Kolkata Midnight Talk

প্রতিদিন আমাদের সাথে অসংখ্য ঘটনা ঘটে। সেই সকল ঘটনা যেগুলো আমরা কেউ শেয়ার করার মতোন কাউকে পাইনা, আমাদের ব্লগে সেই সকল অজানা গল্প, অবলা পোষ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন লেখা ছাড়াও কিছু লেখকের ভূত ও ভালোবাসার গল্প পাবেন। আশা রাখছি আমাদের পাশে আপনাদের মতোন বন্ধুদেরকে সবসময় পাবো।

LightBlog

Breaking

সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩

অঙ্কিতা দিদি ও দিদির ছানাপোনা

বন্ধুরা সবাই কেমন আছো? অনেকদিন পর আবারো একটা গল্প নিয়ে চলে এলাম।  যেই গল্পের মুখ্য চরিত্র কাজল, আলু আর মায়াকে নিয়ে। অঙ্কিতা দিই হচ্ছে এই বাচ্চাগুলোর অভিভাবিকা। বাকি বাচ্চাদের মতোন গল্পটা শুরু হলেও তবে প্রতিটা বাচ্চারই আলাদা কিছু গল্প আছে।

(১)


আলু আর কাজল ভীষণ দুষ্টু....আর খাওয়ার ব্যাপারে ছোটো রাক্ষস... ওতো আমার বড়ো গুলো খেতে পারেনা...আর ভীষণ দুষ্টু...সারাবাড়ি মাথায় করে দেয় দুষ্টুমিতে আর ওদের মায়ের কাছে বেশী দুষ্টুমি করলেই মার খায় আমরা আবার গিয়ে ঠেকাই।


(২)

আর মায়া...ওকে বাজার থেকে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম ২ বছর আগে...তখন ওর মাস তিনেক বয়স...দেখে কেমন জানি মায়া হয় আর নিয়ে আসি। ওর নাম দিই মায়া. কিন্তু এতোবছর ধরে ও আছে আমাদের ঘরে কিন্তু ও খালি আমায় ভালোবাসে বেশি ভরসা করে সবচেয়ে বেশি

(৩)

তারপর আমার বিয়ে হয়ে যায় গতবছর আমি চলে আসি...তারপর ও আস্তে আস্তে করে কেমন যেন হয়ে যেতে থাকে...ঘরে থাকেনা...খেতোনা ঠিক...রোগ বাধালো এই করে করে...আমার বোন মা ডাক্তার দেখিয়ে ঠিক করে আনলো...সেই তখন ওরা ওষুধ স্যালাইন করেছে তাতে আরো সমস্যা...আরোই ট্র!মা হয়ে গেছে...আর সারাদিন খালি মনম!রা হয়ে ঘুরতো খালি...

  এনি হচ্ছে কাজল

(৪)

আমি আবারো বাপের বাড়ি ফিরে ওকে যেই কাছে আনলাম আবার ঠিক হয়ে যাচ্ছে তখন আস্তে আস্তে...কিন্তু আমি তো আবার ফিরে যাবো জানিনা তখন কি করবে ও...

এই ছিলো আজকের গল্প। আবারো হাজির হবো খুব তাড়াতাড়ি আরও নতুন কিছু গল্প নিয়ে। এখন আপনারাও চাইলে নিজেদের পোষ্যদের ছবি সহ মজার মজার অভিজ্ঞতা আমাদের কাছে শেয়ার করতে পারেন৷ আমরা সেটি সকল চারপেয়ে বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দেবো।

লেখা ও ছবি - অঙ্কিতা দাস দিদিভাই।
সকলে অঙ্কিতা দিদি ও তার ছানাপোনাদের জন্য প্রার্থনা করবেন। যাতে ওরা সকলে ভালো থাকে, সুস্থ থাকে।

শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩

আগস্ট ১৯, ২০২৩

জনপ্রিয় Meme Dog Cheems আর নেই।


বিখ্যাত Meme Dog Cheems আর নেই আমাদের মাঝে। সাধারনত Cheems কে আমরা মিমের মাধ্যমেই কমবেশি সকলেই চিনি। বাচ্চাটি একবছর বয়সের থেকে হংকং এর একটি পরিবারে বড়ো হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার সুন্দর সুন্দর কার্যকালাপ গুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হয়।

প্রতীকি ছবি - Unsplash

Cheems_Balltze নামে একটি Instagram পেজ চালু করা হয় পরে। সেই পেজটিও ভাইরাল হয়েছে। Cheems মুলত 2017 সালে একটি চতুর ছবির মাধ্যমে চারিদিকে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেছিলো তখন থেকে সে তার দুষ্টু চেহারা এবং কাজের জন্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়েছে।

গত ২০২৩ সালে জুলাই মাসে Cheems ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরে চিকিৎসা করা হয়। তবে গতকালের অস্ত্রোপচার শেষে, Cheems এর শারীরিক থেরাপি ব্যর্থ হয়। ফলস্বরূপ Cheems চলে যায় তারাদের দেশে। Cheems মৃত্যুর খবর তার ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম পেজ balltze-তেও পোস্ট করা হয়েছে। তারাদের দেশে ভালো থাকিস। আমাদের কে মজার মজার মেমে/ভিডিওর মাধ্যমে অনেক আনন্দ দিয়েছো। তোমার মেমে/ভিডিও গুলো স্মৃতি হয়ে থাকবে।

ছবি - Unsplash
তথ্যে - সোশ্যাল মিডিয়া।

শনিবার, ৬ মে, ২০২৩

মে ০৬, ২০২৩

বিড়ালের ভিডিও'টি সম্পূর্ণ ভুয়ো।


একটি বিড়াল এর ভিডিও চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক এ এই ভিডিও দেখে আতংকিত হচ্ছে কিংবা ভয় পাচ্ছে আসলে এই ভিডিওটি সত্যি নয়।

এটি তৈরী করা "ডিজিটাল ফরেনসিক এক্সপার্ট" রা বিষয়টি নিয়ে একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। 

ভিডিওটি প্রথম ইউটিউব এ আপলোড করা হয় ২০০৫ সালে। তখন ভিডিও টি অনেক ভাইরাল হয় সেই সময়ে এবং এটি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। 

এই সময়ে আমেরিকান সংস্থা নাম "American Society for the Prevention of Cruelty to Animals (ASPCA)"

ভিডিওটি নিয়ে তদন্ত করে এবং তদন্তে রিপোর্ট এ পায় যে ভিডিওটি ভুয়া এবং এটি বিশেষ Graphical Effect এর মাধ্যমে তৈরী করা হয়েছে। 

এবং বাস্তবে কোন বিড়াল এর কিছু হয়নি। 

তারা আরো বলে "The ASPCA noted that the video’s audio did not match the movements of the cat and that the cat appeared to be computer-generated."

তবে ভিডিওটি দয়া করে কাউকে শেয়ার না করার জন্য উৎসাহিত করতে বলা হয়েছে তাই দয়া করে এই কাজ করা থেকে সবাই বিরত থাকুন। এই পোস্ট দেওয়ার মানে হচ্ছে যে আপনারা দয়া করে কেউ আর এই টপিক নিয়ে আলোচনা করবেন না এবং এই ভিডিও শেয়ার করবেন না এটা বলার জন্য।

নোট: ভিডিওটি সত্যি হোক কিংবা মিথ্যা এইরকম ভিডিও শেয়ার করলে অনেক এই ভাইরাল হওয়ার জন্য এমন কাজ করে বসতে পারে। প্লিজ এই টপিক নিয়ে আলোচনা বন্ধ করুন।

কারণ আমাদের মানুষ জাতির মোরালিটি বিলুপ্তের পথে। তাই এই জিনিস একদম শেয়ার করা বন্ধ করুন সকলে। আলোচ্যে আর্টিকেল সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্ট থেকে নেওয়া।

Courtesy - Abdullah Al Jaber

সবশেষে যাইহোক। প্লিজ এই বিড়ালের ব্লে!ন্ডিং করার খবর'টা প্লিজ আর ছড়াবেন না৷ অনেকে শারিরীক ওহ মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন এই ভিডিওটি দেখে।
Note - পুরো ইনফরমেশনটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত এর সত্যতা যাচাই করে দেখা হয়নি। অনেকে এই ভিডিওটি দেখে হতাশা ও ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছিলো যদি এই ঘটনাটি ভুয়ো হয়ে থাকে তবে এই লেখাটি পড়ে অনেকে স্বস্তি বোধ করবে। আমরা কোনো কুয়েলিটির প্রচার করিনা। সকল বাচ্চারা ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক।
মে ০৬, ২০২৩

জীবন্ত বিড়ালকে ব্লেন্ডা!রে ঢুকিয়ে ব্লে!ন্ড করলো এক ব্যক্তি।

বিড়ালের এই ভিডিওটি মস্তিষ্কের জন্য খুবই অস্বাভাবিক একটা বিষয়। ছোটো এই ভিডিওটি রাতের ঘুম কেড়ে নেবে। কতটা নীচে নামলে মানুষ এমন কাজ'টা করে ভাবা যায়?

ইতিমধ্যে অনেকেই দেখেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ক্লিপ। যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি বিড়াল'কে ব্লেন্ডারে ঢুকিয়ে তার উপর অত্যাচারী করা হচ্ছে। ব্লেন্ডারটি অন-অফ করে বিড়ালটিকে মরন যন্ত্রনা দেওয়া হচ্ছে। বারবার ব্লেন্ডারটি খুলছিল যতক্ষণ না বিড়ালের পা ফেটে যায় এবং বিড়ালের পা ভেঙে যায় এবং তার পেট ভেঙে যায় এবং তার অন্ত্র থেকে থুতু বের হয়, তার পরেও, বিড়ালটি জীবিত ছিলো, বিড়ালটি জোরে জোরে শব্দ করছিলো প্রাণপণে বাঁচার জন্য কিন্তু ওই পিশাচটা তখনো থামেনি। এখানেই শেষ নয়। এরপর সে বিড়ালটিকে মাইক্রোওয়েভে রেখেছিল যতক্ষণ না পর্যন্ত বিড়ালটি মারা যায়। 

ছবি - সোশ্যাল মিডিয়া
সংগৃহীত

অনুমান করা হচ্ছে লোকটা সম্ভবত চিনের কারন ওই ব্লেন্ডারে চিনা ভাষায় লেখা ছিলো। আর উনি ২০১৩ সাল থেকেই এমন বিড়ালের উপর নির্যাতন করতেন। এর জন্য তার দুই মাসের জেলও হয়েছিল। সে এবার লিমিট ক্রস করে ফেলেছে। সে পুরো একটা সাইকো,আগা গোড়া সব মিলিয়ে। ২০১৩ সালে তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে ব্রেকআপ হওয়ার পর থেকে সে বিড়াল সহ্য করতে পারে না কারণ তার গার্লফ্রেন্ড বিড়াল পছন্দ করত। আর এটা তাকে পুরো সাইকো করে তুলেছে। বিড়ালটাকে দুই/তিনবার ব্লেন্ড করার পর ওটাকে ওভেনে ঢুকিয়েছে। কিছু বলার ভাষা নাই
বিড়ালটাকে ব্লেন্ডারে জীবন্ত ব্লে/ন্ড করার পরও বেঁচে ছিলো, তাই আবার মাইক্রোওয়েভ এ ঢুকিয়েছে ওই ব্যক্তি..


এখন পর্যন্ত, পশু নির্যাতনকারীর অবস্থান ট্র্যাক করা হয়েছে, দর্শকরা তার আইপি ঠিকানা ছড়িয়ে দিয়েছে এবং তাকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে, আমি যতদূর জানি, তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে।



সতর্কতা: হার্টের অজ্ঞান হওয়ার জন্য আপনার নিজের ঝুঁকিতে দেখুন, এটি দেখবেন না কারণ এই ভিডিওটি বিরক্তিকর, আর এইভিডিও বেশী ভাইরাল হলে এই ধরনের সাইকো মানুষগুলোর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। আমাদের উচিৎ এই ভিডিওটি না দেখা।

সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ভিডিওটির উৎস স্পষ্ট নয়, তবে এটি ডার্ক ওয়েব থেকে উদ্ভূত হয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়।  ভিডিওটি প্রথম টুইটারে 22শে এপ্রিল, 2023-এ শেয়ার করা হয়েছিল, “@DarkBlender” হ্যান্ডেল সহ একজন ব্যবহারকারী।  ব্যবহারকারী তখন থেকে তাদের অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেছে, এবং ভিডিওটি টুইটার থেকে মুছে ফেলা হয়েছে, তবে এটি ভাইরাল হওয়ার আগে নয়। 

যেহেতু এই আর্টিকেল'টি সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্যে অনুযায়ী লেখা হয়েছে। এর কোনো সত্যতা যাচাই করবার মতোন উপযুক্ত প্রমান নেই আমাদের কাছে। তবে আমরা যখনি কোনো উপযুক্ত তথ্যে পাবো সেটি পুনঃরায় সংযোগ করবো। ভুলত্র‍্যুটি মার্জনীয় এনিমেল দের উপর অত্যাচার হলে চেষ্টা করুন রুখে দাঁড়ানোর


তথ্যে ওহ ছবি - ফেসবুক
Source - https://m.facebook.com/photo.php?fbid=1424979861402009&id=100016700261570&set=a.128064487760226&eav=AfbZzJch1VE2j9zYv2Uhc8aWvLuTH36QfpDWjpLRooBO4-yrAp2XrDM5ma_-bPYxtvk&paipv=0&__tn__=EHR

ভিডিও - ফেসবুক

শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০

ডিসেম্বর ১২, ২০২০

পুকুসোনা। Madhukrishna Dhar।

ছবি ও তথ্যসূত্র - Madhukrishna Dhar   
উপস্থাপনায়- Silient Talks Of Midnight Animals      

        পুকুসোনা
- Madhukrishna Dhar
বিড়াল এমন এক প্রাণী যাকে যতোই আদর করা হোকনা কেন মনটা ঠিক ভরেনা। সামান্য একটু আদর করলেই ওরা নিমেষে বন্ধু হয়ে যেতে পারে। আজ আমি আপনাদের এমনি এক খুদে বন্ধুর সঙ্গে পরিচয় করাবো। যার নাম পুকু।

ছবি - পুকু ও তার মা

এই পুঁচকে পুকু 04/03/2016 তারিখে হাওড়ার কোনো এক যায়গায় জন্মেছিলো। ছবিতে যেই দিদিকে দেখছেন তার নাম Madhukrishna দিদি। তার কাছেই মানুষ হয়েছে আমাদের এই প্রিয় পুকু সোনা।

ছবিতে- পুকু ও তার মা

সারাদিন দুষ্টুমি করলেও পুকু কিন্তু তার মা'কে প্রচন্ড ভালোবাসে। মায়ের সাথে খেলা করা ওহ মায়ের কোলে মাথা দিয়ে ঘুমানো পুকুর রোজকার অভ্যাস। বিড়াল কুকুরের ভাষা আমরা কেউ বুঝতে পারিনা এটা ঠিকই। তবে ওদের কে যারা নিজের মনঃসংযোগ এক করে বোঝার চেষ্টা করে, ওদেরকে ভালোবেসে আপন করে নিজের কাছে টেনে নেয় তারা যতোই ওদের ভাষা বুঝতে না পারুক তবে ওদের ইচ্ছা, ওরা কি বলতে চাইছে একটু হলেও সে উপলব্ধি করতে পারবে। আমাদের এই পুকু সোনার দেহর ভাষা ( Body Language ) ও গতিবিধি এবং এতো ছোটো থেকে একটা বিড়ালসোনাকে বড়ো করে তোলার অভীজ্ঞতা মারফৎ পুকু কি চায়..কোনটা তার ভালো লাগছে কিংবা কোনটা তার কাছে কটু লাগছে সেটি বুঝে যায়। পুকুরা একভাই,দুইবোন। পুকুর একটা বোন আছে। কিন্তু ওর যে ভাই ছিলো সে আছে " না ফেরার কোনো এক দেশে "

আমাদের প্রিয় পুকুসোনা।

পুকুর প্রিয় খাবার বিড়ালদের ড্রাই ফুড। তবে পুকু কিন্তু মাঝেমধ্যে রাগ করে। যখন রেগে যায় তখন তাকে সামলানো খুব মুস্কিল। তখন কোনো সময় পুকুর মা..তার মেয়েকে আদর করে কিংবা
তার মেয়ের কাছে ক্ষমা চায় কিংবা জোড় করে কোলে নিয়ে পুকুকে একটু বেশীক্ষণ আদর দিতে হয়।

তারপর আর কি..পুকু তার ছোটো ছোটো হাত দিয়ে তার মা'কে অভিমান করে আলতো করে মারে..তারপর যখন রাগ কমে যায় তখন আবার আদর করে দেয়।

এটাই ছিলো আমাদের প্রিয় পুকু সোনার গল্প।

রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০

ডিসেম্বর ০৬, ২০২০

স্ট্রবেরি সোনার দুনিয়া। Megha Bose।

ছবি ও গল্প - Megha Bose
উপস্থাপনায় - Silient talks of midnight animals      

  ~ স্ট্রবেরি সোনার দুনিয়া। 

হেই বন্ধুরা আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই পছন্দের তালিকায় কিছুনা কিছু বিশেষ জিনিস থাকে। যেগুলো আমরা কারুর সাথে ভাগ করে নিতে চাইনা। কারণ সেই জিনিস টুকু শুধুই যে নিজস্ব হয় তাই নয় একান্ত ব্যক্তিগতও বটে। আজ আমি আপনাদের একটি খরগোশের গল্প শোনাবো। হ্যাঁ ছোটো একটা খরগোশ সোনার গল্প। যার নাম স্ট্রবেরি বাড়ি তার বেলঘরিয়ার কোনো একটা জায়গায়। তবে তার দিদিমা তাকে ভালোবেসে পিমপিম বলে ডাকে। এই পিমপিম সোনাকে তার দিদার কাছে....পিমপিমের দিদিমার যে দিদি তার ছেলে অক্টোবর মাসের পাঁচ তারিখে নিয়ে আসে।

স্ট্রবেরি সোনার দিদা যেহেতু সারাক্ষণ বাড়িতেই থাকে তাই তার সঙ্গী বলতে কেবল তার একমাত্র ছোটো সোনাটাই। স্ট্রবেরির দিদা স্ট্রবেরি'কে ডাকলে ও সাথে সাথে চলে আসে আর তার দিদা বসে থাকলে স্ট্রবেরি তার দিদার কোলের উপর উঠে বসে পড়ে। স্ট্রবেরি আদর খেতেও খুব পছন্দ করে । ওর কান টা আলতো হাতে কেও ধরলে ও খুব আরাম বোধ করে। ওর প্রিয় খাবার কলমি শাক আর গাজর। স্ট্রবেরি দূর্বা ঘাস খেতেও ভালোবাসে। স্ট্রবেরির পছন্দের তালিকায় আবার মুড়ি ও আছে।
ছবি - স্ট্রবেরির দিদা ও স্ট্রবেরির সাথে।  


স্ট্রবেরির কোনো ভাই বা বোন নেই স্ট্রবেরি একাই। তবে তাতে বিন্দুমাত্র দুঃখ স্ট্রবেরির নেই, স্ট্রবেরি তার দিদার সবচেয়ে প্রিয় এবং কাছের বন্ধু।


এমনিতে সারাক্ষন স্ট্রবেরির দিদা স্ট্রবেরিকে চোখে চোখেই রাখে। স্ট্রবেরি বাড়িতে থাকলেও তার দিদার নজর ছাড়া হয়না কখনো। স্ট্রবেরির  অভিমান হলে বা কষ্ট হলে স্ট্রবেরির দিদা সেটা বুঝতে পারে, স্ট্রবেরি তখন তার দিদার কাছে এসে খুব আদর খেতে চায় । আর তখন স্ট্রবেরিকে ওর প্রিয় কলমি শাক আর গাজর দিলে সব কান্না ও ভুলে যায় আর সেগুলো তৃপ্তি নিয়ে খায়। এছাড়া ওর প্রিয় টেডির ওপর মাথা দিয়ে ঘুমোতে খুব ভালোবাসে। 

স্ট্রবেরি বাড়ির সবার মধ্যে শুধু দিদাকেই মানে এবং সবথেকে বেশী চেনে, স্ট্রবেরির দিদা স্ট্রবেরিকে কাছে ডাকলেই চলে আসে। এরা এবং এদের মতন সকলে তো এমনি ভালোবাসার কাঙাল হয়।

এই হচ্ছে স্ট্রবেরির একটা ছোটো গল্প। কেমন লাগলো গল্পটা অবশ্যই জানাবেন।

উপস্থাপনায় - Silient talks of midnight animals      

শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০

নভেম্বর ২৮, ২০২০

সবুজ রঙের হ্যারিকেন ও কালু। মলয় বিশ্বাস।

ছবি - নিজস্ব। 

সবুজ রঙের হ্যারিকেন ও কালু
~ মলয়।

ঘটনাটি অনেক আগের
তখন রাত প্রায় দেড়টা। স্টেশন থেকে একা একা বাড়ি ফিরছি। বিধাননগর দক্ষিণদাড়ির কাছেই একটা ভোজবাড়িতে কাজ করতাম। (ভোজবাড়ি = Banquet) তো শেষট্রেন ধরেই ফিরতাম। এমনি সময় তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে যাই। তবে আজ আমাদের মালিক চারদিনের পয়সা পেমেন্ট করবে। পেমেন্ট পাওয়ার পর সকলের সাথে ওখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে বলতে অনেকটাই দেরি  হয়ে গেলো। যাদের সাথে কথা বলছিলাম ওদের বাড়ি স্টেশনের ধারেই তবে আমার বাড়ি আরও অনেক দুরে। স্কুলে পড়ার সময় ছেলেগুলোর সাথে বন্ধুত্ব হয়েছিলো এখনও বন্ধুত্ব বজায় আছে। কলেজের ফিস্  এর খরচাপাতি এই কাজের থেকেই উঠে আসতো। তো পয়সা পেয়ে সকলকে বিদায় জানিয়ে ফিরতে ফিরতে অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে। সামনেই একটা বাঁশবন, তারপর একটা ঝিল। ঝিল পেরিয়ে কিছুটা এগোলে ডানহাতের গলিটায় একটু এগোলে আমাদের বাড়ি। তো আমি এই রাস্তা দিয়ে সবসময়ই যাওয়া আসা করি। নিজেদের পাড়ার রাস্তা। তো নিজের মনে নানা রাজ্যের যতো উলফাল জিনিস আছে ভাবতে ভাবতে বাঁশ বাগানটা পার করেছি সামনেই একটা ঝিল..তারপাশ দিয়ে রাস্তা। আর রাস্তার পাশে একটা ছোটোমতোন ক্ষেত। একটা দুটো ঘরের পরেই ক্ষেত-টা শুরু হয়। তো ঝিলপাড়ের রাস্তাটা যেই ধরতে যাবো এমন সময় একটা কুকুর পেছনে একটা ডাক দিলো। এই ডাকটা আমার খুব চেনা। পেছনে ঘুরে দেখি কালু। তো এখানে বলে রাখি আমি যখনি বাড়ি ফিরি বিধানগর স্টেশন থেকে এক প্যাকেট বিস্কুট কিনে রাখি। রাস্তায় কোনো কুকুর চিৎকার করলে তার দিকে বিস্কুট এগিয়ে দিই৷ অবশ্য প্রথমে একটু ওরা চিল্লাচিল্লি করতো কিন্তু এখন আর করেনা। কারণ ওরা আমাকে চিনে গেছে।

তো কালুকে দেখামাত্রই বিস্কুটের প্যাকেট থেকে তিনটে বিস্কুট ওর সামনে এগিয়ে দিলাম। আর আমি নিজে একটা খেলাম। তো কালুকে বললাম..কি রে তুই ঘুমাস নি এখনো? যা গিয়ে ঘুমো।

জানিনা ওহ আমার কথা বোঝে কিনা। তবে ওহ বিস্কুট খাওয়ার উপর ঝিলের দিকে তাকিয়ে কেমন যেন ছটফট করতে লাগলো। 

আমি কালুকে আজ অবধি এইরকম ভাবে আচরণ করতে দেখিনি। 

ভাবলাম কালুর হয়তো গায়ে কোথায় ব্যথা ফ্যথা আছে। দিনরাত এপাড়া ওপাড়া বারো যায়গায় যায়। মারপিট করে বেড়ায়। ব্যথা হবেনা। তো আমি বাড়ির দিকে যেই পা বাড়াবো ওমনি কালু আমার সামনে এসে মাটির উপরেই শুয়ে পড়লো। তারপর নিজে থেকেই ওঠে সামনের দিকের  ঘরেটার দিকে এক ছুট দিলো। আবার আমার সামনে এসে বসে পড়লো আবার উঠে ওই দোকান ঘরের দিকে ছুট দিলো।
আমি ভাবলাম কালু আমার সাথে খেলতে চায়। আমি কালুকে একটু বকে বললাম..এখন খেলবোনা। এখন ঘুমাবো। কাল সকালে বাড়িতে আসিস। এইবলে আমি যেই পা বাড়াবো। ওমনি আমার কালো প্যান্ট-টা কালু টেনে ধরলো।

তারপর কালু আবারো ওই সামনের ঘরের দিকে ছুট লাগালো, আর আমার সামনে দৌঁড়ে এলো। আমার সামনে দাঁড়িয়ে মুখটা ওই ঘরটির দিকে করলো আবারো ছুট দিয়ে ওই ঘরের সামনে গিয়ে একটা মৃদু স্বরে ঘেউ করে উঠলো।

আমি ভাবলাম হয়তো ওইঘরে কেউ আটকা পড়ে আছে। এই ঘরটা কিছুদিন হলো হয়েছে। দরজা ফরজা নেই। সম্ভবত এই ঝিলপাড়ের সামনের রাস্তাটা বেশ চলতি হওয়ায় এই ঘরটা একটা দোকান ঘর হবে। আমি ভাবলাম ওই ঘরে হয়তো কিছু একটা হয়েছে। তাই কালুর পেছন পেছন ওই ঘরের দিকে এগোলাম। যতোটুকু চাঁদের আলোয় দেখলাম ঘর্র ভেতরটা ফাঁকা পুরো। তো কালুকে দেখলাম ঘরের পাশে গিয়ে চুপ করে বসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি ওই ঘরের পাশে গিয়ে দেখি পরপর চারটে কুকুর চুপ করে মাটিতে মুখ নীচু করে শুয়ে আছে। কালুও মাটিতে মুখ লাগিয়ে নীচু হয়ে শুয়ে পড়লো।

আমি ব্যাপারটা কি হচ্ছে বুঝলাম না। হঠাৎ দেখলাম কালু সহ আর চারটে কুকুর এক দৃষ্টিতে ওই ঝিলপাড়ের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি ওদেরকে অনুসরণ করে ঝিলের দিকে তাকালাম। তাকিয়ে যা দেখলাম তা লিখে প্রকাশ করতে পারবোনা।
দেখলাম অনেক দুর থেকে একটা আলো ঝিলপাড়ের দিকে এগিয়ে আসছে। ব্যাপারটা ভালো মতোন বুঝতে পারছিলাম না। তবে আলোটা ধীরেধীরে যখন বড়ো হতে লাগলো তখন বুঝলাম একজন বয়স্ক মহিলা লাঠি হাতে করে এই ঝিলপাড়ের দিকে এগিয়ে আসছে।

আমার বয়স কুঁড়ি বছর। এই ঝিলের থেকে কিছুটা এগোলেই আমার বাড়ি। আমি আজ অবধি চোখে তো দেখা অনেক দুরে কথা কারুর কাছ থেকে শুনিনি এই ঝিলের উপর থেকে কেউ গভীর রাতে হেঁটে হেঁটে এই ডাঙার দিকে এগিয়ে আসে।

দেখলাম ওই বয়স্ক মহিলাটি ডাঙায় উঠে বামদিকে মুখ করে ( বাঁশ বাগানের উল্টোদিকের পথ, যেথ ধরে কিছুটা এগোলেই দুটো গলি পড়ে..ওই গলির ডানদিকেরটা ধরে কিছুটা দুর গেলে আমার বাড়ি ) 
উনি ওই দু'মাথা ওয়ালা গলির দিকে এগোতে শুরু করলো। যেতে যেতেই একসময় সে হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো।
ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে এলো প্রায়। একজন বয়স্ক মহিলা, কোমড় পরে গেছে। নীচু হয়ে হাটে উনি। কিন্তু ওনার চলার গতি ভীষণ দ্রুত। নিমেষে উনি ঝিলপাড়ের রাস্তা পাড় করে এগিয়ে চললো।

ভয়ে ও কৌতুহলে আমি একদিকে হতভম্ব ঠিকই। একেই শীতের রাত, তার উপর  এইরকম একটা জিনিসের দেখা। আশেপাশে কেউ নেই। এইরকম পরিস্থিতিতে সেইসময় আমার যে কি অবস্থা হয়েছিলো সেটি কেবল আমি জানি। একসময় ভাবলাম, এখন তো ওই মহিলাটি নেই দ্রুত ছুটে বাড়ি চলে যাই।

যেই ভাবা, সেই কাজ..আমি আমার ব্যাগটা উঠিয়ে পিঠে নিলাম দৌঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি..সেইসময় কালুর হঠাৎ কি হলো জানিনা..কালু আবার আমার পায়ের সামনে এসে শুয়ে পড়ে মুখটা আমার দিকে করে..মায়াবী দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ওর চাহনি দেখে এটুকু বুঝলাম যে..ওহ আমাকে যেতে দিতে চায়না। আর আমি সাংঘাতিক রকমের ভয় পেয়ে গেলেও, জানিনা কি মনে করে আমি এক অদ্ভুত কৌতুহলের বশে ওখানেই বসে পড়লাম। আর পুরো ব্যাপারটা কি থেকে কি হলো মেলাতে লাগলাম। ঠিক এমন সময় বাকি চারটে কুকুর আমার পাশ থেকে উঠে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো। মানে সামনে থেকে দেখতে গেলে..ওই দোকান ঘরের গা সেটে দাঁড়ানো আর কি। কালুও আমার পায়ের সামনে থেকে উঠে ওদের কাছে গিয়ে দাঁড়ালো..সকলেই ওই ঝিলপাড়ের রাস্তাটার দিকে তাকিয়ে আছে।
( চলবে ) 

গল্পটি সময় খরচ করে এতোদূর অবধি পড়েছেন তার জন্য আপনাদেরকে মন থেকে ধন্যবাদ জানাই। এই গল্পটির প্রথম পর্ব এখানেই শেষ করলাম। দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের উৎসাহ পেলে খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশ করবো।

#মলয়_বিশ্বাসের_ভৌতিক_গল্পসমগ্র #ভূত
#ভূতের_গল্প।
#সবুজ_রঙের_হ্যারিকেন_ও_কালু_প্রথম_পর্ব

সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২০

নভেম্বর ২৩, ২০২০

কালো কুকুরের কেলেঙ্কারি। মলয়।

ছবি ও লেখা - নিজস্ব।   
কালো কুকুরের কেলেঙ্কারি। 
   ~ মলয়। 

- দাদু পাশের বাড়িতে ওই ননি দিদিকে দেখলে? কোথা থেকে একটা কুকুর নিয়ে এসেছে।
  - হ্যা রে দেখলাম।
- দাদু ওদের পরিবারের কেউ তো কোনোদিন রাস্তার কুকুরদের একটা দানাও খেতে দেয়নি। এমনকি ওরা বাসি,পচা পান্তা ভাতও দিব্বি খেয়ে নেয়। তো ওরা যে কুকুর আনলো খেতে দেবে কি??

  - আরে চুপ..কর..
দেখছিস হাতে ফোন নিয়ে আছে। ওদের নাম নিয়ে কিছু বলিস না।

- কেন দাদু।
তোমার বন্ধুর ছেলে তো পুলিশ। তুমি আবার ওদের ভয় পাচ্ছ কেন?

  - ভয় কি আর সাধে পাচ্ছি..
ওই দেখ ননির হাতের মোবাইল-টা। দিনরাত ওই মোবাইল নিয়ে কুকুরের ছবি তোলে। কেউ যদি কুকুর নিয়ে কিছু বলতে আসে তবে ওইযে ভিডিও ক্যামেরা করেনা মোবাইল দিয়ে..সেইসব করে কাকে যেন দেখায়..কিছুক্ষণের মধ্যে বেশ শক্তপোক্ত লোকেরা এসে ধমক-ফমক দিয়ে যে বা যিনি কুকুরের নামে কিছু বলে..তাদের অবস্থা খারাপ করে দেয়।

 - বলো কি?
দাদু।

  - আমি কি আর সাধে..চুপচাপ বসে থাকি। তুইও চুপচাপ থাক সব খেল দেখতে থাক।

** দুই মাস পর কোনো এক রৌদ্রময় দিনে **

  ননি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে..হঠাৎ তার বান্ধবীর সাথে দেখা।

 - কেমন আছিস রে ননি? তোর সে গলুমলু কুকুরটা কই? কুকুর-টা কেমন আছে রে?

ননি - আরে আর বলিস না..ওকে আমি রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছি। ওহ খালি ডাকতো..কথা শুনতো না। ওকে কোনো বিশেষ প্রশিক্ষণ দিলেও আগ্রহ সহকারে মনে রাখেনা।

 - ওহহহ ফেসবুকে তো দেখতাম ঘন্টায় ঘন্টায় লাইভে আসতিস। আর বলতিস এই আমার বাচ্চা খাচ্ছে, এই আমার বাচ্চা পটি করছে, এই আমার বাচ্চা ঘুমোচ্ছে..এই আমার বাচ্চা খেলছে..আর প্রত্যেকবার ক্যাপশনে লিখতিস..দেশী পুষুন, দেশী হয়েও বিদেশী পোষে যেইজন সেইজন কে দেখিতে পারেনা ননির এই সাধাসিধে মন। আমিতো তোর কুকুরের প্রতি ভালোবাসা দেখে পাগল হয়ে যেতাম..ভাবতাম আমার যদি একটা কুকুর থাকতো।

ননি - হ্যাঁ সেইসব এখন অতীত। ৭-৮ দিন আগে ওকে ছেড়ে দিয়ে এসেছি। 

  - কিন্তু তোর মতোন একজন এতো বড়ো কুকুরপ্রেমী এই কাজটা করেছে শুনলে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় হয়ে যাবে।

ননি - আরে ননি, এতো কাঁচা কাজ করেনা। আমি যখন বুঝলাম আমার দ্বারা আর কুকুর পোষা হবেনা, তখন ফেসবুকে একটা পোস্ট করলাম..আমার বাড়িতে রোজ ১০০ টা কুকুর আসে, আমি ওদের রোজ খাবার দিই..এই কুকুরটা প্রায় দুইমাস আগে রাস্তা দিয়ে উদ্ধার করি, একটি বিশেষ কারণে ওকে রাখতে পারছিনা। কোনো সহৃদয় ব্যক্তি যদি ওকে দত্তক নিতেন তাহলে এই শিশুটি একটা ঘর পেতো। আর এই গরীব মেয়েটির মুখে হাসি ফুটতো। 
ব্যস।। আর নীচে লিখেছিলাম adopt deshi..

এতো বড়ো একটা লেখা লিখে পোস্ট করলাম কেউতো ওকে দত্তক নিলোনা উল্টে লাইক,কমেন্টও করলো না।

  - এ ভারী অন্যায়। 
একটাও লাইক,কমেন্ট করলোনা। এটা আর নিতে পারলামনা। তুইতো এর আগে যখনি ওর ছবি পোস্ট করতিস তখনি লাইক,কমেন্ট,শেয়ার ঝুড়ি ভরে ভরে পেতিস। আর এই পোস্টে তোর এতো খারাপ অবস্থা। যাক গিয়ে..তো কুকুরটাকে কোথায় ছাড়লি??

আমি ছাড়িনি, আমার বাবা ছেড়ে দিয়ে এসেছে। জানিস কত সাধ করে ওকে এনেছিলাম..পুরো কুচকুচে কালো। আমাদের বাড়িতে যে তান্ত্রিকটা আসতো..সে একবার গল্প করতে করতে বলেছিলো..কালো কুকুরকে শনিবার,মঙ্গলবার দুপুরে খাওয়ার আগে যদি একটা করে রুটি খাওয়ানো যায়..তাহলে নাকি সংসারে উন্নতি হবে। 

  - আচ্ছা তাই নাকি?
আমিতো শুনেছিলাম কাককে খাওয়ালে গ্রহরাজ খুশী হয়। কারণ কাক নাকি কেতুর বাহন। রোজ ভোরবেলায় খালি পায়ে..ধোঁয়া জামা কাপড় পড়ে..কাক কে বোঁদে খাওয়ালে নাকি সংসারের সব দুঃখ মিটে যায়। 

ননি - কি বলিস?
দ্বারা এই ব্যাপারটা ওই তান্ত্রিককে জিজ্ঞেস করবো।

ওকেতো আমরা রাস্তায় পেয়েছিলাম বেশ গবলু দেখতে ছিলো। আর তাছাড়া ওহ খুব তাড়াতাড়ি বড়ো হয়ে যাচ্ছিলো..ওর বয়স কত আমি সেটাও জানিনা..রাস্তায় যেতে যেতে পেছন করছিলো..আর তান্ত্রিকের কথাটা মনে পড়ে গেছিলো তাই ওকে নিয়ে এসেছিলাম বাড়িতে। আমার অনুমান ওর বয়স ৭-৮ মাসের বেশী হবে।
কিরকম গবলু হয়ে গেছিলো তুই না দেখলে বিশ্বাস করবিনা..ওর এতো জোর যে ওকে আমরা কেউই ধরে রাখতে পারতাম না।

  - হ্যাঁ করিস তো।
তোর থেকে একটা হেব্বী জিনিস জানলাম..প্রয়োগ করে দেখতে হবে। তবে কালো কুকুর যে কই পাই।

ননি - হ্যাঁ তবে কুচকুচে কালো। একটুও সাদা থাকলে চলবেনা।

  - ওরে বাবা..কুচকুচে কালো..ইয়ে মানে ওর দাঁত যদি সাদা হয়..তাহলে কি চলবেনা??

ননি - আরে দাঁত তো সবারই সাদা। না দাঁত সাদা হলে অসুবিধা নেই।

  - এইজন্যেই তো তোকে আমার এতো ভালো লাগে..তুই আমার ডার্লিং আমার সুইটহার্ট। কিন্তু তোর কুকুরটার জন্য আমার ভীষণ মন খারাপ করছে।

ননি - হ্যাঁ রে..আমারও মন খারাপ হয়ে গেলোরে ওর কথা বলতে বলতে। দাঁড়া একটু ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস আপডেট দিই..

#গল্প_হলেও_সত্যিই

" আজ প্রায় অনেকদিন হয়ে গেলো, আমারক প্রিয় লালু আর নেই। আমার আজও মনে পড়ে সেই রাতের কথা..ওইদিন কালুর আগেই আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম..কালু প্রতিদিন আমার আগে বিছানায় গিয়ে শুতো তারপর আমি বিছানায় গিয়ে শুতাম। কিন্তু সেইদিন আমি আগেই শুয়ে পড়েছিলাম বলে..আমার কালু রাগ করে আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে..সত্যিই  ওরা কথা বলতে না পারলেও..রাগ,অভিমানের দিক থেকে যেকোনো মানুষকে টেক্কা দিতে পারবে।
আমার কালু..
আই ফিরে আই।

স্ট্যাটাস-টা পোস্ট করার পর।

একটা মনের চাপা দুঃখকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে লিখলাম।

  - কিন্তু তুই স্ট্যাটাসে লিখেছিস যে, ওহ বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে..কিন্তু ওকেতো তোরা গিয়ে ছেড়ে দিয়ে এসেছিস। যদি এই ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে যায় যে..তুই মিথ্যা স্ট্যাটাস লিখেছিস তখন??

ননি - আরে তুই স্ট্যাটাস-টা ভালো করে পড়িস নি?
ক্যাপশনে কি লেখা আছে??

" গল্প হলেও সত্যিই "
পরে কিছু ঝামেলা হলে বলতে পারবো যে এটা একটা গল্প ছিলো..যেটার সাথে বাস্তবের মিল থাকতে পারে..আবার নাও পারে।
আর এখানে তো একবারো আমার নাম উল্লেখ নেই..তবে কালুর নাম উল্লেখ আছে..আর এই দুনিয়ায় কি শুধু আমার কুকুরের নামই কালু ছিলো?

  - বাহ..ননি তোর গোয়েন্দা বুদ্ধি আর তোর স্ট্যাটাস আর অবলাদের প্রতি ভালোবাসা দেখে আমিতো একেবারে মুগ্ধ। তোর জবাব নেইরে।

ননি - হ্যাঁ রে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে রে জানিস ওর ছবি পোস্ট করলেই কত লাইক পেতাম..সেইসব পুরনো দিনগুলো কি করে যে ভুলি। চলি রে..খুব কষ্ট হচ্ছে মনে।

  - হ্যাঁ রে তুই সাবধানে যা।
আমারো মন খারাপ হয়ে গেলোরে।

ননি বাড়ির দিকে এগোতে লাগলো। 



পর্ব - দুই

ননি বাড়ির কিছুটা আগে ননিকে দেখতে পেয়ে সেইযে দাদু আর নাতি..আবারো কথোপকথন শুরু করে দিলো।

বুঝলি..এইবার একটা নাটক দেখার জন্য প্রস্তুত থাক।

  - কেন দাদু?
কি হয়েছে??

দাদু - চুপ করে দেখনা শুধু।

ধীরেধীরে ননি বাড়ির সামনে এসে বাইরের কদরজাটা খুললো। বাড়ির দরজা খুলে ননিতো সাংঘাতিক অবাক হয়ে গেলো..কারণ যে কালুকে তার বাবা ছেড়ে দিয়ে এসেছিলো। সেই কালু তার বাড়ির উঠোনে খেলছে। সবথেকে অবাক করার বিষয় কালুর চেহারাটা একদম ভাঙেনি। একদম মোটাসোটা হয়ে গেছে।

ননি চিৎকার দিয়ে তার মা'কে ডাকলো..মা..ও মা..
ননির মা বাইরে এসে সেও অবাক।

কুকুরটা বাড়ি এলো কিভাবে??

ওরা দুইজনে যতোটা অবাক..তার থেকে বেশী অবাক ননির বাবা..তিনজনে যতোই অবাক হোক না কেন..আমাদের কালু বাবু তখন উঠোনে এদিক-ওদিক দিব্বি ছোটাছুটি করে বেড়াচ্ছে।

তো ওইদিন কালু ননিদের বাড়িতেই ছিলো..ওরা সকলে মিলে ঠিক করলো কুকুরটাকে আবার ছেড়ে দিয়ে আসা হবে। তবে আগে যেখানে ছেড়ে দিয়ে আসা হয়েছিলো সেখানে নয়..তার থেকেও অনেক দুরে।

তো প্ল্যান মাফিক কাজ পরেরদিন অনেক ভোর ভোর কুকুরটাকে ছেড়ে দিয়ে আসে ননির বাবা।

বাড়ির লোক তখন বেজায় স্বস্তিতে। ঠিক বিকেল বেলায় ননির মা যখন বাড়ির বাইরে বেড়োয় মাঠে যাওয়ার জন্য তখন দেখে..কালু বাড়ির বাইরে উঠোনে..ননির মা'কে দেখামাত্র জিভ বের করে..ননির মায়ের দিকে ছুটে আসে।
ননির মা রেগে গিয়ে ননিকে ডাকে।

আর ননির কান ধরে বলে..
কুকুরকে কি ট্রেনিং দিয়েছিস?
বাড়ি ছেড়ে নড়ছেই না।

ননির বাবা তখন কাজ শেরে বাড়ি ফিরছে..গেটের বাইরে সাইকেল দাঁড় করিয়ে গেটটা সবে খুলতে যাবে।

ননির মা চিৎকার করে বলে উঠলো..দাঁড়াও বাড়ি ঢুকবেনা..

কুকুরটাকে কি তুমি বারবার পাড়ার মধ্যেই ছেড়ে আসো? 
যতোবার ছেড়ে আসো ততোবার চলে আসছে।

ননির বাবা কুকুরটার দিকে তাকিয়ে বললো - না..তো এইবার তো আমি অনেক দুরেই ছেড়ে এসেছিলাম..ওহ এতো তাড়াতাড়ি চলে এলো কি করে?

ননির মা - তোমার মুরোদ আমার জানা আছে। এই ব্যাগে কুকুরটাকে ভরো..এবার আমি যাবো তোমার সাথে..এমন জায়গাই ছাড়বো আর জীবনেও আসতে পারবেনা।

কথামতোন কাজ ননির মা ননির বাবার সাইকেলের পেছনে বসলো..ননির মা সাইকেলের পেছনে বসলো..
ননির বাবা সাইকেল চালানো শুরু করলো..একেই তো সারাদিন কিছুই খাইনি..ওপর দিকে এই হাতির মতোন একটা বউ আর সাথে একটা কুকুরকে নিয়ে যাচ্ছে..টেনেটুনে কোনো রকমে ৬-৭ কিলোমিটার পথ এগিয়ে একটা ফাঁকা জঙ্গলের কাছে সাইকেল দাঁড় করালো। কুকুরটিকে ছেড়ে দিয়ে..ননির বাবা ঢিল ছুঁড়ে কুকুরটাকে তাড়িয়ে..দুইজনে তাড়াতাড়ি সাইকেলে উঠে বসলো..কিন্তু কুকুরটা ওদের পেছন পেছন ছুটতে শুরু করলো..
ওরা আবারো কুকুরটাকে তাড়িয়ে দিলো..কিন্তু কুকুরটা আবারো ওদের পেছনে ছুটতে লাগলো..

শেষে বিরক্ত হয়ে..ননির মা..একটা মোটা বাঁশ নিয়ে কুকুরটার গায়ে বেশ সজোরে আঘাত করলো..

কুকুরটা কাঁদতে কাঁদতে পেছন দিকে দৌঁড় দিলো..

ননির মা ও বাবা দুইজনেই এবার স্বস্তির শ্বাস নিলো।
ওরা দুইজন ধীরেধীরে। সাইকেল নিয়ে এগোতে লাগলো..সামনে একটা মেইন রাস্তা। ওই রাস্তা পেরিয়ে কিছু দুর এগোলে ননিদের বাড়ি।।

ননির মা..ননির বাবাকে ভালোমতোন শাসাতে শাসাতে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলো..তাই রাস্তা পেরনোর সময় দুইজনেই একটু অন্যমনস্ক ছিলো। কারণ ননির মা তখন ননির বাবাকে শাসাতে ব্যস্ত ছিলো..আর ননির বাবা তখন ননির মায়ের বকবক থেকে বাঁচার জন্য উপায় খুঁজছিলো। তাই ওদের খেয়াল নেইযে ওরা মেইন রাস্তায় এসে পড়েছে..হঠাৎ একটা সজোরে ধাক্কাতে তারা দুইজনেই পড়ে গেলো..

পেছন ঘুরে ননির বাবা ও ননির মা দেখলো..তাদের প্রিয় কুকুরটা রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে আছে..একটা ছোটোহাতি কিছুদুর এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ালো। তারপর সোজা দ্রুত গতিতে বেড়িয়ে গেলো..সব দেখে দুইয়ে দুইয়ে চার করতে বেশীক্ষণ লাগলোনা ওদের। 

ওরা অন্যমনস্ক হয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলো তখন তাদের বাম পাশ দিয়ে দ্রুত গতিতে একটা ছোটোহাতি আসছিলো..কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে আর কুকুরটির প্রভুর প্রতি ভক্তি ও ভালোবাসার জোরে কুকুরটি পেছন থেকে দৌঁড়ে এসে সজোরে ধাক্কা দিয়ে তাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে দেয়..এবং কুকুরটি ননির মা ও ননির বাবার পরিবর্তে সে নিজেই মৃত্যুকে আপন করে নেয়।

ননির মা ও বাবা দুইজনে দৌঁড়ে গিয়ে কুকুরটাকে ধরে রাস্তার এপাশে নিয়ে আসে..ততোক্ষণে রাস্তায় লোকজন জড়ো হয়ে গেছে..এক প্রফেসর দিদি সেখানে ছিলো তার নাম বর্ষা মিত্র তিনি একজন দক্ষ এনিমেল কমিউনিকেটর।টেলিপ্যাথির মাধ্যমে সে প্রাণীদের মনের কথা বুঝতে পারে। সে নিজের ব্যাগ থেকে জলের বোতল বের করে কুকুরটির মাথায় পরম স্নেহে হাত বুলিয়ে মাথাটা উঁচু করে জল খাওয়াতে থাকে।

জল খেতে খেতে কুকুরটি কেমন হাসফাস করতে থাকে..দিদিও কেমন যেন মরিয়া হয়ে যেতে থাকে।
দিদি এমন এমন ভাবে কুকুরটির সাথে পশুসুলভ আচরণ করছিলো তা দেখে বোঝা যেতে পারে সে কুকুরটির সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে। কিংবা কুকুরটির ভাষা বোঝার চেষ্টা করছে।।
একসময়ে সব নিস্তব্ধ। 
কুকুরটির ছটফট করতে থাকা চনমনে দেহটি মাটিতে লুটিয়ে পড়লো।


সকলের চোখে তখন জল । 
ধীরেধীরে আশেপাশের লোকজন ফাঁকা হয়ে গেলো..বর্ষা দিদিও উঠে দাঁড়ালো নিজের মনকে শক্ত করে। 

যাওয়ার আগে ননির বাবা - ও ননির মা বর্ষা দিদিকে জিজ্ঞেস করলো - দিদি
কুকুরটি মরে যাওয়ার আগে ওইরকম করছিলো কেন ?

বর্ষা দিদি - কুকুরটি চলে যাওয়ার আগে ওর হাবভাব, আচরণ দেখে যা বুঝলাম ওহ বলে গেলো..আমার বাড়িরলোক যেন ভালো থাকে। দিদি নিজের চোখের জল মুছে এগিয়ে যেতে লাগলো। 

ননির বাবা ও ননির মা তখন রাস্তায় বসেছিলো কালুর নিথর দেহটার উপর একটা মাছি ভনভন করতে করতে কালুকে কেন্দ্র করে ঘুরতে লাগলো।

ননির মা ও ননির বাবার দুইজনের চোখেই তখন জল।


আলোচ্যে গল্পটি শুধুই কি একটা গল্প? দয়া করে কেউ সখের বসে কুকুর বিড়াল পুষতে যাবেননা। কারণ আপনি হয়তো নিজের সখ নিবারণ করার জন্য ওদের বাড়িতে আনছেন, কিন্তু ওরা আপনাকে নিজের দুনিয়া বানিয়ে নেবে।

লেখা উপস্থাপনায় - Silient talks of midnight animals.. 

গল্পটার সাথে বাস্তবের কোনো মিল নেই।

অঙ্কিতা দিদি ও দিদির ছানাপোনা

বন্ধুরা সবাই কেমন আছো? অনেকদিন পর আবারো একটা গল্প নিয়ে চলে এলাম।  যেই গল্পের মুখ্য চরিত্র কাজল, আলু আর মায়াকে নিয়ে। অঙ্কিতা দিই হচ্ছে এই বাচ...