Kolkata Midnight Talk

প্রতিদিন আমাদের সাথে অসংখ্য ঘটনা ঘটে। সেই সকল ঘটনা যেগুলো আমরা কেউ শেয়ার করার মতোন কাউকে পাইনা, আমাদের ব্লগে সেই সকল অজানা গল্প, অবলা পোষ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন লেখা ছাড়াও কিছু লেখকের ভূত ও ভালোবাসার গল্প পাবেন। আশা রাখছি আমাদের পাশে আপনাদের মতোন বন্ধুদেরকে সবসময় পাবো।

LightBlog

Breaking

সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২০

কালো কুকুরের কেলেঙ্কারি। মলয়।

ছবি ও লেখা - নিজস্ব।   
কালো কুকুরের কেলেঙ্কারি। 
   ~ মলয়। 

- দাদু পাশের বাড়িতে ওই ননি দিদিকে দেখলে? কোথা থেকে একটা কুকুর নিয়ে এসেছে।
  - হ্যা রে দেখলাম।
- দাদু ওদের পরিবারের কেউ তো কোনোদিন রাস্তার কুকুরদের একটা দানাও খেতে দেয়নি। এমনকি ওরা বাসি,পচা পান্তা ভাতও দিব্বি খেয়ে নেয়। তো ওরা যে কুকুর আনলো খেতে দেবে কি??

  - আরে চুপ..কর..
দেখছিস হাতে ফোন নিয়ে আছে। ওদের নাম নিয়ে কিছু বলিস না।

- কেন দাদু।
তোমার বন্ধুর ছেলে তো পুলিশ। তুমি আবার ওদের ভয় পাচ্ছ কেন?

  - ভয় কি আর সাধে পাচ্ছি..
ওই দেখ ননির হাতের মোবাইল-টা। দিনরাত ওই মোবাইল নিয়ে কুকুরের ছবি তোলে। কেউ যদি কুকুর নিয়ে কিছু বলতে আসে তবে ওইযে ভিডিও ক্যামেরা করেনা মোবাইল দিয়ে..সেইসব করে কাকে যেন দেখায়..কিছুক্ষণের মধ্যে বেশ শক্তপোক্ত লোকেরা এসে ধমক-ফমক দিয়ে যে বা যিনি কুকুরের নামে কিছু বলে..তাদের অবস্থা খারাপ করে দেয়।

 - বলো কি?
দাদু।

  - আমি কি আর সাধে..চুপচাপ বসে থাকি। তুইও চুপচাপ থাক সব খেল দেখতে থাক।

** দুই মাস পর কোনো এক রৌদ্রময় দিনে **

  ননি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে..হঠাৎ তার বান্ধবীর সাথে দেখা।

 - কেমন আছিস রে ননি? তোর সে গলুমলু কুকুরটা কই? কুকুর-টা কেমন আছে রে?

ননি - আরে আর বলিস না..ওকে আমি রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছি। ওহ খালি ডাকতো..কথা শুনতো না। ওকে কোনো বিশেষ প্রশিক্ষণ দিলেও আগ্রহ সহকারে মনে রাখেনা।

 - ওহহহ ফেসবুকে তো দেখতাম ঘন্টায় ঘন্টায় লাইভে আসতিস। আর বলতিস এই আমার বাচ্চা খাচ্ছে, এই আমার বাচ্চা পটি করছে, এই আমার বাচ্চা ঘুমোচ্ছে..এই আমার বাচ্চা খেলছে..আর প্রত্যেকবার ক্যাপশনে লিখতিস..দেশী পুষুন, দেশী হয়েও বিদেশী পোষে যেইজন সেইজন কে দেখিতে পারেনা ননির এই সাধাসিধে মন। আমিতো তোর কুকুরের প্রতি ভালোবাসা দেখে পাগল হয়ে যেতাম..ভাবতাম আমার যদি একটা কুকুর থাকতো।

ননি - হ্যাঁ সেইসব এখন অতীত। ৭-৮ দিন আগে ওকে ছেড়ে দিয়ে এসেছি। 

  - কিন্তু তোর মতোন একজন এতো বড়ো কুকুরপ্রেমী এই কাজটা করেছে শুনলে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় হয়ে যাবে।

ননি - আরে ননি, এতো কাঁচা কাজ করেনা। আমি যখন বুঝলাম আমার দ্বারা আর কুকুর পোষা হবেনা, তখন ফেসবুকে একটা পোস্ট করলাম..আমার বাড়িতে রোজ ১০০ টা কুকুর আসে, আমি ওদের রোজ খাবার দিই..এই কুকুরটা প্রায় দুইমাস আগে রাস্তা দিয়ে উদ্ধার করি, একটি বিশেষ কারণে ওকে রাখতে পারছিনা। কোনো সহৃদয় ব্যক্তি যদি ওকে দত্তক নিতেন তাহলে এই শিশুটি একটা ঘর পেতো। আর এই গরীব মেয়েটির মুখে হাসি ফুটতো। 
ব্যস।। আর নীচে লিখেছিলাম adopt deshi..

এতো বড়ো একটা লেখা লিখে পোস্ট করলাম কেউতো ওকে দত্তক নিলোনা উল্টে লাইক,কমেন্টও করলো না।

  - এ ভারী অন্যায়। 
একটাও লাইক,কমেন্ট করলোনা। এটা আর নিতে পারলামনা। তুইতো এর আগে যখনি ওর ছবি পোস্ট করতিস তখনি লাইক,কমেন্ট,শেয়ার ঝুড়ি ভরে ভরে পেতিস। আর এই পোস্টে তোর এতো খারাপ অবস্থা। যাক গিয়ে..তো কুকুরটাকে কোথায় ছাড়লি??

আমি ছাড়িনি, আমার বাবা ছেড়ে দিয়ে এসেছে। জানিস কত সাধ করে ওকে এনেছিলাম..পুরো কুচকুচে কালো। আমাদের বাড়িতে যে তান্ত্রিকটা আসতো..সে একবার গল্প করতে করতে বলেছিলো..কালো কুকুরকে শনিবার,মঙ্গলবার দুপুরে খাওয়ার আগে যদি একটা করে রুটি খাওয়ানো যায়..তাহলে নাকি সংসারে উন্নতি হবে। 

  - আচ্ছা তাই নাকি?
আমিতো শুনেছিলাম কাককে খাওয়ালে গ্রহরাজ খুশী হয়। কারণ কাক নাকি কেতুর বাহন। রোজ ভোরবেলায় খালি পায়ে..ধোঁয়া জামা কাপড় পড়ে..কাক কে বোঁদে খাওয়ালে নাকি সংসারের সব দুঃখ মিটে যায়। 

ননি - কি বলিস?
দ্বারা এই ব্যাপারটা ওই তান্ত্রিককে জিজ্ঞেস করবো।

ওকেতো আমরা রাস্তায় পেয়েছিলাম বেশ গবলু দেখতে ছিলো। আর তাছাড়া ওহ খুব তাড়াতাড়ি বড়ো হয়ে যাচ্ছিলো..ওর বয়স কত আমি সেটাও জানিনা..রাস্তায় যেতে যেতে পেছন করছিলো..আর তান্ত্রিকের কথাটা মনে পড়ে গেছিলো তাই ওকে নিয়ে এসেছিলাম বাড়িতে। আমার অনুমান ওর বয়স ৭-৮ মাসের বেশী হবে।
কিরকম গবলু হয়ে গেছিলো তুই না দেখলে বিশ্বাস করবিনা..ওর এতো জোর যে ওকে আমরা কেউই ধরে রাখতে পারতাম না।

  - হ্যাঁ করিস তো।
তোর থেকে একটা হেব্বী জিনিস জানলাম..প্রয়োগ করে দেখতে হবে। তবে কালো কুকুর যে কই পাই।

ননি - হ্যাঁ তবে কুচকুচে কালো। একটুও সাদা থাকলে চলবেনা।

  - ওরে বাবা..কুচকুচে কালো..ইয়ে মানে ওর দাঁত যদি সাদা হয়..তাহলে কি চলবেনা??

ননি - আরে দাঁত তো সবারই সাদা। না দাঁত সাদা হলে অসুবিধা নেই।

  - এইজন্যেই তো তোকে আমার এতো ভালো লাগে..তুই আমার ডার্লিং আমার সুইটহার্ট। কিন্তু তোর কুকুরটার জন্য আমার ভীষণ মন খারাপ করছে।

ননি - হ্যাঁ রে..আমারও মন খারাপ হয়ে গেলোরে ওর কথা বলতে বলতে। দাঁড়া একটু ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস আপডেট দিই..

#গল্প_হলেও_সত্যিই

" আজ প্রায় অনেকদিন হয়ে গেলো, আমারক প্রিয় লালু আর নেই। আমার আজও মনে পড়ে সেই রাতের কথা..ওইদিন কালুর আগেই আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম..কালু প্রতিদিন আমার আগে বিছানায় গিয়ে শুতো তারপর আমি বিছানায় গিয়ে শুতাম। কিন্তু সেইদিন আমি আগেই শুয়ে পড়েছিলাম বলে..আমার কালু রাগ করে আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে..সত্যিই  ওরা কথা বলতে না পারলেও..রাগ,অভিমানের দিক থেকে যেকোনো মানুষকে টেক্কা দিতে পারবে।
আমার কালু..
আই ফিরে আই।

স্ট্যাটাস-টা পোস্ট করার পর।

একটা মনের চাপা দুঃখকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে লিখলাম।

  - কিন্তু তুই স্ট্যাটাসে লিখেছিস যে, ওহ বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে..কিন্তু ওকেতো তোরা গিয়ে ছেড়ে দিয়ে এসেছিস। যদি এই ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে যায় যে..তুই মিথ্যা স্ট্যাটাস লিখেছিস তখন??

ননি - আরে তুই স্ট্যাটাস-টা ভালো করে পড়িস নি?
ক্যাপশনে কি লেখা আছে??

" গল্প হলেও সত্যিই "
পরে কিছু ঝামেলা হলে বলতে পারবো যে এটা একটা গল্প ছিলো..যেটার সাথে বাস্তবের মিল থাকতে পারে..আবার নাও পারে।
আর এখানে তো একবারো আমার নাম উল্লেখ নেই..তবে কালুর নাম উল্লেখ আছে..আর এই দুনিয়ায় কি শুধু আমার কুকুরের নামই কালু ছিলো?

  - বাহ..ননি তোর গোয়েন্দা বুদ্ধি আর তোর স্ট্যাটাস আর অবলাদের প্রতি ভালোবাসা দেখে আমিতো একেবারে মুগ্ধ। তোর জবাব নেইরে।

ননি - হ্যাঁ রে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে রে জানিস ওর ছবি পোস্ট করলেই কত লাইক পেতাম..সেইসব পুরনো দিনগুলো কি করে যে ভুলি। চলি রে..খুব কষ্ট হচ্ছে মনে।

  - হ্যাঁ রে তুই সাবধানে যা।
আমারো মন খারাপ হয়ে গেলোরে।

ননি বাড়ির দিকে এগোতে লাগলো। 



পর্ব - দুই

ননি বাড়ির কিছুটা আগে ননিকে দেখতে পেয়ে সেইযে দাদু আর নাতি..আবারো কথোপকথন শুরু করে দিলো।

বুঝলি..এইবার একটা নাটক দেখার জন্য প্রস্তুত থাক।

  - কেন দাদু?
কি হয়েছে??

দাদু - চুপ করে দেখনা শুধু।

ধীরেধীরে ননি বাড়ির সামনে এসে বাইরের কদরজাটা খুললো। বাড়ির দরজা খুলে ননিতো সাংঘাতিক অবাক হয়ে গেলো..কারণ যে কালুকে তার বাবা ছেড়ে দিয়ে এসেছিলো। সেই কালু তার বাড়ির উঠোনে খেলছে। সবথেকে অবাক করার বিষয় কালুর চেহারাটা একদম ভাঙেনি। একদম মোটাসোটা হয়ে গেছে।

ননি চিৎকার দিয়ে তার মা'কে ডাকলো..মা..ও মা..
ননির মা বাইরে এসে সেও অবাক।

কুকুরটা বাড়ি এলো কিভাবে??

ওরা দুইজনে যতোটা অবাক..তার থেকে বেশী অবাক ননির বাবা..তিনজনে যতোই অবাক হোক না কেন..আমাদের কালু বাবু তখন উঠোনে এদিক-ওদিক দিব্বি ছোটাছুটি করে বেড়াচ্ছে।

তো ওইদিন কালু ননিদের বাড়িতেই ছিলো..ওরা সকলে মিলে ঠিক করলো কুকুরটাকে আবার ছেড়ে দিয়ে আসা হবে। তবে আগে যেখানে ছেড়ে দিয়ে আসা হয়েছিলো সেখানে নয়..তার থেকেও অনেক দুরে।

তো প্ল্যান মাফিক কাজ পরেরদিন অনেক ভোর ভোর কুকুরটাকে ছেড়ে দিয়ে আসে ননির বাবা।

বাড়ির লোক তখন বেজায় স্বস্তিতে। ঠিক বিকেল বেলায় ননির মা যখন বাড়ির বাইরে বেড়োয় মাঠে যাওয়ার জন্য তখন দেখে..কালু বাড়ির বাইরে উঠোনে..ননির মা'কে দেখামাত্র জিভ বের করে..ননির মায়ের দিকে ছুটে আসে।
ননির মা রেগে গিয়ে ননিকে ডাকে।

আর ননির কান ধরে বলে..
কুকুরকে কি ট্রেনিং দিয়েছিস?
বাড়ি ছেড়ে নড়ছেই না।

ননির বাবা তখন কাজ শেরে বাড়ি ফিরছে..গেটের বাইরে সাইকেল দাঁড় করিয়ে গেটটা সবে খুলতে যাবে।

ননির মা চিৎকার করে বলে উঠলো..দাঁড়াও বাড়ি ঢুকবেনা..

কুকুরটাকে কি তুমি বারবার পাড়ার মধ্যেই ছেড়ে আসো? 
যতোবার ছেড়ে আসো ততোবার চলে আসছে।

ননির বাবা কুকুরটার দিকে তাকিয়ে বললো - না..তো এইবার তো আমি অনেক দুরেই ছেড়ে এসেছিলাম..ওহ এতো তাড়াতাড়ি চলে এলো কি করে?

ননির মা - তোমার মুরোদ আমার জানা আছে। এই ব্যাগে কুকুরটাকে ভরো..এবার আমি যাবো তোমার সাথে..এমন জায়গাই ছাড়বো আর জীবনেও আসতে পারবেনা।

কথামতোন কাজ ননির মা ননির বাবার সাইকেলের পেছনে বসলো..ননির মা সাইকেলের পেছনে বসলো..
ননির বাবা সাইকেল চালানো শুরু করলো..একেই তো সারাদিন কিছুই খাইনি..ওপর দিকে এই হাতির মতোন একটা বউ আর সাথে একটা কুকুরকে নিয়ে যাচ্ছে..টেনেটুনে কোনো রকমে ৬-৭ কিলোমিটার পথ এগিয়ে একটা ফাঁকা জঙ্গলের কাছে সাইকেল দাঁড় করালো। কুকুরটিকে ছেড়ে দিয়ে..ননির বাবা ঢিল ছুঁড়ে কুকুরটাকে তাড়িয়ে..দুইজনে তাড়াতাড়ি সাইকেলে উঠে বসলো..কিন্তু কুকুরটা ওদের পেছন পেছন ছুটতে শুরু করলো..
ওরা আবারো কুকুরটাকে তাড়িয়ে দিলো..কিন্তু কুকুরটা আবারো ওদের পেছনে ছুটতে লাগলো..

শেষে বিরক্ত হয়ে..ননির মা..একটা মোটা বাঁশ নিয়ে কুকুরটার গায়ে বেশ সজোরে আঘাত করলো..

কুকুরটা কাঁদতে কাঁদতে পেছন দিকে দৌঁড় দিলো..

ননির মা ও বাবা দুইজনেই এবার স্বস্তির শ্বাস নিলো।
ওরা দুইজন ধীরেধীরে। সাইকেল নিয়ে এগোতে লাগলো..সামনে একটা মেইন রাস্তা। ওই রাস্তা পেরিয়ে কিছু দুর এগোলে ননিদের বাড়ি।।

ননির মা..ননির বাবাকে ভালোমতোন শাসাতে শাসাতে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলো..তাই রাস্তা পেরনোর সময় দুইজনেই একটু অন্যমনস্ক ছিলো। কারণ ননির মা তখন ননির বাবাকে শাসাতে ব্যস্ত ছিলো..আর ননির বাবা তখন ননির মায়ের বকবক থেকে বাঁচার জন্য উপায় খুঁজছিলো। তাই ওদের খেয়াল নেইযে ওরা মেইন রাস্তায় এসে পড়েছে..হঠাৎ একটা সজোরে ধাক্কাতে তারা দুইজনেই পড়ে গেলো..

পেছন ঘুরে ননির বাবা ও ননির মা দেখলো..তাদের প্রিয় কুকুরটা রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে আছে..একটা ছোটোহাতি কিছুদুর এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ালো। তারপর সোজা দ্রুত গতিতে বেড়িয়ে গেলো..সব দেখে দুইয়ে দুইয়ে চার করতে বেশীক্ষণ লাগলোনা ওদের। 

ওরা অন্যমনস্ক হয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলো তখন তাদের বাম পাশ দিয়ে দ্রুত গতিতে একটা ছোটোহাতি আসছিলো..কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে আর কুকুরটির প্রভুর প্রতি ভক্তি ও ভালোবাসার জোরে কুকুরটি পেছন থেকে দৌঁড়ে এসে সজোরে ধাক্কা দিয়ে তাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে দেয়..এবং কুকুরটি ননির মা ও ননির বাবার পরিবর্তে সে নিজেই মৃত্যুকে আপন করে নেয়।

ননির মা ও বাবা দুইজনে দৌঁড়ে গিয়ে কুকুরটাকে ধরে রাস্তার এপাশে নিয়ে আসে..ততোক্ষণে রাস্তায় লোকজন জড়ো হয়ে গেছে..এক প্রফেসর দিদি সেখানে ছিলো তার নাম বর্ষা মিত্র তিনি একজন দক্ষ এনিমেল কমিউনিকেটর।টেলিপ্যাথির মাধ্যমে সে প্রাণীদের মনের কথা বুঝতে পারে। সে নিজের ব্যাগ থেকে জলের বোতল বের করে কুকুরটির মাথায় পরম স্নেহে হাত বুলিয়ে মাথাটা উঁচু করে জল খাওয়াতে থাকে।

জল খেতে খেতে কুকুরটি কেমন হাসফাস করতে থাকে..দিদিও কেমন যেন মরিয়া হয়ে যেতে থাকে।
দিদি এমন এমন ভাবে কুকুরটির সাথে পশুসুলভ আচরণ করছিলো তা দেখে বোঝা যেতে পারে সে কুকুরটির সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে। কিংবা কুকুরটির ভাষা বোঝার চেষ্টা করছে।।
একসময়ে সব নিস্তব্ধ। 
কুকুরটির ছটফট করতে থাকা চনমনে দেহটি মাটিতে লুটিয়ে পড়লো।


সকলের চোখে তখন জল । 
ধীরেধীরে আশেপাশের লোকজন ফাঁকা হয়ে গেলো..বর্ষা দিদিও উঠে দাঁড়ালো নিজের মনকে শক্ত করে। 

যাওয়ার আগে ননির বাবা - ও ননির মা বর্ষা দিদিকে জিজ্ঞেস করলো - দিদি
কুকুরটি মরে যাওয়ার আগে ওইরকম করছিলো কেন ?

বর্ষা দিদি - কুকুরটি চলে যাওয়ার আগে ওর হাবভাব, আচরণ দেখে যা বুঝলাম ওহ বলে গেলো..আমার বাড়িরলোক যেন ভালো থাকে। দিদি নিজের চোখের জল মুছে এগিয়ে যেতে লাগলো। 

ননির বাবা ও ননির মা তখন রাস্তায় বসেছিলো কালুর নিথর দেহটার উপর একটা মাছি ভনভন করতে করতে কালুকে কেন্দ্র করে ঘুরতে লাগলো।

ননির মা ও ননির বাবার দুইজনের চোখেই তখন জল।


আলোচ্যে গল্পটি শুধুই কি একটা গল্প? দয়া করে কেউ সখের বসে কুকুর বিড়াল পুষতে যাবেননা। কারণ আপনি হয়তো নিজের সখ নিবারণ করার জন্য ওদের বাড়িতে আনছেন, কিন্তু ওরা আপনাকে নিজের দুনিয়া বানিয়ে নেবে।

লেখা উপস্থাপনায় - Silient talks of midnight animals.. 

গল্পটার সাথে বাস্তবের কোনো মিল নেই।

অঙ্কিতা দিদি ও দিদির ছানাপোনা

বন্ধুরা সবাই কেমন আছো? অনেকদিন পর আবারো একটা গল্প নিয়ে চলে এলাম।  যেই গল্পের মুখ্য চরিত্র কাজল, আলু আর মায়াকে নিয়ে। অঙ্কিতা দিই হচ্ছে এই বাচ...