ফের ঘটলো আরও এক নৃশংস ঘটনা। তবে আবারও এই নৃশংসতার স্বীকার হলো অবলাপ্রাণী।
একটি বিড়ালকে দুইজন ব্যক্তি জ্যান্ত অবস্থায় লেজে দড়ি বেঁধে সেই দড়ির অপর প্রান্ত বাঁধে বাইকের সাথে..তারপর গতি বাড়িয়ে চালানো হয় বাইক।
ওই অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের বাড়ির-ই পোষা বিড়ালের সাথে এই ঘটনা হয়েছে।
মুল অভিযুক্তর দাবী, ওই বিড়ালটি নাকি বাড়ির মালিকের বাচ্চাটির খাওয়ার সময় সামনে চলে যায়.. ওই অবস্থায় তাকে সরাতে গেলে বিড়ালটি হিংস্র আচরণ করে এবং আঁচড় দেয়। এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে বাড়ির মালিক রেগে এইরকম একটা জঘন্য সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে বিড়ালটিকে বেঁধে দ্রুত গতিতে বাইক চালায় বাড়ির মালিক ও তার পরিচিত এক জন।
এই নৃশংস ঘটনা রাস্তার এক প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে পড়ে এবং সে ওই বাইকওয়ালার পেছনে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বিড়ালটিকে উদ্ধার করে।
তিনি ওই বিড়ালটিকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন যা নিমেষে ভাইরাল হতে থাকে।
স্থানীয় এক পশুপ্রেমী দল ঘটনায় ক্রুদ্ধ হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে..এরপর বেশ কয়েকদিন চলে লুকোচুরি খেলা..তবে শেষমেষ তারা খেলা পরিক্রমা থামিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করে।
পুলিশ তাদের সামনে বসায় বেশ, অভিযুক্তরা এই ঘটনার বিভিন্ন কারণ উপস্থাপন করছে..
কিছু পশুপ্রেমীদের। শেষমেষ মুচলেকা লিখিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
শান্তিপুরের এই ঘটনা রীতিমতো পশুপ্রেমীদের মনে চাঞ্চল্যে সৃষ্টি করেছে.. প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ২০২০ সালের-ই জুলাই মাসে ঘটেছিলো লাহোরে একটি বাচ্চা বিড়ালের সাথে নির্যাতনের ঘটনা, একটা পনেরো বছরের বাচ্চা ও তার বন্ধুরা একটা বিড়ালের উপর অত্যাচার চালায়, এবং সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ছোটো বিড়ালের বাচ্চাটি চলে গেছিলো না ফেরার দেশে।
এই ঘটনা যেরকম পশুপ্রেমীদের মনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো, ঠিক সেইরকম ভাবেই এই ঘটনাও পশুপ্রেমীদের মনে দাগ কাটে।
কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলবে?
কবে দুর হুবে পশুদের উপর অত্যাচার।
এ এক গভীর প্রশ্ন..