  প্রিয়াঙ্কা মন্ডলের জীবনে ঘটে যাওয়া একটা হৃদয়বিদারক ঘটনা শেয়ার করবো। 

বন্ধুরা আমাদের পেজ ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে চাই সকলের মধ্যে। যাতে ভালোবাসার রঙে সকলে ভেসে যেতে পারে সেই দুনিয়াই। যেখানে কোনো মানুষ অবলাদের উপর অত্যাচারের  সম্মুখীন হয়না। হ্যাঁ সেখানে অবলাদের খুব যত্ন করা হয়। হ্যাঁ এমন এক দুনিয়া সত্যি আছে যেখানে হিংসে নেই, আছে ভালোবাসা।

ফেসবুক খুলে চলে যান সার্চ বক্সে সেখানে লিখুন silient talks of midnight animals. ব্যাস আপনি এবার পৌঁছে গেছেন আমাদের সেই মজার দুনিয়াতে। এবার আপনি যেমন খুশি ইচ্ছুক সেইরকম গল্প পড়ুন,অথবা শুনুন। এরজন্য কোনো পয়সা লাগবেনা।



2019/09/10 বসিরহাটে ভ্যাবলা নামক একটি জায়গায় জন্মেছিলো প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল নামের এক দিদিভাইয়ের মেয়ে সন্তান নাম ওরিও। ওরিওর বয়স তখন ৪/৫ দিন হবে। বেচারির তখন চোখ ফোটেনি এবং পেটের নারি এখনও কাঁচা। সেই অবস্থায় বাড়িতে যখন প্রিয়াঙ্কা দিদি নিয়ে আসেন তখন বাড়ি থেকে অনেকেই বলেছিলো ওকে তুই বাঁচাতে পারবিনা। কিন্তু ওইযে মনের যেদ মানুষকে অনেক অসাধ্য সাধন করার ক্ষমতা দেয়। প্রিয়াঙ্কা দিদি বলেন, হ্যাঁ আমি ঠিক বাঁচাবো। তারপর থেকে শুরু হয় রাত-দিন এক করে সেবা। এই আদর আর সেবাই আমাদের ছোটো সোনাকে বড়ো করছিলো ধীরেধীরে। 


দিদির নিজের একজন কন্যা সন্তান আছে। তাকে যখন দিদি বিছানায় নিয়ে দুপুরে ঘুমোয় তখন আমাদের ছোটো ওরিও সোনাও দিদির কাছে শুয়ে পড়বে..তখন দিদি পরম স্নেহে ওকে ধরে নিজের পাশে শুয়ে দিত। 

ছবি - ছোটো ওরিও সোনা যখন দুধ খাচ্ছিলো তখনকার ছবি।  
বাড়ির সকলেও ওকে খুব ভালোবাসতো। দিদি নিজে ওকে ছোটো মেয়ে ভাবতো। যদি দিদিকে ওরিও কোথায় না দেখতে পেতো তখন সে চুপচাপ বসে থাকতো। তবে দিদির দেখা পেলে ব্যস..সোনাকে তখন আটকানো মুশকিল। যেখানেই থাকুকনা কেন দিদির আওয়াজ পেলে ছুটে চলে আসতো। পুরো যেন মানুষের মতোন।

রাতের বেলাতেও আমাদের প্রিয় সোনা তার মা ( প্রিয়াঙ্কা ) ও বাবার ( প্রিয়াঙ্কার বর ) মাঝখানে না শুলে ওর ঘুম-ই আসতো না।
ওহ না যদি না শোয় তবে দিদিদের ও রাতে ঠিকমতোন ঘুম হতোনা। প্রিয়াঙ্কা দিদির মেয়েও কিন্তু ছোটো বোন ওরিও কে খুব ভালোবাসতো।

বন্ধুরা আমরা সকলেই জানি সুখ-দুঃখ, হাসিখুশি,আবেগ আবদার এইসব টুকটাক জিনিস নিয়েই আমাদের পথ চলতে হয়। তাই ভালোর মাঝে খারাপ, খারাপের মাঝে ভালো এইসব সার্কেলের মতোন চলতে থাকে।


ওরিও'র যখন ১১ মাস বয়স তখন সে গর্ভবতী হয়। কিন্তু বেচারী খুব কষ্ট পাচ্ছিলো। তাই তার মা ডাক্তারকে ডাকেন। ডাক্তার এসে ট্রিটমেন্ট শুরু করে। ওরিও শেষমেশ তিনটি সন্তান প্রসব করে। কিন্তু বাচ্চাগুলো জীবিত নয় মৃত। সুখের সংসার সমুদ্রে জোয়ারভাটা লেগেই থাকে। সেইঘটনায় প্রিয়াঙ্কা দিদির মনেও উথাল-পাতাল ঢেউ তুলেছিলো। ঠিক তখনি তিনি জানতে পারেন যে, তার ছোটো মেয়ে ওরিও এই দুনিয়ায় নেই। 

বন্ধুরা ভুল চিকিৎসা জন্য এই পরিনতি হয়েছিলো নাকি সোনার ভাগ্যে তার সাথে লুকোচুরি খেলছিলো সেটির ইতিহাস এখনো অজানা। তবে চলে গেলো এক মেয়ে তার মায়ের বুক খালি করে। এর চেয়ে খারাপ আর কিছু হতে পারে।


ওরিও যেখানে থাকুক ভালো থাকুক। ওরিও'র মা যেন সুস্থ থাকে। বন্ধুরা আপনারা সবাই তাদের হয়ে দোয়া করবেন।

মুল ঘটনা-টি প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল দিদিভাই আমাদের জানিয়েছেন।

ছবি - প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল। 

ঘটনাটি কতটা ভালো লেগেছে আপনাদের সেটি জানিনা। তবে ঘটনাটি হৃদয় বিদারক। ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল প্রাণ।

অঙ্কিতা দিদি ও দিদির ছানাপোনা

বন্ধুরা সবাই কেমন আছো? অনেকদিন পর আবারো একটা গল্প নিয়ে চলে এলাম।  যেই গল্পের মুখ্য চরিত্র কাজল, আলু আর মায়াকে নিয়ে। অঙ্কিতা দিই হচ্ছে এই বাচ...