Kolkata Midnight Talk

প্রতিদিন আমাদের সাথে অসংখ্য ঘটনা ঘটে। সেই সকল ঘটনা যেগুলো আমরা কেউ শেয়ার করার মতোন কাউকে পাইনা, আমাদের ব্লগে সেই সকল অজানা গল্প, অবলা পোষ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন লেখা ছাড়াও কিছু লেখকের ভূত ও ভালোবাসার গল্প পাবেন। আশা রাখছি আমাদের পাশে আপনাদের মতোন বন্ধুদেরকে সবসময় পাবো।

LightBlog

Breaking

শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০

এ কেমন সাহায্য।

ছবি - ichapur animal lovers   
সমস্যা যাইহোক না কেন? বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া সবার আগে প্রয়োজনীয়..আপনার প্রিয়জনদের শারীরিক সমস্যা হলে আপনারা তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান..

তবে (কিছু মানুষ) এই অবলাদের শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে ফেসবুকে সাহায্যে চেয়ে কি পায়?? সবার সাজেশন যে ঠিক হবে এমন-টা কোথাও লেখা নেই..তাদের পোষ্যরা যেই ওষুধে ঠিক হয়েছে, সেই ওষুধটা আপনার পোষ্য খেলে যে ঠিক হবে এমন-টা কোথাও লেখা নেই।



তাই পরেরবার থেকে পোষ্যদের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান..এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন। অথবা স্থানীয় কোনো এন.জি.ও দের সাথে যোগাযোগ করুন..যারা এইরকম পথপশুদের পরিষেবা দিয়ে থাকে..
এইভাবে ফেসবুকে পোস্ট করে..অন্যদের আশায় বসে থাকবেন না..মনে রাখবেন ভুল চিকিৎসা কিংবা গাফিলতির কারনে কিছু ক্ষতি হলে..আপনারি হবে..অন্যকারোর নয়।

মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০

কুকুরদের পি.এন.পি.সি।।

(পাড়াতে গোলটেবিল বৈঠক চলছে)
ওইযে শীল বাড়ির মেয়েটা..কিযেন নাম হ্যাঁ রিমা..ওই মেয়েটাকে জানো একটা ছেলের সাথে দেখলাম..দুইজনের পিঠে ব্যাগ ছিলো..আমার মনে হয় বাড়িতে পড়তে যাওয়ার নাম করে পার্কে গিয়ে ফষ্টিনষ্টি করে..মা গো মা..কি নোংরা, কি নোংরা। আর এদিকে রিমার মা সারা পাড়াধরে বলে বেলায়..
আমার মেয়েকে ছেলেদের সাথে মিশতে দিইনা..নেকামো যতসব.. 

আরে ধুর...(পাশ থেকে কেয়া বৌদি বলে উঠলো)
এ তো কিছুই না..পাশের পাড়ার ওই স্বামী-স্ত্রী দুইজনে রেলে কাজ করে..ওনাদের বাড়ির ছেলেটা অভয় না কি নাম যেন..ডাক নাম আবার দুষ্টু..ওর কথা তাহলে তুমি জানো না দেখছি..বাবা মা কাজে চলে গেলে....রোজ নিত্যনতুন মেয়ে ঘরে ঢোকে.. 

মিতালি কাকিমা - আরে ওই ছেলেটা তো বাড়িতে কম্পিউটারে কিযেন ফর্ম টর্ম ফিলাপ করে শুনেছি..

কেয়া বৌদি - আরে রাখো তোমার কম্পিউটার..ঘরের ভেতর কি লটরপটর চলছে সেইগুলো কেইবা দেখতে যাচ্ছে??রিমা আর অভয় এক জলের কুমির..এরাযে পাড়ায় থাকে কেন বুঝিনা..এতো জঘন্য কাজকর্ম করে..মা গো মা..আমার তো গা ঘিনঘিন করে..এসব নোংরামো দেখলে..


(পাশ থেকে মিতালি কাকিমা) - আরে রিমার বাবা তো আবার এক ডিগ্রি উপরে..

কেয়া - কেন উনি কি করলো..

মিতালি কাকিমা - আর বলোনা দিদি..সংসারের কাজকর্ম করে ঘুমোতে ঘুমোতে রাত ১২.০০ টা, ১.০০ টা বেজে যায়..সকালের দিকে যেই ঘুমটা একটু গভীর হয় ওমনি রিমার বাবার চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়।
ব্যাটা রোজ ভোরবেলা পাড়ার সব কুকুরকে জড়ো করে বিস্কুট খাওয়ায়..

এমন চিৎকার করে কুকুর গুলোকে ডাকেনা, বিশ্বাস করো..আমার ঘুম ভেঙে যায়..আর তারপর আর ঘুম-ই আসেনা..আর তারউপর কুকুর গুলো খাওয়া হয়ে গেলেও দাঁড়িয়ে থাকে..সকলে মিলে এতো চেঁচামেচি করেনা মাথা ধরে যায়..মাঝেমধ্যে মনে হয় কুকুর গুলোর গায়ে জল ছিটিয়ে আসি।

কেয়া বৌদি - হ্যাঁ..ঠিক বলেছো..রাস্তার কুকুরদের খাবার দেওয়ার কি আছে?..ওই অভয় ছেলেটাকেও দেখেছি রোজ সকাল-বিকাল কুকুরদের নিয়ম করে খেতে দেয়..কত ভালো ভালো খাবার গুলো নষ্ট করে এভাবে..আমরা শালা পাইনা, আর এদের দেখো খাবার পেয়েও নষ্ট করে..পয়সা বেশী হয়ে গেছে এদের..একটু অপেক্ষা করো..তারপর খেল দেখাবো ওই হারামজাদাদের..

মিতালি কাকিমা - কেন??কি করবি??


কেয়া বৌদি - আরে পাড়ার ক্লাবের ছেলেগুলো..আমাকে একটু বেশী সন্মান দেয়..আমার ইশারায় উঠে আর বসে..এবার ওই ছেলেদের বলে দেবো..পূজোতে বেশ মোটা টাকার চাঁদা কাটতে ওই দুই বাড়িতে..নাহলে জব্দ হবেনা হারামজাদা গুলো।
তখন কুকুরদের বিস্কুট দেওয়া ভালোভালো খাবার খাওয়ানো আর রিমার বাবার ভোরবেলা আদিখ্যেতা করা বেড়িয়ে যাবে বাপবাপ করে....

মিতালি কাকিমা - জিও কেয়া, তোর বুদ্ধিকে পেন্নাম জানাই।


এখানে রিমা ও অভয় কেন জানেন এইরকম সমালোচনার স্বীকার হচ্ছে??

একটু খেয়াল করে দেখবেন..প্রত্যেক-টা পাড়াতে একটা নির্দিষ্ট সময়ে একটা গোলটেবিল বৈঠক বসে....যেখানে কিছুনা....কার বাড়িতে কি হলো??কার ছাদ দেওয়া বাড়ি হলো??পাশের বাড়ির মেয়েটা এতো রাতে বাড়ি ফেরে কেন??এইসব খুঁটিনাটি সহ অনেক জিনিস আলোচনা হয়....এই আলোচনায় যারাযারা থাকে তারা যদি দশটা ভুলও করে তখন কেউ ঘুরেই দেখবেনা..কারণ গোলটেবিল বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বলে কথা..

এখানে রিমা ও অভয়ের দুইজনের পরিবার এইসব আলোচনায় অংশগ্রহণ করেনা। কারণ যে যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত।।

অভয় হয়তো সত্যি সত্যি ফর্ম ফিলাপ করছে..আর ওইদিকে রিমা মেয়েটা হয়তো যে ছেলেটার সাথে কথা বলছে সেই ছেলেটা ওর পরিচিত।। কিন্তু এইসকল লোকেরা এইবিষয়-টাকে সবসময় অন্য ভাবে দেখবে। সত্যিটা যাই হোক না কেন..

আর আজ যদি রিমা ও অভয়ের পরিবার এই গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করতো তাহলে ব্যাপার-টা কি হতো??



এই জানো??পাশের বাড়ির রিমা মেয়েটাকে রাস্তায় একটা ছেলের সাথে দেখলাম..দুইজনে পড়াশোনা নিয়ে আলোচনা করছিলো..বাবারে এদের কেও দেখি আর আমার ছেলেটাকেও দেখি সারাদিন মোবাইল নিয়ে গেম খেলতে থাকে।।


এই পাশের পাড়ায় ওই অভয় কে দেখেছো..রোজ কুকুরদের  ডেকে দুইবেলা ভালোমন্দ খাওয়ায়..সত্যি এরাযে অবলাপ্রাণীদের এতো ভালোবাসে..আর রিমার বাবা সে তো ভোরবেলা হলে পুরো পাড়ার কুকুরদের বিস্কুট খাওয়ায়..সত্যি এরা মাটির মানুষ।।

  - হ্যাঁ ঠিক বলেছো..ওই দেখো রিমার বাবার বাড়ির সামনে কুকুর গুলো জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে....কুকুর গুলো কিযে খেলা করে..মা গো মা....সত্যি মনটা ভরে যায় এসব দেখলে।

হ্যাঁ ঠিক আমাদের মতোন ওরাও নিজেদের মধ্যে কথা বলে..আমরা যেমন গল্প করি..ওরাও গল্প করে..

 - আচ্ছা কুকুররাও কি পি.এন.পি.সি করতে পারে??

মানুষরা যদি একে উপরের পি.এন.পি.সি করতে পারে তবে নিশ্চয়ই ওরাও নিজেদের মধ্যে পি.এন.পি.সি করে থাকে..


এখানে রাগ হলেও রাগটা মনে মনে রেখে দিয়েছে প্রতিবেশীরা।

লেখাটি পুরোটাই কাল্পনিক..
ছবি - নিজস্ব 

বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০

কুকুর পোষেন এইরকম মানুষদের পেছনে তাদের প্রতিবেশীদের যেসকল সুনাম করে..তফাৎ-টা দেশি-বিদেশি সেটা না,আপনি বাড়িতে কুকুর পুষছেন সেটাই..

ছবি - silent talks of midnight animals     

মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০

দয়া করে নিজের শত্রুতা অন্যর পোষ্যর উপরে নেবেন না।

ছেলেটা প্রচন্ড কুকুর ভালোবাসতো..এইতো এক সপ্তাহ আগে পাড়ার ভুলু সুন্দরী বাচ্চা গুলো দিয়েছিলো..কিন্তু হঠাৎ কুকুরের বাচ্চা গুলো আজ সকালেই মারা গেলো। এখন ছেলেটা ইস্কুল দিয়ে ফিরলে ওকে আমি কি করে এই কথাটা বলবো..

বাড়িতে অনেক বছর পুরনো বাতাবি লেবু গাছ-টা তিনমাস আগেও ফল দিতো ভালো..কিন্তু তিনমাসের ভেতর গাছটা শুকিয়ে গেলো..

৪৫ বছরের পাশের পাড়ার শক্তপোক্ত পরিশ্রমী লোকটা..হঠাৎ করে মারা গেলো..অথচ লোকটা কোনো নেশা করেনা, কোনো শত্রু রাখেনা একজন হাসিখুশি ভদ্রলোক। 

পাশের বাড়ির উঠানে শখ করে বসানো গাছের চারা গুলো কে যেন রাতারাতি উপড়ে ফেলে দিয়েছে..

বাতাসে একটু কান পাতলে আরও এইরকম আরও কত কাহিনী আপনার কানে আসবে..আপনার শত্রুরা যখন আপনাকে পরাজিত করতে পারবেনা তখন তারা আপনার সবথেকে সখের জিনিসটাকেই আপনার থেকে দূরে সরিয়ে দেবে।

**প্লিজ নিজের ব্যক্তিগত শত্রুতা মেটানোর জন্য কোনো অবলা প্রাণীর ক্ষতি করবেন না। 

এইসব বিষয় গুলো কাকতালীয়..শুধুমাত্র লেখাটিকে অলংকার দেওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত। এইরকম অন্ধবিশ্বাস থেকে  দুরত্ব বজায় রাখুন  **

শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০

কালোবিড়ালের কালরাত্রি

এতো না ভেবে গলায় দে এক কোপ।
 - না গো কেল্টু দা..ওকে দেখে কেন জানি আমার খুব মায়া হচ্ছে..

কেল্টু - আরে বিজু..তুই কি চাস না আমরা উচ্চমাধ্যমিকে ইতিহাস পরীক্ষায় ভালো নম্বরে পাশ করি। কলেজে গিয়ে সুন্দর সুন্দর মেয়েদের সাথে পার্কে ঘুরি ওদের সাথে সিনেমা দেখে..জুনিয়ার ছেলেদের কাছে নিজের ইমেজ-টা ঝা-চকচকে করি??
চাস কিনা বল..??

বিজু - আরে কেল্টু দা..সে তো আমি কেন তুমিও এই একি জিনিস চাও। পরপর তিন বছর ধরেই তো ইস্কুলটাকে আঁকড়ে ধরে বসে আছি..একটা সাবজেক্ট.. জাস্ট একটা সাবজেক্ট.. ইতিহাস..এই ইতিহাসের জন্য
বাড়িতে স্কুলে মুখ দেখাতে পারিনা। কবে যে পাশ করবো
 কিন্তু এই পাপ কাজ আমি করতে পারবোনা..তারথেকে ভালো আমি ওকে ধরছি তুমি কোপ দাও।।

কেল্টু - তবে রে..তুই দেখি পুরুষ সমাজের নাম ডুবিয়ে দিলি রে..

বিজু - এভাবে বলোনা কেল্টু দা, তুমি বলোনা..এইভাবে ওর যদি প্রাণ নিই তাহলে কি আমরা পরীক্ষায় পাশ করে যাবো।।

কেল্টু - আরে বিজু..তুই আমার উপরে সন্দেহ করিস। পাশের বাড়ির রুপালি বৌদিকে দেখে ঘটে কিছু আসছেনা..তোর..
রুপালি বৌদি গত চারবছর চেষ্টা করেও সন্তানের মুখ দেখতে পারেনি, তাই শেষে বৌদির বর কুয়েতে কাজে চলে গেলো..শ্বশুর বাড়ি আর বাপের বাড়ির চাপে শেষে রুপালি বৌদি লাল বাবার কাছে গেলো..লাল বাবা আমাবস্যার রাতে একটা কালোবিড়াল নিয়ে তার চেম্বারে কাউকে না জানিয়ে গভীর রাতে গোপনে দেখা করতে বলেছিলো..এই ঘটনার একবছর পর বৌদিতো চার বছরের ইতিহাস ভেঙে দিলো..সেই রুপালি বৌদি তার স্বামী ও সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই আছে। সকলে যখন তার এই সফল হওয়ার পেছনের রহস্যর কথা জিজ্ঞেস করে..তখন বৌদি বলে..আমাবস্যার রাতে গভীর  জঙ্গলে গিয়ে একটা কালো বিড়াল-কে এক কোপে ধর থেকে মুণ্ডু আলাদা করে দিয়েছিলো..আর তারপরেই বৌদি এখন একজন সফল মা।

আরে, পাশের পাড়ায় বোস বাড়ির ছোটো ছেলেটা..কত পরীক্ষা দিয়েও একটাও চাকরি পেলোনা..শেষে কোথায় গেলো?? ওই লাল বাবার কাছে।। ব্যস ভাই..সেও বিড়াল নিয়ে গেলো..গভীর জঙ্গলে..আর আজ দেখ আমাদের এলাকার সবথেকে উঁচু বাড়ি কার?
পরেশ বোসের।

পাড়ার সবথেকে বড়ো ব্যবসায়ী কে?
পরেশ বোস।

বিজু - কিন্তু কেল্টু দা..বিজু তো তার বাড়ির পেছনে বছরের পর বছর ধরে পড়ে থাকা একটা পরিত্যক্ত কুয়োতে একটা পড়ে যাওয়া ছাগলের বাচ্চা তুলতে গিয়ে..চার ব্যাগ ভরতি সোনা-দানা পেয়েছিলো..আবার অনেকে বলতো পরেশ বোসের বাবা নাকি লটারি পেয়ে ছেলের ব্যবসা দ্বার করিয়ে ছিলো।

কেল্টু - এই দেখ আমাকে ঠিকভূল বোঝাতে আসবি না। তুই বিড়ালটাকে ধর..আমি দিচ্ছি এক কোপে ধর থেকে মুন্ডু আলাদা করে।

হু..লাল বাবার কথা অমান্য করে।। আরে লাল বাবাকে অমান্য করার ফল হাতেনাতে পাবি।

নে নে ধর..

বিজু শক্ত করে ধরে আছে..কেল্টু দা..ভোজালি-টা মাঝ আকাশের দিকে টিপ করে উপরে তুলে যেই নীচে নামাবে..ওমনি ভোজালি-টা হাত থেকে ফেলে দিলো..
তাই দেখে বিজু বললো..
 - ওহহ কেল্টু দা..
কি হলো?? ওকে মারবে না?

কেল্টু - ওর দিকে একবার তাকিয়ে দেখ..কেমন ছটফট করছে..

বিজু - তো??
পরীক্ষায় পাশ করতে চাও হ্যাঁ কি না বলো..

কেল্টু - আরে সে তো করতে চাই। লাল বাবাতো আমাকে এই একটাই উপায় বললেন..পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে হলে..আমাবস্যার গভীর রাতে একটা কালো বিড়ালকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে..এক কোপে মুণ্ড ধর থেকে আলাদা করলেই পরীক্ষায় মিলবে ভালো নম্বর..

কিন্তু এই বিড়াল-টার দিকে তাকিয়ে আমার কেন জানিনা..ঘন্টির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে..আহহহ রে..কি সুন্দর ছিলো বিড়াল খানা আমার।

না..না..এই কাজ আমি পারবোনা।

বিজু - তাহলে পরীক্ষায় কি হবে??

কেল্টু - আর কি হবে আরও একটা বছর বসে থাকতে হবে। চল ভাই বাড়ি যাই।
আর ওকেই ছেড়ে দে..বেচারা আমাদের জন্য আজ নিজের জীবন দিতে চলেছিলো।

এই হচ্ছে বর্তমান অবস্থা। মানুষ যখন অল্প সময়ের মধ্যে সাফল্যের মুখ দর্শন করতে চায়..তো তখন কিছু মানুষ স্বাভাবিক পথের থেকে উল্টোপথে চলতে খুব ভালোবাসে.. 
আর তার ফল ভোগ করতে হয় এই ছোটো ছোটো প্রাণীদের।

অথচ একটু ভালোভাবে দেখলেই দেখা যাবে যে সত্য মিথ্যার মুখোশ-টা কিন্তু আমদের নাকের ডগার সামনে থাকে

কিছু কুসংস্কারচ্ছন্ন মানুষের মনের মধ্যে কালো-সাদা,ধনী-গরীব,জাত-পাত ওই বিষয় গুলো খুব গভীর ভাবে বিস্তার করে..

তারা আবার পশুদের মধ্যেও কালো সাদা এসবের গণ্ডী টেনে দিয়েছে..

কালো বিড়াল রাস্তা কাটলে দিন নাকি অশুভ যায়।
তারাই আবার শনিবার আর মঙ্গলবার রাস্তায় কালো কুকুর খোঁজে ..রুটি অথবা বিস্কুট খাইয়ে নিজের দোষ কাটানোর জন্য। 
অথবা ভোর বেলায় সূর্য ওঠার আগে খালি পায়ে মুড়ি কিংবা লাড্ডু হাতে করে ছিটিয়ে দিয়ে কাককে খাইয়ে নিজের কুসংস্কার পূর্ণ মনটাকে শান্তির জল দেয়।

একটু দেওয়ালে কান পাতলেই এইরকম অনেক কুসংস্কারের গল্প সিনেমার পর্দার মতোন চোখে ভাসে।

কালো বিড়াল রাস্তা কাটলে নাকি দিন অশুভ যায়..তাহলে তো কালো মানুষ রাস্তা পারাপার করলেও তাদের সাথে একি জিনিস হতে পারে..এইসকল মানুষ গুলো নিজের মতামতের থেকে অন্য লোকেদের হাসি দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া গল্প গুলো নিজের মনে আঠা দিয়ে আটকে নেয়..

আর ফলস্বরূপ এইরকম নির্যাতনের ঘটনা আজ নাহয় কাল ব্রেকিং নিউজ হিসেবে চারিদিকে বিরাজ করে।

যাক গিয়ে আমার কি..
আমি গল্প লেখাই মন দিই..

তো আমাদের ওই গল্পের কেল্টু দা ও তার বন্ধু বিজু..দুইজনেই ইতিহাসে পাশ করে গেছিলো সেবার। কারণ ওইযে কালো বিড়াল..যেই মাস্টার ওদের প্রশ্নপত্র দিয়েছিলো পরীক্ষা হলে..সেই  মাস্টারের স্কুলে যাওয়ার পথে একটা কালো বিড়াল রাস্তা কেটে দেয়..যেহেতু পরীক্ষার ব্যাপার তাই মাস্টারমশাই সেখানে বেশীক্ষণ দাঁড়ায়নি, নাহলে যতক্ষণ না কেউ ওই রাস্তা দিয়ে যেত..ততক্ষণ উনি ওই একি ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতেন।
তাই পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র দেওয়ার পর তিনি কল্পনার দূনিয়াতে হারিয়ে যায়..যেখানে সে চিন্তা করে তার আসন্ন বিপদ কি হবে..

আর এদিকে ক্লাসের সকল ছাত্ররা নিশ্চুপ ভাবে টুকলি করে..গোটা পরীক্ষার ব্যাপার-টা সহজ করে নিয়েছিলো। কেল্টু দা আর বিজুর পরীক্ষা দিয়ে যখন ওরা বাড়ি ফিরছিলো..তখন যদি আপনি ওদের হাসি-টা দেখতেন। তবে আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি....আপনার মুখে কেউ পেল্লায় সাইজের রসগোল্লা ভরে দিলেও..আপনার মুখের হাসিটা কেল্টুদা ও বিজুর মতোন মন কারবে না।

আলোচ্যে ঘটনাটি কাল্পনিক....

** দয়া করে পরের বার থেকে এইরকম কুসংস্কার কে প্রশ্রয় দেবেন না, কারণ কালো সাদার মধ্যে পার্থক্য নেই কোনো..এগুলো আমরাই বানিয়েছি..তাই কোনো রকম কুসংস্কারের বশে এসে এদের প্রাণ নিয়ে ছেলেখেলা করবেন না, আপনি ভালো কাজ করলে সেই ভালো কাজের ফল দেরীতে হলেও ঠিক পাবেন **

ফেসবুক পেজ - silent talks of midnight animals.. 
11/09/2020

বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২০

প্রমাণ করতে পারবেন না গল্পের দ্বিতীয় পর্ব রামপুরহাট মেমো

প্রমাণ করতে পারবেন না গল্পের দ্বিতীয় পর্ব রামপুরহাট_মেমো
লেখক - মলয়_বিশ্বাস
বিষয় - ভূত ও রহস্যে
  

ঘড়িতে তখন ১২.৫০..গাড়িটা তখন রেলগেট খোলার অপেক্ষায়। এক নম্বর লাইনের এপাড়ে দাঁড়িয়ে আছে গাড়িটা..আর তাতে রয়েছে তিনজন লোক, ড্রাইভার সমেত চারজন। থানার উচ্চপদস্থ এক পুলিশ, একজন এম.এল.এ, আর একজন ব্যবসায়ী। গাড়িটা আজ কোর্টে যাবে। এই কোর্টেই একটা কেস চলছে একজন এম.এল.এ আর একজন ব্যবসায়ীর উপর।।

অন্যদিকে চার নম্বর লাইনের ওপারে দাঁড়িয়ে আছে vk এর নজরদারি লোকজনেরা। দুইজন মোটরসাইকেলে আর চারজন গাড়িতে। তারা প্রত্যেকেই অপেক্ষা করছে কখন রেলগেট-টা খুলবে। আর যেই গাড়িটাকে তারা অনুসরণ করছিলো সেইগাড়ি কখন তাদের ওভারটেক করবে। এরফলে ওই গাড়িটা যাতে এই কোর্টের দিকে যাওয়া গাড়িটির উপর আবার নজরদারি চালাতে পারে..

অনেকক্ষণ ধরেই vk এর লোকজনের গাড়িটা এই কোর্টের দিকে যাওয়া গাড়িটির উপর নজর রাখছিলো..শুধুমাত্র অভয়ের প্ল্যান মাফিক রেলগেটের রাস্তাটা ধরার আগেই মেন রাস্তার মোড়টা যেদিকে বাক নিচ্ছে সেখানে এসে গাড়িটাকে থামিয়ে দেয়..আর এমন নাটক করতে থাকে যাতে গাড়িটা খারাপ হয়ে গেছে।। আর এদিকে vk এর দলবলের লোকেরা গাড়ি থামানোর ভুল করেনি কারণ গাড়িটা যদি একবারও পুলিশের সন্দেহ মাফিক চেক হয় তো গাড়িটির ভেতরের থাকা বে-আইনি অস্ত্র গুলো পুলিশের নজরে চলে আসার ভয় আছে..তাই vk এর দলবলের লোকেরা এই কোর্টের দিকে যাওয়া গাড়িটির ড্রাইভার কে ইশারা করে বলে দিলো..যে তারা সকলে গেটের ওপারে দাঁড়িয়ে আছে, ব্যস তারপর যেই রেলগেটের সাইরেন বাজতে লাগলো ওমনি vk এর লোকেরা সিগন্যালে না দাঁড়ানোর ঝামেলায় তাদের গাড়িটির গতি বাড়িয়ে চার নম্বর লাইনের ওপারে নিয়ে গেলো..ওই গাড়িতেই অভয় ছিলো..সাথে আরও কয়েকজন vk এর সদস্য। 

এরপর তারা গাড়িটি থামিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখে গেট নেমে গেছে, আর এক নম্বর লাইনের ওপারে কোর্টের দিকে যাওয়া গাড়িটি দাঁড়িয়ে আছে।

তিন নম্বর লাইন দিয়ে তখন যাচ্ছিলো রামপুরহাট মেমো প্যাসেঞ্জার, আর চার নম্বর দিয়ে তখন জসিডি পাস করছিলো।

এরপর ট্রেন চলে গেলো তারপর গেট খুললো, এবং ওই এম.এল.এ সাহেবের গাড়িটি আবার এগোতে লাগলো।

অভয়ের মনে শান্তির ছাপ।
অভয় তখন চোখ বুজে পরবর্তী পরিস্থিতির চিন্তায় মগ্ন, অভয় হঠাৎ ভাবতে থাকে..vk এইরকম একটা কাজ দিলো করতে।

অভয় শহরের সবথেকে বড়ো ক্রিমিনাল একটা গ্রুপের সদস্য হতে চায়, সেইজন্য দলের হেড..অভয়ের যোগ্যতা দেখার জন্য অভয়কে তিনটে কাজ দেয়।

যার প্রথম কাজ ছিলো..পুলিশের চোখ বাঁচিয়ে খড়গপুরে একটা ব্যাগ ডেলিভারি করা। এই বিষয়ে আমার এই প্রমাণ করতে পারবেন না গল্পের প্রথম পর্ব " ঘাটশিলা মেমো " তে উল্লেখ আছে।

এখন গল্পের দ্বিতীয় পর্ব - " রামপুরহাট মেমো প্যাসেঞ্জার "

অভয়ের দ্বিতীয় কাজ ছিলো.. একটা এম.এল.এর গাড়িতে বোম লাগানো।

গোড়া থেকে বলছি..
গল্পের নায়ক প্রথম কাজটি সফল ভাবে সম্পুর্ণ করবার পর..তাকে আবার vk ডাকে নিজের ডেরায়।।
অভয়কে দ্বিতীয় কাজ দেয়..একটা গাড়িতে একটা পেন লাগাতে হবে..যেটার মধ্যে তেজস্ক্রিয় পদার্থ আছে যেটা বোমার বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

তো এই কাজটা শোনার পর তো..অভয় একপায়ে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু আসল টুইস্ট আসে তো এরপরেই..আসুন দেখেনি।

অভয় - হ্যাঁ ঠিক আছে.. গাড়িতে একটা পেন লাগাতে এতো অসুবিধা হবেনা।

vk - ওরে বোকা ছেলে..একটা সিম্পল বোমা লাগানোর ব্যাপার হলে..আমি অনেক আগেই লাগিয়ে দিতে পারতাম কিন্তু এরফলে একজন মরবে..আমি তিনজনকেই মারতে চাই..

আর আমার কাছে সবসময় প্ল্যান - বি এর উপায় থাকে..আমি আমার দলের সকল মেম্বারদের থেকেও সাজেশন চাইছি..কারণ একে তো তিনজন অনেক হাই সিকিউরিটির অধীনস্থ  তারপরে এদের তিন জনকে একসাথে মারলে তবেই vk এর রাস্তা পরিস্কার হবে..কিন্তু এদের তিনজনকে একসাথে করা, আর তাদের হত্যা করা।। এবং এদের আইনজীবী দের সহ কোর্টের সকল আইনজীবী একটু ডেমো দেখাতে চাই আমি..যাতে আমার বে আইনি জমি দখলের ব্যাপারে এরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনা।

এখন তুই কি পারবি?
নাহলে হার স্বীকার কর।

অভয় - নিজেকে প্রমাণ করার জন্য আমি সবকিছু পারবো।


vk - তাহলে তুই রাজি বলছিস??

(অভয় মনে মনে ভাবলো..এটাতো সোজা  একটা কাজ, চুপচাপ ভাবে যাবে আর চলে আসবে)

কিন্তু অভয়ের মাথায় হাত পড়লো vk যখন বললো....যে ৯ দিন পর ওদের vk এর কেস কোর্টে উঠবে আর এই কটা দিনের মধ্যে গাড়িতে এই বোমটা লাগানো হবে যেটা রিমোট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। 

এইসব শুনে অভয়ের অবস্থা তো একেবারে..যাচ্ছেতাই হয়ে গেছিলো.. vk অভয়ের নিরব মুখ দেখে বললো..

তুই না পারলে, আমি অন্য কাউকে দিয়ে করিয়ে নেবো।
বল??

অভয় তখন শূন্যে দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ উপরের দিকে তাকায়। এবং অভয় রাজি হয়ে যায়।


এরপর অভয় vk এর থেকে পেনটা হাতে নেয় যেটার মধ্যে ওই তেজস্ক্রিয় পদার্থ রয়েছে যেটাকিনা বোমার কাজে ব্যবহৃত হয়..তারপর অভয় যখন এই ছোটো বোমাটার  রিমোট-টা vk এর থেকে চায়....

তখন vk - অভয়কে বলে..রিমোট থাকবে তার নিজের লোকের কাছে।

ওই গাড়িটা কোর্টে যাওয়া মাত্রই কোর্টের ভেতরেই ওর গল্প হয়ে যাবে।

গাড়িটার একশো মিটারের মধ্যেই বোমাটার রিমোট থাকবে..আর সেই বোমায় গিয়ে আঘাত করবে একটা রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি।। যেই গাড়িটা অনেক দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে..এই রিমোট কন্ট্রোল গাড়িটা দেখতে খেলনার মতোন হলেও..এটিকে অনেক দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

গাড়িটার কাজ কিছুই না..ওই গোটা রিমোটে একটাই সুইচ লাগানো। যেটা খুব সংবেদনশীল। মানে ওই সুইচে একটা যদি টোকাও লাগে আর আশেপাশের একশো মিটারের মধ্যে ওই রিমোট নিয়ন্ত্রিত বোমা থাকলে সেটি বিস্ফোরক হতে বাধ্য।

vk এর লোকেরা নিরাপত্তার জন্য দূর থেকে এই রিমোট কন্ট্রোল গাড়িটার মাধ্যমে বোমাটার রিমোটে গিয়ে ধাক্কা দেবে। এরফলে বোমটা ফেটে উঠবে।

অভয় ওই বোমাটি নিয়ে এরপর বাড়ি চলে আসে। vk অভয়ের মোবাইলে একটা মেসেজ করে দেয় আর তাতে বলে দেয়.. কোন থানায়..আর কখন সেই গাড়ি এসে পৌঁছাবে। আরও অনেক বিষয়াদি। 

আর ভাবতে থাকে কিভাবে কি করবে না করবে।। এইভাবতে ভাবতে একটা দিন চলে যায়।। হাতে মাত্র আর আটটা দিন।

অভয়ের মুখটার এইরকম অবস্থা দেখে..শেষে প্রতাপ বলেই ফেললো.. 

কিরে??
তোর মন খারাপ..

অভয় - নারে একটা জিনিস চিন্তা করছি।

প্রতাপ - কি?? তোর দ্বিতীয় কাজটার ব্যাপারে।

অভয় - হ্যাঁ কিন্তু  কাজটা করবো কিভাবে? তাও আবার থানায়..আগে আমাদের থানায় ঢুকতে হবে..তারপরের ব্যবস্থা তারপর।

প্রতাপ - তুই কি পাগল হয়ে গেছিস? তুই যেই কাজের চেষ্টা করছিস তার পরিনাম কিন্তু সাংঘাতিক..

হয় তোকে কোনো ক্ষমতাবান লোকের তত্ত্বাবধানে যেতে হবে।। আর নাহলে তোকে কোনো একটা নকল কেস নিয়ে ওইদিন থানায় হাজির হতে হবে।। আর নাহলে ওই থানায় তোকে কোনো মিস্ত্রি হোক কিংবা সকালের যে মিউনিসিপালিটির ভ্যানটা থানায় যায় সেই ভ্যানের সাফাই কর্মী হয়ে ঢুকতে হবে..আরে আমার মাথায় কিছু আসছেনা কিভাবে থানায় ঢুকে তুই পেনটা ওই গাড়িতে লাগাবি..সিসিটিভি ক্যামেরা, পুলিশ এদের চোখে ধুলো দিবি কিভাবে?  কিভাবে ওদের চোখ বাঁচিয়ে এই কাজটা করবি?আমার মাথায় কিছু আসছেনা।

অভয় - হাসে একটু।। ভাবতে থাকে তার সেই মানসিক বয়সের দিক থেকে প্রতাপ অনুন্নত সেই জায়গাই ও যে মানসিক সাপোর্ট অভয়কে দিচ্ছে অভয়কে নিয়ে এতো ভাবছে সেটা অভয়ের কাছে সোনার তুল্য।

তবে অভয় এই দুই নম্বর কাজটা নিয়ে খুশি নয়..তবে

অভয় অনেক ভেবে..অনেক চিন্তে শেষে ভেবেই ফেললো থানায় গিয়ে কিভাবে কি করতে হবে।।

এই আটদিন অভয়..থানাতে কুরিয়ার বয় হিসেবে গিয়েছিলো..থানায় চিঠি দিতে। সেই চিঠি গুলো অবশ্যই নকল চিঠি ছিলো....অভয় চিঠি গুলো নিজের হাতে লিখতো আর বিভিন্ন নাম আর ঠিকানা দিয়ে চিঠি গুলো লিখতো..আর কুরিয়ার করে দিত।।

অভয় তখন সেখানকার প্রচলিত স্থানীয় একটা কুরিয়ার সংস্থার মালিককে অনেক রিকুয়েষ্ট করে..ডেলিভারি বয় হিসেবে নিজেকে নিজুক্ত করলো....

অভয়-কে সেই কুরিয়ার সংস্থার বাকি ডেলিভারি বয় রা..নিদিষ্ট পিনকড ভুক্ত একটা জায়গা দিলো তার কাজের সুবিধার জন্য।

ব্যস ভেতর ভেতর এই পরিকল্পনা করতে করতে শেষমেশ এসেই গেলো সেই ফাইনাল দিন। যেদিন বোমাটা লাগাতে হবে গাড়িতে তাও আবার থানার ভেতরে।। অভয় আর প্রতাপের আগে থেকেই সব কিছু ঠিক ছিলো..পরিকল্পনা অনুযায়ী সব এগোচ্ছিলো।।

গাড়িটা থানায় এসে থামা মাত্রই..সেই এম.এল.এ আর ওই ব্যাবসায়ী থানার ভেতরে চলে গেলো।।
আর থানা থেকে এম.এল.এ আর ব্যবসায়ী ওই অফিসারের কিছু নিয়মবিধি ও জরুরি কাগজে সই করে..তারা কোর্টে রওনা দেবে। হাতে বেশী সময় নেই। যতটুকু সময় আছে ততটুকু সময় কাজে লাগাতে হবে।।

অভয় থানার মধ্যে প্রবেশ করে..থানার গেটের অনেকটা ভেতরে আছে ওই গাড়িটা..অভয় পরিকল্পনা অনুযায়ী চিঠি দিয়ে একটা সাইন করাচ্ছে একজন পুলিশ কর্মীকে দিয়ে গাড়িটার ঠিক সামনে..আর ঠিক তখনি থানার ভেতর থেকে আসছিলো প্রতাপ। প্রতাপ একটা মিথ্যা মোবাইল চুরি হওয়া নিয়ে একটা ডাইরি করতে এসেছিলো..
অভয়ের সাথে প্রতাপের চোখে চোখ পড়লেই..দূর থেকে ইশারা করে অভয়.. তার বন্ধু প্রতাপ কে..যে কাজটা দ্রুত সারতে হবে।

প্রতাপ অভয়ের সামনে দিয়ে আসার সময় ইচ্ছা করে নাটক করে পড়ে যাওয়ার ভান করে..এবং অভয়কে একটা জোরে ধাক্কা দেয়।
অভয় তখন সুযোগ বুঝে পেনটাকে হাত দিয়ে নিচে ফেলে দেয়..

এরপর অভয়..আর ওই পুলিশ কর্মী একটু জ্ঞান দিলো প্রতাপ-কে.. যে একটু দেখে চলবেন তো..

প্রতাপ তখন একটা ছোটো সরি বলে সেখান থেকে যায়।

এখান থেকেই পরিকল্পনা শুরু। অভয় তখন ওর প্যান্টের পকেটের ডান পকেট দিয়ে সেই তেজস্ক্রিয় পদার্থ যুক্ত পেনটা বের করে..সাথে সাথে গাড়ির নীচে হাত দিয়ে..পেনটা খোঁজার ভান করতে থাকে..আর আসল পেনটার গাড়িটার নীচে লাগিয়ে দেয়। পেনের ভেতর শক্তিশালী চুম্বক থাকায়..সহজে গাড়ির নীচে লেগে যায়।।আর অভয় তখন নীচে পরে থাকা পেনটাকে তুলে নিয়ে এসে.. পুলিশ টাকে দিয়ে ডি.আর.এসে সাইন করিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। বেচারা পুলিশ জানতেও পারলোনা যে গাড়ির নীচে এতো কিছু হয়ে গেলো।।

অভয়ের ভাবনার রাজ্যে থেকে এদেশে ফিরে আসতে বেশি সময় লাগলোনা। একটা মস্ত ঝাঁকুনি দিয়ে গাড়িটা দাঁড়িয়ে গেলো।

অভয় বুঝলো এইবার একটা কিছু হতে চলেছে। মিনিমাম অভয়ের গাড়িটা কোর্টের প্রবেশ পথ থেকে 
৬০০ মিটার দূরে। গাড়িটার দুইদিকে দুটো মোটরসাইকেল  দাড়িয়ে এম.এল.এর গাড়িটার কোর্টে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলো!




কোর্টগামী পথের গাড়িটা যেই কোর্টের ভেতরে প্রবেশ করলো..ওমনি রিমোটের সাহায্যে নিয়ে গাড়িটিকে কোর্টের ভেতরেই উড়িয়ে দেওয়া হলো..

আর এই কাজটি বাইকে যেই দুইজন বসেছিলো তারাই করলো..তারা কাজটি করে দ্রুত বাইক স্টার্ট দিলো..আর অভয় যেই গাড়িটিতে আছে..মানে দুটো বাইকের মাঝে.. ওই দুই বাইক ওয়ালা বন্ধুক নিয়ে..ওই গাড়ির দিকে নিশানা করে..এলোপাথাড়ি গুলি চালালো..গাড়িতে যেই চারজন ছিলো তাদের উপর..অভয় মারাই যেত কিন্তু কে যেন গাড়ির মধ্যেই অভয়ের মাথা চেপে নিচের দিকে ধরে ছিলো..যতক্ষণ গুলি চলছিলো..
যেই গুলি চালানো শেষ হলো ওমনি ওরা দুইজন বাইক আরোহী যারা vk এর লোক..ওরা দ্রুত চলে গেলো সেখান দিয়ে।। আর সাথে সাথে অভয়ের ঘাড়-টাও কে যেন ছেড়ে দিলো..অভয় যখন মুখ তুলে গাড়ির বাকি তিনজনের দিকে তাকায় তখন সে দেখে বুঝলো ওদের মধ্যে কেউ জীবিত নেই।

পুলিশের ঝামেলায় না পরার জন্য....অভয় দ্রুত সেই স্থান পরিত্যাগ করে।।

সন্ধ্যাবেলায় vk এর ডেরায়.. 

অভয় - আমিতো আপনার কাজ করতে গেছিলাম..আপনার ছেলেরা আমার উপর গুলি চালালো কেন? আর ওইযে আপনার তিনজন কর্মী মারা গেছে..আপনার সাথে কাজ করার এইটাই কি প্রতিদান।

vk - নিজের বন্দুক-টা বের করে..অভয়ের দিকে তাক করে..বন্দুক-টা হাত দিয়ে ঘোরাতে লাগলো..আর বললো..

 দেখ অভয়..মানছি আমার নির্দেশে ওরা গুলি চালিয়েছে..তবে আমি তোর উপর গুলি চালাতে বলিনি।। আর তুই যে বেঁচে ফিরেছিস..এই অনেক।। কারণ এরফলে ছোটো করে তোর একটা পরীক্ষাও নিয়ে নেওয়া হলো..কারণ এই লাইনে সবসময় চোখ খোলা রাখতে হয়।।

তোর কাজের নিষ্ঠা আর সচেতনতা আমার খুব পছন্দ হয়েছে।। আমি খুশী হয়েছি।।
ইচ্ছা ছিলো আমার এই বড়ো রকমের জয় উপভোগ করার। কিন্তু আজ আরও একজন খুব কাছের মানুষকে আমি খুঁজে পাচ্ছিনা। তাকে নিয়ে আমজ খুব চিন্তিত কারণ সুন্দরবনের দিকের ব্যবসা সে দেখতো.. 
তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
তাই আজকের এই আনান্দ উপভোগ করতে পারলাম না। 
এখন এখান দিয়ে যা, আর যাওয়ার সময় তোর পুরস্কার-টা নিয়ে যাস।

ওই দেখবি..বাইরের টেবিলে রাখা আছে একটা খামে।।

যা, মজা কর। খুব তাড়াতাড়ি তোকে তিন নম্বর কাজের জন্য খবর পাঠাবো।।

অভয় তখন ঠিক আছে বলে সেখান দিয়ে প্রস্থান করে..আসার আগে টেবিলের উপরে থাকা খামটা নিয়ে হাসিমুখে বাইরে বেরিয়ে আসলো।
আজ vk এর আরও একজন প্রিয় লোক নিখোঁজ..
অভয় তখন সকালের স্মৃতি গুলো ঝলকে ঝলকে মনে করলো..

সেইযে এম.এল.এর গাড়িটাকে প্ল্যান মাফিক দ্বার করানো..এবং গাড়িটিকে যারা নজরে রাখছিলো..তাদেরকে আগে গেট পার করার রাস্তা করে দেওয়া....

সবাই তো এইটুকুই জানেন..ভেতরে ভেতরে এই প্ল্যান-টা কিন্তু এম.এল.এ আর ওই অফিসার এবং ওই ব্যবসায়ী সকলেই জানতেন।

আপনারা নিশ্চয় জানেন যে..ওই এম.এল.এর গাড়িটা রেলগেটে যাওয়ার আগে একটু দাঁড়িয়ে গেছিলো..ওই গাড়ির ড্রাইভার এমন ভাব করছিলো যেন গাড়িটি খারাপ হয়ে গেছিলো.. আর এদিকে পুলিশের ঝামেলা এড়ানোর জন্য vk এর লোকজনেরা গেটের ওপারে চলে যাওয়া মাত্রই রেলগেট পড়ে যায়।

তখন অভয় সহ vk এর সব লোকজনেরা চার নম্বর লাইনের এপাড় থেকে এক নম্বর লাইনের ওপাড়ে দেখছিলো.. ঠিক তখনি তিন নম্বর লাইন দিয়ে রামপুর হাট মেমো প্যাসেঞ্জার যাচ্ছিলো..

আর এদিকে ওই এম.এল.এর গাড়িটা যখন রেলগেটের রাস্তাটাই আসা মাত্রই পেছন দিয়ে একই নম্বর প্লেটের আটটা গাড়ি একি রঙের..ওই এম.এল.এর গাড়িটার পেছনে, বাঁপাশে, ডান পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেলগেটের সামনে এসে দাঁড়ালো.. আর ওই রেলগেটের রাস্তার মুখে একটা বড়ো লরি..রাস্তার মুখে এসে দাঁড়িয়ে গেলো..এরফলে পেছন দিয়ে কোনো গাড়ি আসতে পারবেনা..আর যে আটটা গাড়ি ওই এম.এল.এর গাড়িটার আশে পাশে ছিলো..এরফলে পেছন দিক থেকে এম.এল.এর গাড়িটাকে দেখার কোনো রাস্তায় নেই।

এখানেই ওলট-পালট হয়েছে একটু।।

 এম.এল.এর গাড়ির ড্রাইভার সহ.. ওই অফিসার,ব্যবসায়ী, আর এম.এল.এ কে..গাড়ি থেকে বের করে ওই রামপুর হাট মেমো প্যাসেঞ্জারে তুলে দেওয়া হয়েছে..কারণ রেলগেটের গায়েই স্টেশন..আর সেইদিন তিন নম্বর আর চার নম্বর লাইনে কাজ হচ্ছিলো এইজন্য ট্রেন খুব আস্তে চলছিলো..যেহেতু মেমো ট্রেনের বগি গুলোয় সিড়ি থাকে তাই খুব সহজেই ওরা সকলে টেনে উঠে যায়।
কিন্তু বলির পাঁঠা হয়ে দাঁড়ায় vk এর খাস কর্মী যেকিনা vk এর সুন্দরবনের দিকের সব ব্যবসা দেখতো।


ব্যস তারপরেই রামপুর হাট প্যাসেঞ্জার তিন নম্বর লাইনে আর চার নম্বর লাইন দিয়ে জসিডি পাস করছিলো।।

আপনারা নিশ্চয় জানেন..অভয় ট্রেন খুব ভালোবাসে..আর তাছাড়া অভয় ট্রেনের টাইম টেবিল সহ..ট্রেনটি কত নম্ভর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে বেশী যায়, কটার মধ্যে আসে স্টেশনে এগুলো সব অভয়ের বেশীরভাগটাই জানা।
তাই এই নিখুঁত পরিকল্পনা সাজাতে অভয়ের বেশী পরিশ্রম করতে হয়নি..

 আপনারা হয়তো ভাবছেন..পুলিশ অভয়কে কিছু বললোনা আবার অভয় ওদের সকলকে ট্রেনে উঠিয়ে দিলো..তারমানে এটা একটা প্ল্যান.. 

হ্যাঁ এটা একটা প্ল্যান.. 
অভয় পুলিশকে আগেভাগেই সব জানিয়ে এই মিশনে নেমেছে..তবে ওই পুলিশটি অভয়ের পূর্ব পরিচিত। একদিন বাসে অভয়ের মানিব্যাগ হারিয়ে গেছিলো..
সেইদিন অভয় নিজের গ্রামে যাচ্ছিলো বাসে করে..এক ভদ্রলোক বাসে উঠে কেমন যেন উশখুশ করছিলেন..অভয় বুঝতে পারে যেবেই লোকটির হয়তো বাসে উঠলেই বমি পায়, সেজন্য অভয় নিজের জানলার সামনের জায়গা-টা ওই লোকটিকে দিয়ে দিলেন। আর এদিকে সদ্য মানিব্যাগ হারা অভয়ের কাছে বাস কন্ডাকটর যখন টিকিট দিয়ে ভাড়া চাইছিলেন..তখন অভয়ের কাছে টাকা ছিলোনা..কারণ বাসেই অভয়ের টাকা চুরি হয়ে গেছে।।

যেহেতু অভয় ওই লোকটিকে জাননাল সামনে বসতে দিয়েছিলো..আর এই বাসটা অনেক দূরপাল্লার বাস ছিলো..ওও ভদ্রলোকটি অভয় কে দেখে বুঝলেন ছেল্বটি খুব ইনোসেন্ট.. সেইজন্য অভয়ের বাস ভাড়াটা সেদিন উনিই দিয়ে দিলেন।
ব্যস তারপর থেকে দুইজনের-ই বন্ধুত্ব হয়ে যায়।

এরপর অভয় ওই ওদের আড্ডার জায়গা দিয়ে বেড়িয়ে রাস্তায় এদিক-ওদিক তাকিয়ে দূরে দেখতে পেলো..তার নিজের বন্ধু প্রতাপ।

অভয় ভালোমতোই জানে যে তার হাতে vk এর দেওয়া খামের ভেতরে টাকা আছে।

প্রতাপের দিকে দৃষ্টি দিয়ে অভয় এগোতে লাগলো..

আর ওইযে vk এর খাস লোকের বিষয়টা..ওই অফিসার যেকিনা অভয়ের বন্ধু সেই অফিসার বেশ কয়েকদিন আগে একটা বে-আইনি ট্রাকের উপর কাজ চালাচ্ছিলো..সেখানে vk এর নাম সহ সুন্দরবনে vk এর অন্তত প্রিয় একজনের নাম জড়িয়ে পরে..সেই কেস চালাতে চালাতে পুলিশ শেষমেশ একটা গোপন ডেরায় হানা দেয়..সেই ডেরায় অনেকে ধরা পড়লেও..পালিয়ে যায় vk এর সুন্দরবনের দিকে ব্যবসা সামলানো অন্তত প্রিয় একজন..তারসাথে আরও কয়েকজন ছিলো..

ওই ডেরার বাইরেও বেশ কিছু পুলিশ ছিলো..তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পুরো জায়গাটাকেই ঘিরে রেখেছিলো..এইজন্য তারা সকলে ধরা পড়ে..যারা পালিয়ে গেছিলো..ধরা পড়ে vk এর প্রিয় কর্মী।
একটা গোপন আস্থানায় পালিয়ে যাওয়া কর্মীদের রাখা হয়..পুলিশের বিভিন্ন রকম ডিগ্রি.. ব্যবহার করে..এক একজনের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রমাণ নেওয়া হয়। সেগুলোকে ক্যামেরাবন্দী করা হয়।
এরপর vk এর ওই খাস কর্মীকে..ছেড়ে দেওয়ার জন্য..ওর সাথে একটা চুক্তি করা হয়।

যদি সে vk এর এই বে আইনি কাজের বিবরণ গুলো..কোর্টে ঠিকঠাক ভাবে বলে তবেই তাকে ছাড়া হবে। এইজন্য ওই এম.এল.এর গাড়িটা যখন রেলগেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো..তখন ঠিক ওই গাড়িটার পাশ থেকে একজন বেরিয়ে আসে..যার কোমড়ে বাঁধা একটা বোম..আসলে ওটা ছিলো একটা খেলনা তবে টোপ হিসেবে ওটা ব্যবহার করা হয়েছে।। অভয়ের সেই অফিসার বন্ধু ওই বোমটা লাগিয়ে দিয়েছিলো vk দলের সবথেকে প্রিয় কর্মীর গায়ে। অফিসার সেই লোকটিকে বলেছিলো....যদি সে কোর্টের ভেতরে গিয়ে vk এর ব্যাপারে সত্যি কথাগুলো স্বীকার করে..তবেই তাকে ছাড়া হবে। আর নাহলে বোমাটা ফেটে যাবে। তাকে আরও বলা হয়েছিলো এইবোমার গায়ে বেশ কয়েকটা সেন্সর লাগানো আছে..যদি বাইরে থেকে খোলার চেষ্টা করা হয় কিংবা কোনোরকম উনিশ-বিশ হলে বোমটা নিজে থেকে ফেটে যাবে।

তাই যখন ওই এম.এল. এ সহ ব্যবসায়ী আর থানার অফিসার-টা রামপুর হাট মেমোতে উঠে গেলো..তখনি ওই vk এর দলের প্রিয় কর্মীটি পাশেএ গাড়িটা থেকে বেড়িয়ে ওই এম.এল.এর গাড়িটায় উঠে বসলো।। 

তার গন্তব্য ছিলো..কোর্ট 
একটু উনিশ-বিশ হলেই যে তার জান চলে যাবে সেটাসে ভালোভাবেই জানতো..আর ওই গাড়িটার মধ্যে রাখাছিলো..তিনটে লাশ.. ওই অফিসার...মর্গ থেকে এনেছিলেন..যাদের বয়স ও উচ্চতা পুরো অবিকল ওই এম.এল.এ,অফিসার আর ওই ব্যবসায়ীটার মতোন।।
ওদেরকে ঠিক সেইসকল জামা ও প্যান্ট পড়িয়ে..ওই গাড়িটায় রাখা হয়..


কাজেই গাড়িটা যখন কোর্টে গিয়ে..বিস্ফোরণের স্বীকার হয়..তখন ওই ড্রাইভার আসনে থাকা vk এর প্রিয় কর্মী সহ বাকিদের লাশ তীব্র ভাবে জ্বলে যায়। তাই লাশগুলো সনাক্ত করা খুব কঠিন...তবে বলা বাহুল্য এম.এল.এ সাহেব আর বাকি দুইজন যেহেতু ওই গাড়িতেই শেষ সময়টুকু ছিলো..তাই সাধারণ মানুষের মনে একটা কথাই আসবে যে..গাড়িটায় মৃত মানুষেরা বরং আর কেউ নয়..সেই এম.এল.এ এবং বাকি দুইজনের।

আর এই পুরো কাজটা হওয়ার আগে..vk এর দলের প্রিয় ওই কর্মীটাকে দিয়ে একটা সিক্রেট কনফেশন ভিডিও বানানো হয়..

ভিডিওটাতে সে বলছে যে..
আমার নাম অমিত..আমি আজ কোর্টে vk এর বিরুদ্ধে সব প্রমাণ দিতে যাচ্ছি..আমি এই ভিডিও-টা একটা ফেসবুক পেজের রাত ৯.০০ টায় সিডিউল করে পোস্ট করে দিলাম..যদি বেচে ফিরি তবে আমি বাড়ি এসে ওই ভিডিও-টা ডিলিট করে দেবো..আর যদি বাড়ি না ফিরি আর ভিডিও-টা সোশ্যাল মিডিয়াতে অটোমেটিক পোস্ট হয়ে যায়..তাহলে ভাববেন vk ইই আমাকে মেরে ফেলেছে।

ভিডিও-টা এতোটা নিখুঁত ভাবে বানানো হয় যে কেউ বিশ্বাস করতে পারবেনা যে এটা প্ল্যান মাফিক ভিডিও-টি বানানো। এছাড়া ভিডিও-টিতে অমিত এর আগে যে যে নোংরা কাজ করেছে তার কোনো বর্ণনা দেওয়া হয়নি।। সেইসকল কাজ এতোটাই ঘৃণার যে তা লিখে প্রকাশ করা যায়না। এইজন্য বলির পাঁঠা হিসেবে অমিত-কেই বাছে সেই অফিসার।
তারআগে নিজেকে শান্তনা দিয়ে নেয় সে অফিসার..যে একশোটা দোষী শাস্তি পেলেও যেন তাদের মধ্যে একজন নিরপরাধ কেউ শাস্তি না পায়। 

তাই যে দোষী তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য এই অভাবনীয় পরিকল্পনা চিন্তা করে সেই অফিসার। যেহেতু সবকটা লাশ পুরো জ্বলে গেছে তাই বলা মুস্কিল যে..লাশ গুলোর আসল পরিচয় কি..
ফরেনসিক বিভাগ তদন্তের রিপোর্ট আসবে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই।।

এই পুরো ঘটনা গুলো অতি সাবধানতার ও মাস্টার প্ল্যানের সাথে করা হয়েছে..অমিত কে কিডন্যাপ করা..তাকে দিয়ে ভিডিও বানানো..সেই ভিডিও তারই মোবাইল দিয়ে ছাড়া। ভি.পি.এন ইউস করে ভিডিওটা ছাড়া হয়..
যেইঘরে অমিত ছিলো..সেইঘরে যারা যারা গেছিলো তারা সকলে গ্লাভস ব্যবহার করেছিলো..অফিসার সহ আর যারা যারা এসেছিলো..তারা প্রত্যেকে যার যার মোবাইল বাড়িতে রেখে এসেছিলো..ওই কনফেশনের ভিডিও-টা অমিতের ফোনে রেকর্ড করে..সেটিকে যখন ফেসবুক পেজে সিডিউল করা হয়..তারপরেই অমিতের ফোন বন্ধ করে সেখান থেকে তাকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়..যাতে কোনোরকমে ঝামেলায় তাদের না জড়াতে হয়। 

 এদিকে এরপরের গল্প গুলো হেব্বি ভাবে..সাজানো হয়..অভয় vk এর ডেরা থেকে বাইরে চলে আসার বেশ কিছুক্ষণ পর অমিতের সিক্রেট কনফেশন ওয়ালা ভিডিও-টা কোনো একটা ফেসবুক পেজে পোস্ট হয়। যেই পেজের ওনার ছিলো অমিত নিজেই। সিডিউল অনুযায়ী ভিডিওটি অটোমেটিক পোস্ট হয়ে যায়।
আর সেই ভিডিও প্রচুর ভাইরাল হয়।

আর এদিকে ফরেনসিক সাইন্সের রিপোর্ট চলে আসে..সেখানে শুধু ওই গাড়ির চালককের লাশের হাতের ছাপ ও ডি.এন.এ ক্রিমিনাল রেকর্ডে থাকা বিভিন্ন ব্যাক্তির সাথে মিল খোঁজার সময়..অমিতের নাম ও ছবি উঠে আসে..যেহেতু অমিত অনেক আগে থেকেই এসব বে-আইনি কাজের সাথে যুক্ত ছিলো। তাই তার ডেটা ক্রিমিনাল রেকর্ডে জমা ছিলো।

পুরো গল্পটা এইভাবে এখন পাবলিকের কাছে আসে যে..
ওই অমিত vk এর বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে গিয়েই মৃত্যুর স্বীকার হয়। এদিকে vk এর বিরুদ্ধে এম.এল.এর কেসটাও ছিলো..

প্রশাসন vk এর উপরে চাপ বাড়াতে থাকে।।


আচ্ছা অভয়ের এসব করছে তার স্বার্থ কি?

কেইবা অভয়ের ঘাড়-টা শক্ত করে গাড়িতে টেনে নীচের দিকে নামিয়ে দিয়েছিলো??

আর অভয় পুলিশ কে সাহায্যে করছে আবার vk এর কাজও করছে..অভয়ের উদ্দেশ্য-টা কি??

এতকিছুর পরেও অভয় কোনো বড়ো বিপদে পড়বেনা তো??

প্রশ্ন তো অনেক..উত্তর তো আমাদের কেই বার করতে হবে। এরপরে অভয়ের কিহলো
সেটা জানতে হলে আমার গ্রপে জয়েন করুন আর লেখা এই " প্রমাণ করতে পারবেন না " গল্পটির তৃতীয় পর্বটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

আর যারা যারা আমার এই গল্পটির প্রথম পর্ব ঘাটশিলা মেমো গল্পটি পড়েন-নি..তারা অবশ্যই গল্পটি পড়ে নেবেন।

রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২০

সাহায্যে চাই

কিরে????
কয়দিন ধরে দেখছি তুই রাস্তার কুকুরদের বাড়ির ভেতরে নিয়ে যাচ্ছিস..! তারপর আবার কিছুক্ষণ বাদে ছেড়েও দিচ্ছিস..তোর ব্যাপারটা কি?

 - এদিক-ওদিক তাকিয়ে আমাদের সমাজসেবী ভাই বলে উঠলো..সব বলবো আর সাথে এটাও বলবো..কিভাবে ঘরে বসে মাসে পয়সাও কামানো যায়। তার আগে একটু হেল্প করবি?

কি হেল্প লাগবে তোর?

 - তোর ফোন দিয়ে কটা হেব্বি  এইচ.ডি কোয়ালিটির ছবি তোল।। আমার সাথে কুকুরটার।

 ওকে তুলছি.....

- হুম....!
(বেশ কয়েকটা ছবি তোলার পর) 

 ব্যস ব্যস অনেক হয়েছে। এবার আমার বাড়ি চল।। কথা আছে তোর সাথে।।

- বাড়িতে যাওয়ার পর -

বল কি বলছিলি..
কিভাবে বাড়ি বসে টাকা কামানো যায়।।

ঠিক তখনি পাশের ঘর থেকে একটা বিদেশী জাতের কুকুর বেড়িয়ে এলো....

আমাদের ফটোগ্রাফার ভয় পেয়ে গেছিলো..ফটোগ্রাফারের মুখে ভয়ের ছাপ দেখে.. আমাদের কুকুরপ্রেমী ভাই নিজের কুকুরটিকে এক ধমক দিয়ে পাশের ঘরে চলে যেতে বললো।।

কুকুরটি পাশের ঘরে যাওয়া মাত্রই...

আমাদের ফটোগ্রাফার ভাই বলে উঠলো - -

কি রে ব্যাপারটি কি?
তুইতো আজকাল ফেসবুকে খুব পোস্ট করিস যে..দেশী কুকুর ভালোবাসুন, বিদেশী কুকুর পুষে বিলাসিতা করা বন্ধ করুন..কারণ রাস্তার কুকুরদের ও ঘর দরকার..

তো তুই বাড়িতে এইরকম একটা কুকুর পুষেছিস..আবার বাড়িতে দেশী কুকুর নিয়ে আসিস..ফেসবুকে দেশী কুকুর নিয়ে প্রতিবাদের পর প্রতিবাদ করিস?? বলি এসব তো কিছুই আমার মাথায় আসছেনা ভাই।।

 - আরে মাথা ঠান্ডা কর..একবারে এতো উত্তেজিত হওয়া উচিত হবে না।

 কিন্তু এসবের মানে কি?
আমিতো কিছুই বুঝতে পারছিনা।

- বুঝবি তার আগে মন দিয়ে আমার কথা শোন।
আমার সাথে প্রতিদিন বিকেলে বেরবি, আমরা বিভিন্ন দেশী কুকুরের সাথে ছবি তুলবো..তুই সেই ছবি রাতে আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে  দিবি..আমি ওদের নিয়ে বিভিন্ন লেখা লিখবো আর ফেসবুকে পোস্ট করবো..

 ও তার মানে ফেসবুকে ফলোয়ার বাড়ানোর কথা বলছিস.. 

 - আরে না ভাই..তোর কথা পুরোপুরি ঠিকওনা আবার ভুল বলতেও পারিনা। তবে যতো বেশী মানুষ আমার পোস্ট পড়বে ততো আমার পক্ষে লাভজনক।। 

দেখ..বাড়িতে একটা দেখেছিস তো, ওটার খাওয়া-দাওয়া, পরিচর্যা করতে করতে অনেক টাকা বেড়িয়ে যায়। তারপর সবাই চায় যে, নিজের একটা এক্সট্রা ইনকাম হোক। তো কোথা থেকে আসবে টাকা??

তাইজন্য তুই বলেই বলছি।।
আমার সাথে থাক..একটু হলেও টাকার মুখ দেখতে পাবি।

  কিন্তু টাকা আসবে কোথা দিয়ে??

 - আমার চেনাশোনা একটা দাদা আছে যেকিনা কুকুরদের ট্রিটমেন্ট করে..তবে কি জানিস তার কোনো ফেসবুক আইডি নেই।তো.. আমি কি করি তার হেল্পারি করি..আর তার সাথে গিয়ে বিভিন্ন কুকুরের ছবি তুলি..

তারপর ফেসবুকে পোস্ট করি..যে " এই কুকুরটির এই হয়েছে, এর জন্য কিছু সাহায্য করলে ভালো হয় "
ব্যস ভাই..এরপর নিজের পেটিএম নম্বর দিয়ে দিই পোস্টের নিচে..ওখান থেকে বিশ্বাস কর জলের মতোন টাকা আসে।।


 কিন্তু যেই লোকেরা টাকা দিচ্ছে তারা যদি ওই কুকুরটা সুস্থ হলো কিনা কিংবা কুকুরটির অবস্থা জানার জন্য কিংবা বর্তমানে কুকুরটিকে যদি তোর থেকে দেখতে চায়.. তখন কি করিস??


 - আরে কিছুই না, কুকুরটি সুস্থ হয়ে গেলে..ওর সেই অবস্থার ও ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করি..সত্যিটা না জানলে কেউ কি আর পয়সা দেবে?
তুইও আই এই লাইনে দেখবি..বসে বসে ইনকাম করতে পারবি..!!

ভাই আমার বাবা-মা আমাকে সবসময়ই বলে..
উৎপাতের টাকা চিৎপাতে যায়। নিজের পেট চালানোর জন্য কিছুনা কিছু ব্যবস্থা ঠিক হয়ে যাবে। বাড়িতে বিদেশী কুকুর পুষেছিস যদি তোর..ক্ষমতায় না কুলোয় তাহলে পুষেছিস কেন?? আর আমাকে নিয়ে তোর ভাবতে হবেনা ভাই..আজ হয়তো বেকার আছি তবে কাল থাকবোনা। তবে তোর পথ যদি অবলম্বন করি
তবে কিছু সময়ের জন্য সুখ শান্তি পেলেও সেটার কিন্তু কোনো দাম নেই। নিজের বাড়িতে ডাল-ভাত খাই তবে খুশিতে থাকি..
আর তুই যেপথ অবলম্বন করছিস আমি ছোটোমুখে বড়ো কথা বলছি হয়তো..যদি পারিস এই পথ থেকে বেড়িয়ে আই।।
কারণ সত্যিটা একদিন না 
একদিন প্রকাশ্যে আসবেই। একবারও কি তোর মনে হলোনা তোর জন্য..কত এমন মানুষ আছে..যাদের সত্যিকারের সাহায্য প্রয়োজন তাদের কে মানুষ কোন ভরসায় সাহায্য করবে??
তারা তো ভুক্তভোগীর স্বীকার হচ্ছে।।

চললাম রে ভাই,
আর আমি বাড়ি যেতে যেতে পারলে আমাকে আনফ্রেন্ড করে দিস, বুঝিস তো 
সবার গায়ে তো আর তোর মতোন কুলাঙ্গারের চামড়া নেই। তাই যদি কোনোদিন মুখ খুলে ফেলি।।



** এই হচ্ছে বর্তমান অবস্থা..আমরা প্রতিনিয়ত না জেনে অনেক ফাঁদে পা দিয়ে ফেলি..কিন্তু এরজন্য ভুক্তভোগী হতে গয় সাধারণ মানুষদের। এইরকম চিটিংবাজ বাজদের জন্য..যাদের সত্যিকারের সাহায্য দরকার..আমরা তাদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিতে পারিনা।

আবার..আমরা মাঝেমধ্যে যে সাহায্য চাইছে তার কি সত্যি কারের সাহায্য দরকার নাকি দরকার নেই আমরা এইসব ঘটনার দিক থেকে বিচার করলে তার উত্তর-টা আমরা বের করতে পারিনা **


সর্বশেষে এক টাকা হোক কিংবা একশো টাকা। সেই টাকা পয়সায় কিন্তু আপনার ঘাম আপনার রক্ত লেগে থাকে..আবার কত টাকা-পয়সা রাত না জাগা গল্পের সাক্ষী হয়ে থাকে.. 

নাজানি কত শখ, কত ইচ্ছা বিসর্জন করে ইনকাম করেছেন আপনি..

তাই পরেরবার থেকে কাউকে সাহায্যে করবার আগে একটু ভাববেন..যে আপনি ঠিক লোককে সাহায্য করছেন তো?? কারণ এইসব ঘটনার স্বীকার কিন্তু সাধারণ মানুষেরাই হয়ে থাকে

উপরের লেখাটি কাল্পনিক ঘটনার উপর ভিত্তি করে লেখা....বাস্তবের সাথে এর কোনো মিল নেই। এবং এই লেখাটির মাধ্যমে সেইসকল মানুষদের চিহ্নিত করা হয়েছে যারা কিনা সাধারণ মানুষের সাহায্য এইরকম একটা নিন্মমানের কাজ করে..
যাদের জন্য সত্যিকারের সাহায্যের দরকার ভুক্ত মানুষরা বঞ্চিত হয়।।

সুস্থ থাকুন,ভালো থাকুন।।

7/9/2020
Fb Page - silent talks of midnight animals

বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২০

"কোটি টাকায় বিক্রি হলো ডবল ডায়মন্ড নামের একটি ভেড়া"

ভেড়া - বৈজ্ঞানিক নাম (ovis aries) 
পৃথিবীর সকল দেশেই ভেড়া পালন হয়ে থাকে..এই শান্ত স্বভাবের নিরামিষাশী প্রাণীটির সাথে সকলেই কমবেশী পরিচিত। প্রাচীন সময়ের ইরানে আনুমানিক ৬০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে ইরানে পশমওয়ালা ভেড়া পালন শুরু হয়, (সূত্র -Wikipedia)  এছাড়াও  মেসোপটেমিয়া ছাড়াও আরও অন্যান্য জায়গায় ভেড়া পালনের যথেষ্ট প্রচলন ছিলো। 

ভেড়ার দুধ,গোবর,পশম,চামড়া সবই কাজে লাগে এইজন্য ভেড়া পালন যথেষ্ট লাভজনক। 
কিন্তু এখন যে ভেড়ার কথা আপনারা জানতে চলেছেন সেটি শুনলে আপনারা অবাক হবেন আর সাথে নির্বাক তো বটেই। বিক্রি হয়ে গেলো বিশ্বের সবথেকে দামী ভেড়া যাকিনা  ব্রিটিশ পাউন্ডে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকায়।

ভেড়াদের মধ্যে এই ভেড়াটি সেরা, তাই বিশ্বের 
সবথেকে দামি ভেড়া ‘ডবল ডায়মন্ড’ 
বিক্রি হয়ে গেলো একটি নিলামে।দাম 
উঠে গেলো কোটি টাকা। স্কটল্যান্ডে 
বাদামি অথবা স্বর্ণালি পশমের রঙের টেক্সেল প্রজাতির এই বিশেষ ভেড়াটি যাইবলুন না কেন..তার বিশেষ পেশিবহুল চেহারা রীতিমতো অবাক করার বিষয়।

সংবাদসংস্থা সিএনএন সূত্রে খবর অনুযায়ী, স্কটল্যান্ডের ল্যানমার্কে স্কটিশ ন্যাশনাল টেক্সেল সেলের আগে থেকেই এই ভেড়া নিয়ে শুরু হয়েছিল চর্চা। মাঝেমধ্যে স্কটল্যান্ডে টেক্সেল শিপ সোসাইটির তরফে এই রকমের ভেড়াদের নিলাম করা হয়। সেখানে ভালই দাম ওঠে তাদের। তাই বলে একটা ভেড়ার যে এত দাম উঠবে তা হয়তো ভাবতেই পারেননি কেউ।


অন্যান্য ভেড়ার থেকে অবশ্য একটু বেশি দামেই শুরু হয়েছিল ডবল ডায়মন্ডের নিলাম। শুরুতে তার দাম কম রাখা হলেও তারপর থেকে শুরু হয় নিলাম। দাম বাড়তেই থাকে। সবাই যেন কেনার জন্য হাপিত্যেশ করছিলেন। অবশেষে দাম বাড়তে বাড়তে আকাশ ছোঁয়া দামে পোঁছে যায়।

এই সুন্দর দেখতে ভেড়াটি চার্লি বোডেন ও তার পরিবার বিক্রি করেছেন।বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) এই ভেড়াটি বিক্রি হয়েছে। জানা গিয়েছে একজনের পক্ষে এই দাম দেওয়া সম্ভব হয়নি। তো তিনটি ফার্ম মিলে একসঙ্গে কিনেছে এই ভেড়াটি। তাই চুক্তি মোতাবেক টাকা জমা দেওয়ার পরেই ভেড়াটিকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

ভেড়াটিকে যে তিনটি ফার্ম কিনেছে তার মধ্যে একটি ফার্মের মালিক জেফ এইকেন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, “এটা ভেড়ার ব্যবসা অন্য আর পাঁচটা ব্যবসার মতোই। এই ভেড়াটি আমার দেখা সবচেয়ে নিখুঁত ও চমৎকার। 


টেক্সেল শিপ সোসাইটি জানিয়েছে, এই টেক্সেল প্রজাতির ভেড়া সবথেকে উৎকৃষ্ট। তাদের মাংসও নাকি খুব সুস্বাদু। হল্যান্ডে এই জাতীয় ভেড়ার নাকি প্রচলন অনেক বেশী। তাই যাঁরা ভেড়া নিয়ে কারবার করেন, তাদের কাছে ভেড়ার দুধ,চামড়া,পশম,গোবর সবকিছুই ব্যবসার স্বার্থে  খুবই লোভনীয়। এর আগে ২০০৯ সালে বিক্রি হয়েছিলো, ডেভেরোন ভেল পারফেকশন নামের একটি ভেড়া যা কিনা (২লাখ ৩১ হাজার পাউন্ডে) তারপর থেকে ১১ বছর অক্ষত ছিল সেই রেকর্ড। অবশেষে সব রেকর্ড ভেঙে দিল ২০২০ এর ডবল ডায়মন্ড।

সূত্র -  দ্য গার্ডিয়ান,সি.এন.এন
ছবি - Independent.co.in 

মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২০

"প্রমাণ করতে পারবেন না" গল্পের প্রথম পর্ব - " ঘাটশিলা মেমো "

প্রমাণ করতে পারবেন না গল্পের প্রথম পর্ব - (ঘাটশিলা মেমো)
এইখানেই ফেলে দে লাশটাকে!
মালটা বোবা ছিলো তাই বেশী ঝামেলা পোহাতে হয়নি....চল এখান দিয়ে তাড়াতাড়ি কেউ দেখে ফেললে আবার ঝোল হয়ে যাবে....

কিন্তু ওই মেয়েটা যদি পুরোপুরি না মরে তাহলে তো আমরা ফেসে যাবো..

এই তোর মাথা ঠিক আছে? যা অত্যাচার হয়েছে..যে ওই অত্যাচার দেখবে সেও ঘাটে যাবে..আর তাছাড়া ও যদি কথা বলতে পারতো তাহলে নাহয় ব্যাপার ছিলো..এখন এসব আলোচনার সময় নয়..এখান থেকে দ্রুত চল..

কিছুদিন পর....

তোকে আমি তিনটে কাজ দেবো....যারমধ্যে প্রথম কাজটা হলো হাওড়া স্টেশন দিয়ে আমি কিছু জিনিস দেবো পার্সেল করে...ওই পার্সেলটা খড়গপুর পৌঁছাতে হবে, 
তবে....
তবে মনে রাখিস প্রথম কাজেই যদি ফেল হয়ে যাস তাহলে তোকে আর আমরা কেউ নিজেদের কাজে নেবোনা....আর আমি যে পার্সেল তোকে দেবো সেই পার্সেল যদি তুই ছাড়া অন্যকেউ খোলে কিংবা যদি হারিয়ে যায় তো তোকে জরিমানা গুনতে হবে..

এবার বল রাজি আছিস?

অভয় - হ্যাঁ রাজি আছি..

তো বেশ দেখ ওপাশের দেওয়ালে যে স্কুল ব্যাগ ঝুলছে ওর মধ্যে একটা পার্সেল আছে....কাল এটা ঠিকমতো পৌঁছে সন্ধ্যাবেলায় এই আড্ডায় দেখা করিস....আর শোন যদি তুই ধরা পড়িস আর কিংবা আমার সাথে কোনো গেম খেলার চেষ্টা করিস তো ভেবে নিবি কালকেই তোর শেষ দিন....মনে থাকে যেন....কাল  দুপুর ১.০০ টার মধ্যে খড়গপুর স্টেশনে পৌঁছে যাস....ওখান দিয়ে আমার লোক তোকে খুঁজে ঠিক ব্যাগটা নিয়ে নেবে....এখন যা।। আর যাওয়ার আগে মনে রাখিস এটা একটা খেলা....যেটার রুলস আমি চাইলেই পরিবর্তন হয়ে হবে....

নে..নে এবার যা।।

** অভয় ওখান থেকে চলে আসে....বাইরে বেড়িয়েই অভয়ের চোখ গেলো তার বন্ধু  প্রতাপের দিকে **

প্রতাপ - কি রে..কাজটা হলো নাকি হলোনা?

অভয় - হ্যাঁ একদম।
প্রতাপ - কি বলছিস কি....

অভয় - কালকে সকালে হাওড়া থেকে খড়গপুরে এই ব্যাগটি পৌঁছাতে হবে....

প্রতাপ - কি আছে এতে বোম টোম নেইতো? এই যদি ড্রাগস হয়, তো কি করবি? পুলিশ ধরলে তো অনেক দিনের জন্য গ্যারেজ হয়ে যাবো আমরা ভাই। তখন কিভাবে ছাড়া পাবো?

অভয় - ভাই আমি স্বইচ্ছায় গুণ্ডাদের দলের সদস্য হতে চাইছি....তাই এখন থেকে এইরকম আরও অনেক কাজই করতে হবে ভয় পেলে চলবেনা....নে নে, চল এবার কালকের প্ল্যান আমরা কালকেই দেখবো....

প্রতাপ - হ্যাঁ চল.... 

অভয় - অদূরে তাকিয়ে কাকে যেন হাত নাড়ল, আর অভয়ের মুখে হাসি ফুটে উঠলো....

প্রতাপ - তোর যে মাঝেমধ্যে কি হয়....দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভূত দেখলি নাকি?

অভয় - ভূত নয় রে ভাই..পেত্নী....হা..হা..হা..হা 
এবার চল দেরি হয়ে যাচ্ছে।

** পরেরদিন সকালে **
অভয় দের ট্রেন সবে হাওড়াতে ঢুকবে ঢুকবে করছে....

নীরব অভয়কে একটু ঠ্যালা দিয়ে প্রতাপ বলে উঠলো..তোর কি বুদ্ধি রে ভাই....বাবা, মা বেঁচে থাকলে দেখতিস তুই একদিন বিরাট বড়ো পুলিশ হতে পারতিস....

এই পুলিশের নাম নিবিনা আমার সামনে, আমি বড়ো হয়ে ট্রেন চালক হবো ভেবেছিলাম।। অভয় কথাগুলো একটু কড়া ভাবেই বললো তবে প্রতাপ সেই দিকের তোয়াক্কা না করেই বলতে লাগলো....হওড়া স্টেশনের পুলিশ আর ওইযে স্ক্যান করে যেই মেশিন তার ঝামেলা এড়ানোর জন্য শ্রীরামপুর থেকে ট্রেন ধরলি....যাতে ট্রেনটা তোকে স্টেশনের ভেতর নিরাপদে নিয়ে যায় আর তুই ভেতর ভেতর দিয়ে অন্যট্রেন ধরে খড়গপুর চলে যাস, কারণ প্ল্যাটফর্মের ভেতরে তো সেইরকম চেকিং নেইইই....

অভয় - গেমটা শুরু করেছে উনি, তবে গেম খেলার জায়গা ঠিক করি আমি....

হঠাৎ ফোন এলো.....
ফোনের ওপার দিয়ে.. 
আমি vk বলছি, তুই এখন কোথায়?

অভয় - হাওড়া ঢুকছি.... ট্রেনে উঠে ফোন করছি....
vk - এখান থেকে এইটুকু আবার ট্রেনে গেছিস..ব্যাপারটা বুঝলাম না তো ঠিক....

অভয় - আমি শ্রীরামপুর থেকে ট্রেন ধরে হাওড়া যাচ্ছি..এরপর ভাবছি ঘাটশিলা মেমু ধরবো..

vk - কিন্তু তুই যে ট্রেনে করে যাবি বলবিতো.....ধর কি যে করিস না তুই....

অভয় - হাওড়া স্টেশন দিয়ে এইরকম স্ক্যানিং আর পুলিশের এর ঝামেলা এই দুটো থেকে বাঁচার জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছি।।


vk - এটা ঠিক করিসনি..যাই করবি আমাকে জানিয়ে করবি..

অভয় - গেম আপনি চালু করলেও..খেলার মাঠ টাও আমাকেই খুঁজে বের করতে হবে তাইনা..

vk - ওকে ঠিক আছে..তবে এতোটও না দেখে গেম খেলিস না যে, দ্রুত গেম ওভার হয়ে যায়। যে কাস্টমারকে তুই ব্যাগটা দিবি..একটু সাবধানে.. কারণ ওই স্টেশনে প্রচুর পুলিশ থাকে..আর হ্যাঁ ওই কাস্টমারের সাথে বেশী কথা বা বিতর্ককে যাবিনা কারণ উনি একটু মেন্টাল ওনার দানবের মতোন বডি হলেও মাথাতে একটু প্রব্লেম আছে..ওনার সাথে বেশী কথা বলবিনা। যাই করিস তবে সময়ের যেন কোনো হেরফের না হয়..নাহলে ওই কাস্টমার চটে যাবে। একবার চটে গেলে রক্ষে নেই। 
রাতে কথা হচ্ছে..আমি উনার নাম আর মোবাইল নম্বর মেসেজ করে পাঠাচ্ছি তোকে।

অভয় - ঠিক আছে।

ধীরেধীরে ট্রেনটা প্ল্যাটফর্মের দিকে এগোতে লাগলো....
অভয়ের চোখটা কেমন জানি লেগে এলো....আকাশপাতাল ভাবতে ভাবতে সেইদিন কার কথা মনে পড়ে গেলো....যেইদিন ভি.কে নাইডু (ভিরাজকুমার বা vk)এর কাছে প্রথম গেছিলো কাজের জন্য...ছোটোবেলায় অভয়ের বাবা মা মারা গেছে, কিজন্য মারা গেছে সে সেটা জানেনা, বড়ো হয়ে যেনেছে সম্পত্তি নিয়ে ভাইয়েরা ভাইয়েরা দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা করছিলো, সেইথেকেই কি তার বাবা-মা নিখোঁজ নাকি অন্য কোনো কারণ আছে সেটা নিয়ে অভয় আজও ভেবে কুল-কিনারা পায়না। অভয়ের  নিজের বলতে কেউ না থাকলেও প্রতাপকে নিজের ভাইয়ের থেকেও বেশী ভালোবাসে.. প্রতাপ এর সাথে অভয়ের পরিচয় স্টেশনে..
স্টেশনের একধারে প্রতাপ বসেছিলো..আর স্টেশনেরই কিছু আওয়ারা ছেলে প্রতাপকে মারধর করছিলো..অভয়ের ট্রেন দেখার খুব নেশা ছিলো.. তাই মাঝেমধ্যে স্টেশনে আসতো...আর ট্রেন অজানা যাত্রীদের মধ্যে নিজেকে বিভোর করে রাখতো..

তাই যেইদিন অভয়ের সাথে প্রতাপের পরিচয় হয় সেইদিন তাদের পরিচিত হওয়ার আগের মুহুর্তে অভয় ট্রেন দেখতেই স্টেশনে এসেছিলো...ব্যস স্টেশনে এসেই অভয়ের সবার আগে চোখে পড়ে....একটা ছেলেকে কতগুলো ছেলে ঘিরে ধরে তাকে জ্বালাতন করছে....অভয় ওদের সামনে যেতেই..ছেলেগুলো পালিয়ে যায়....কারণ অভয় বেশ পরিচিত ছেলে ওখানকার....মারপিটে একেবারে মেডেল প্রাপ্ত যাকে বলে, তাইতো ছেলেগুলো দৌঁড় দিলো..প্রতাপকে ধরে অভয় যখন উঠে বসালো..তখন দেখলো প্রতাপের হাত পা ছুঁলে গেছে,
রক্ত বেরচ্ছে, খুব মায়া হলো অভয়ের..যখন অভয় জানতে পারলো প্রতাপের বাবা মা প্রতাপকে ছেড়ে গেছিলো..কীজন্য ছেড়ে গেছিলো সেটা তো অভয় বুঝেই গেছিলো..প্রতাপ একটা জড়বুদ্ধি সম্পন্ন বালক..অভয়ের ও কেউ নেই, এদিকে প্রতাপের ও কেউ নেই ব্যস সেইদিন থেকে দুইজনে বন্ধুর চেয়ে বেশী ভাইয়ের মতোন মিশতে শুরু করে দিলো....অন্যদের থেকে একটু আলাদা। তবে প্রতাপ অভয়কে খুব ভালোবাসে....এইসব সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে স্বপ্নের রাজ্য হারিয়ে গেছিলো অভয়..

হঠাৎ প্রতাপ এক ধাক্কা দিলো অভয়কে....সে বললো..কিরে..এবার নামবি চল ট্রেন প্ল্যাটফর্মে এসে গেছে যে..

অভয় - হ্যাঁ চল....
প্রতাপ ও অভয় দুইজনেই ট্রেনের দরজার দিকে এগোতে লাগলো..
প্রতাপ যখন দরজা দিয়ে নামতে যাবে..তখন পাশে অভয়কে না দেখে পেছনে ফিরে দেখে অভয় ট্রেনের একটা ফাঁকা সিটের দিকে তাকিয়ে আছে....মনে হচ্ছে কার সাথে যেন কথা বলছে....প্রতাপ আবার অভয়কে ডাকলো কিরে যাবিনা??এখানেই ৯.৩০ এর বেশী হয়ে গেলো....এরপর কিন্তু দেরি হয়ে যাবে....

অভয় তখন বললো....ট্রেনের বাইরে দিয়ে একটু উঁকি দিয়ে দেখ..সাবধান মাথাটা বেশী বের করিস না....

প্রতাপ অভয়ের কথা মতোন নিজের মাথাটা সামান্য বাইরে বের করে দেখলো.. স্টেশনে পুলিশ যে সকল যাত্রীরা এই ট্রেন দিয়ে নামলো সেইসকল যাত্রীদের চেক করছে..

প্রতাপ - ভাই....এবার কি হবে??ধরা পড়লেও তো ভাই দুইদিক থেকেই আমরা শেষ..কি করবো এবার??

অভয় - শান্ত ভাবে বললো..পুলিশ কে কেউ খবর দিয়েছে যে এখানে আজ কিছু গন্ডগোল আছে অথবা হতে পারে আমাদের ব্যাপারে কেউ কোনো তথ্যে পুলিশের কাছে আগাম দিয়েছে..

প্রতাপ - ভাই....কে করতে পারে এসব?? ভাই আমার মনে হচ্ছে আজকেই সব শেষ..কেনযে তোর সাথে এইকাজে আসলাম..নেহাত

তাড়াতাড়ি ফুলপ্যান্ট টা ছাড়..ভেতরে হ্যাফপ্যান্ট আছে তো??

প্রতাপ - হ্যাঁ....হাফপ্যান্ট এ কি হবে?? 

কথা না বলে দ্রুত প্যান্টটা খোল....অভয় ও প্রতাপ দুইজনে ফুলপ্যান্ট খুলে হাফপ্যান্ট পরে নিলো....এবার অভয় নিজের ব্যাগ থেকে বড়ো দুটো বস্তা বের করলো....একটা বস্তার মধ্যে নিজের ব্যাগটাকে ভরলো..আর অন্য বস্তাটাকে প্রতাপ কে দিয়ে বললো..
তাড়াতাড়ি ট্রেনের ওপাশে নাম..এপাড় দিয়ে যাওয়া যাবেনা...

প্রতাপ - কিন্তু ভাই এইভাবে বস্তা নিয়ে নেমে কি হবে??ধরা তো পরেই যাবো..

অভয় - আই আমার সাথে..
(দুইজনেই নীচে নামলো)

অভয় - শোন যদি কোনো পুলিশ কিছু বলে, বলবি এক বাবু কার্সেট এ যেতে বলেছিলো..ওখান থেকে কিছু প্লাস্টিকের বোতল নিয়ে আসতে গেছিলাম, কিন্তু কার্সেটে গিয়ে দেখি....ওরা বোতল গুলো সরিয়ে ফেলেছে..তাই চলে যাচ্ছি।।ওকে..

আর নাহলে চুপ করে থাকবি..বাকিটা আমি দেখে নেবো।। 

প্রতাপ - জিও ভাই, তোর পা টা আমার মাথাটা একটু ঠেকাতে দে....কিন্তু যদি আমাদের এই বস্তা চেক করে..কারণ এমন তো কোনো বাধ্যবাধকতা নেইযে, পুলিশরা আমাদের ব্যাগ চেক করবেনা..

অভয় - সে দেখা যাবে তখন।
(এইভাবে রেললাইন পেরিয়ে দুইজনে চললো..ঘড়িতে তখন ১০.২০। 
যেই প্ল্যাটফর্ম দিয়ে ট্রেনটা ছাড়বে সেই প্লাটফর্মে দুইজনে এসে হাজির.....দুইজনেই ঘাটশিলা মেমো ধরে খড়গপুর পৌঁছে ব্যাগটা সেই লোকের কাছে দিয়ে আসে..সে রেলওয়ে ওভার ব্রীজের উপরে দাঁড়িয়ে ছিলো) 

** সন্ধ্যা বেলায় যখন vk এর কাছে **

vk - সাবাশ, আমি তোর উপর খুব খুশি হয়েছি..আর সাথে এই ভেবে অবাক তুই কিভাবে এতো পুলিশের মধ্যে দিয়ে ব্যাগটা নিয়ে গেলি?? না মানে আমার মাথা কাজ করছেনা আজ জানিস গোটা স্টেশন পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছি..এমন কি ট্রেনে উঠে পর্যন্ত তল্লাশি করেছে পুলিশ....বলনা কিভাবে তুই অসাধ্য সাধন করলি??

অভয় -
 আমি আগেই জানতাম..ওই ব্যাগে এমন কিছু আছে যেটা এতো সহজে খড়গপুর নিয়ে যাওয়া যেতো না..এদিকে আবার স্টেশনে বাইরে থেকে প্রবেশ করলে পুলিশ চেকিং কিংবা স্ক্যানার এ ধরা পরার ভয় আছে..সেজন্য আমি বুদ্ধি করে অন্যা প্ল্যাটফর্ম দিয়ে ট্রেন ধরে প্রথমে স্টেশনের ভেতরে প্রবেশ করলাম।। এখন আমি চেকিং কিংবা স্ক্যানারের হাত থেকে নিরাপদ তবে..স্টেশনে যখন পুলিশ দের সকল যাত্রীদের ব্যাগ চেক করতে দেখলাম তখন আমি কাগজ কুরানি সেজে ট্রেনের উল্টোদিক দিয়ে নেমে আমার গন্তব্য স্টেশনের দিকে এগোতে লাগলাম..কারণ একমাত্র কাগজ কুরানি দের রেল আধিকারিকরা ছাড় দেয়। তো তারপরের অঙ্কটা খুবি সোজা।

আমি স্টেশনে গিয়ে ঘাটশিলা মেমো ধরে খড়গপুর স্টেশনে পৌঁছে গেলাম। মাল ডেলিভারি করলাম..তারপর চলে এলাম।


vk - কিন্তু তুইযে বলেছিলি তুই নাকি পরের ট্রেনে যাবি?তোকেতো ফোন করেছিলাম....

(অভয়ের তখন মনে পড়ে যখন তারা দুজনে ঘাটশিলা মেমো যেই স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে সেই প্ল্যাটফর্মের উদ্দেশে যাত্রা শুরু এগোচ্ছিলো..তখন vk ফোন করেছিলো অভয়কে..

ফোনে অভয়ের কাছে জিজ্ঞেস করছিলো সে ঠিক আছে কিনা, কিভাবে ট্রেনে করে খড়গপুর যাবো..তবে অভয় বুঝতে পারে ব্যাপারটা তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে..তাই ফোনে সে মিথ্যা কথা বলে আমরা অনেক দেরী করে ফেলেছি ঘাটশিলার পরের ট্রেনটা ধরে খড়গপুর যাবো)

কেন জানিনা আমার মনে হচ্ছিলো..আপনার আর আমার কথা কোনো তৃতীয় ব্যাক্তি শুনছে....নিজের নিরাপত্তার জন্য আমি মিথ্যা বলেছি.....আমি ঘাটশিলা মেমো ধরেই খড়গপুর গেছি।

vk - তা নাহয় মানলাম..কিন্তু পুলিশ তো সব ট্রেন চিরুনি তল্লাশি করেছে....নিশ্চয় ঘাটশিলা মেমো তেও পুলিশ উঠেছিলো....তো তুই সেই তল্লাশি থেকে বাঁচলি কিভাবে? আর যাকে ব্যাগটা দিলি কোনো তার সাথে সমস্যা হয়নি তো? 

এটাতো সিক্রেট বলা যাবেনা..তবে সময় আসুক বলবো..আর আমি কাউকে হাতে করে ব্যাগ দিই নিই তো..আমার এখানেও কেমন জানিনা সন্দেহ হচ্ছিলো, এইজন্য স্টেশনের বাইরে একটা টোটো দ্বার করিয়ে ওখানে আমার বন্ধুকে ব্যাগ নিয়ে পাঠালাম..ওকে আগে দিয়েই শিখিয়ে দিয়েছিলাম যে, টোটো ওয়ালাকে বলতে যে আমার এক দাদা তার বাড়ি অবধি যাবে ওর শরীর-টা ভালো না, তাই একটু কমসম করে ভাড়া ম্যানেজ করতে।   টোটোওয়ালার দাম মিটিয়ে সেখানে দাঁড়াতে, আর যেই ব্যাগের আসল কাস্টমার কে আসতে দেখবে অমনি ওখান থেকে সাইড হয়ে যাবে। 

তো আমরা স্টেশনে নেমেই ওই লোককে ফোন করলাম..আশেপাশে তাকিয়ে দেখছিলাম কে ফোনে কথা বলছিলো..আর তাকে পেও গেলাম। তো আমার বন্ধু কথামতো কাজ করলো..ওদিকে আমি ওই লোকটাকে ফোন করে বলে দিই যে স্টেশনের বাইরে একটা টোটোতে আছি..লোকটা সবশুনে যখন টোটোটাকে খুঁজে নিয়ে সেইদিকে এগোতে লাগলো তো তখন আমার বন্ধু ওখান থেকে চুপচাপ সাইডে সড়ে গেলো..আর ওই লোকটা টোটোওয়ালার সামনে যেতেই ও দূর থেকে বেশ কয়েকটা ছবি তুলে নিলো..যাতে পরে কোনো কাস্টমার অভিযোগ না জানাতে পারে।  

ব্যস এইটুকু.... 


..আমি আমার এক নম্বর কাজটা সফল করেছি..এবার দুই নম্বর কাজটা দিন..


vk - বটে..এইব্যাপার,
আমি তোকে ডেকে নেবো..
একটা পরীক্ষায় পাশ করেছিস এবার দ্বিতীয় পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত কর নিজেকে। আমার দুইজন বিশ্বস্ত কাজের লোক আবীর আর আকাশ
গত কয়েকদিন ধরে মিসিং..এই নিয়ে একটু ঝামেলায় আছি.. 
এখন যা এখান দিয়ে..আর হ্যাঁ শোন এই পয়সাটা রাখ নিজের কাছে। এটা তোর ইনাম। যা মজা কর।

(এইবলে অভয়ের পকেটে টাকা ভরে দিলো vk)

এরপর অভয় বাইরে বেড়য়ে আসে..বাইরে তার বন্ধু প্রতাপ অপেক্ষা করছিলো....

অভয়কে দেখে প্রতাপ বলে উঠলো.... 

প্রতাপ - কিরে ভেতরে কি হলো?

অভয় - সব বলছি আগে আমার সাথে একটা জায়গায় যাবি তোকে সারপ্রাইজ দেবো।।

প্রতাপ - তোকে কি না করতে পারি..চল..

(দুইজনে এগোতে লাগলো...অভয়ের গন্তব্য পথের দিকে..পথে যেতে যেতে অভয় প্রতাপ কে সব খুলে বললো..সবশুনে প্রতাপ অভয়কে বললো)

প্রতাপ - ভাই vk এর খাস দুইজন লোক নিখোঁজ..ওরা কি vk এর কাজ ছেড়ে অন্য জায়গায় পালিয়ে যায়নি তো..


অভয় - এই প্রশ্নের উত্তর তুই নিজেই পেয়ে যাবি আগে চল আমার সাথে....

প্রতাপ - যাইবল আর তাই বল আজযে আমরা পুলিশের নাকের ডগায় ছিলাম, আর পুলিশ ধরতে পারেনি আমাদের।


অভয় - হুম সৃষ্টিকর্তা সবকিছু মঙ্গলের জন্যই করে...

প্রতাপ - না মানে....কেউ কি সন্দেহ করলোনা একবার যে আমরা ড্রাইভারের কেবিনে থাকতে পারি? জিও তোর ভাগ্যেও হেব্বি সাথ দেয় তোর....নাহলে ট্রেন ড্রাইভার কে হাত করে তার সাথে গোটা রোমাঞ্চকর ট্রেন যাত্রাটা ড্রাইভার কেবিনে করা যেতো....

অভয় - ওই ড্রাইভারটা কে আমি আগে থেকেই চিনতাম....একবার উনি আমি আগে যেই গ্রামে কাজ করতাম সেই গ্রামেরই এক বাজারে বাজার করতে  গেছিলেন,বাজার করে আসার পথে.... উনি এক জায়গায় ছিনতাইকারীর হাতে পড়েন..ওনাকে দেখে মনে হচ্ছিলো উনি এখানকার লোক না।

আমি তখন বাড়ি ফিরছিলাম সাথে ছিলো আমার ৭-৮ জন বন্ধু....ব্যাস সে কি মার ছিনতাইকারীদের। শেষমেশ ছিনতাইকারীরা যখন পালিয়ে যায়।

তখন ওই লোকটি জানায় যে, সে এইগ্রামে এর আগেও এসেছে তবে রাতে আসেনি..এখানে তার স্ত্রীয়েএ বাপের বাড়ি....সন্ধ্যা বেলায় বাজার করতে এসেছিলেন..বাজার আর চায়ের নেশা...তাকে দেরী করিয়ে দেয়....যার ফলস্বরূপ তিনি ছিনতাইকারীর হাতে পড়ে....

তার উপর শীতের রাত রাস্তায় কেউ নেই....উনি কাউকে সাহায্যের জন্য চেঁচিয়ে ডাকতেও পারছিলেন না। আমরা ওনাকে বাড়িতেও পৌঁছে দিয়ে আসি....
উনি আমাদের কাছে উনাকে ছিনতাইকারীদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলেন....বিশেষ করে আমাকে বললেন....বাবু জীবনে যদি তোমার সাথে কোনোদিন ও পুনঃরায় দেখা হয় তো তোমাকে সহ তোমার সব বন্ধুদের ঋণ শোধ করে দেবো..
আর সৃষ্টিকর্তার কি কৃপা আজকেই উনার সাথে দেখা হয়ে গেলো....খালি আমাদের একটু মিথ্যা বলতে হয়েছে যে....আমরা খড়গপুর যাবো..আর আমাদের কাছে টিকিট নেই..আর উনার ডিউটি পড়েছে ওই ট্রেনে...ব্যাস...আর দেখলি তো..দুইজনকে একসাথে কেবিনে নিতে প্রথমে একটু না না করলেও পরে বললো উঠে এসো..এগুলো হলো সব ভালো কাজের ফল

প্রতাপ - তুই সত্যিই সেরা

অভয় - ঠিক আছে এখন এখান দিয়ে চল।।তোকে সারপ্রাইজটা দিই।।

দুইজনে হাঁটতে রেললাইনের ধারে একটা বাঁশ বাগানের কাছে হাজির হলো....উঁচু জায়গায় রেললাইন....লাইনের পাশ দিয়ে অনেকটা ঢালু..লাইনের দুপাশে দুটো খাল..লাইনের ডানপাশের খালটা একটু দুরে তবে..তার আগে আছে বাশবন..আর লাইনের বামপাশে কৃষি জমি ও খাল একসাথে রয়েছে।

প্রতাপ - হ্যাঁ রে অভয় এটাতো সেই জায়গা তো যেইখানে আমরা মেয়েটার লাশ এনে রেখে ছিলাম..

অভয় - হ্যাঁ ভাই....সেদিন আমরাই লাশ টাকে এখানে জঙ্গলে এনে রেখেছিলাম..


প্রতাপ - মেয়েটার মুখ দেখে খুব নিস্পাপ মনে হয়েছিলো..হ্যাঁ রে অভয়..আমরা তো ওই মেয়েটার লাশ যেখানে আছে সেইখানেই যাচ্ছি..

অভয় - হুম।

প্রতাপ - চুপচাপ বাড়ি চল আর নাহলে তুই থাক আমি গেলাম.....


অভয় - বেশী কথা না বলে চুপচাপ আই আমার সাথে তোকে একটা সারপ্রাইজ দেবো।।


প্রতাপ - তোর মাথা ঠিক আছে? একেই তো রাতের বেলায় এই জঙ্গলে এনেছিস তার উপর একটা লাশ যেখানে ফেলে রাখা আছে সেইখানে নিয়ে যাচ্ছিস তার উপর বলছিস আমাকে সারপ্রাইজ দিবি??

অভয় - দাঁড়া এবার..ওইদেখ..

প্রতাপ অভয়ের কথামতো অভয় যেখানে তাকাতে বললো সেখানে তাকিয়ে দেখলো....দুটো পুরুষ মানুষ নীচের গর্তে পরে আছে....আর সেখান থেকে ভেসে আসছে পচা গন্ধ।

প্রতাপ (নাক চেপে) - এরা কারা....এরা কারা? কেন এনেছিস এখানে?

অভয় - মনে আছে কয়েকদিন আগে আমরা রাতের বেলায় এখান থেকে কিছুটা দূরে ক্ষেতের আড্ডা মারছিলাম....রাত বেশী হওয়ার কারণে আমরা এই রেললাইন ধরে যেতে যেতে একটা মেয়ের লাশ দেখতে পেয়েছিলাম।


প্রতাপ - হ্যাঁ ওই মেয়েটাকে দেখে আমার খুব মায়া হয়েছিলো তবে আমি ভয়ও পেয়ে গেছিলাম কেউ যদি লাশের সাথে আমাদেরকে দেখে নিতো..তবে সর্বনাশ হয়ে যেত....এইজন্য তোকে বারবার তাড়া দিচ্ছিলাম ওখান থেকে দ্রুত অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য।।


অভয় - হ্যাঁ তবে আমরা শেষে এই লাশটাকে ওই সামনের জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে যাই। এবং সেখানকার এক ছোটো গর্তে ওই মেয়ের লাশটাকে ফেলে দিয়ে আসি।


প্রতাপ - তো..
তাতে কি হয়েছে?

অভয় - ভাই সেইরাতেই গভীর রাতে আমি লাশটার কাছে এসেছিলাম। কারণ ওর মুখ দেখে আমার খুব মায়া লেগেছিলো..জঙ্গলে লাশ থাকলে যদি শেয়াল কুকুর ছিঁড়ে খায় তো? আমি এসে ওই লাশ রাখা গর্তের মধ্য মাটি চাপা দিয়ে দিই..মেয়েটাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো মেয়েটা মরার আগে অনেক যন্ত্রণা ভোগ করেছে.....তাইতো মায়ার টানে আমি এখানে এসে মেয়েটার লাশ রাখা গর্তে ভরে বুজিয়ে ফেললাম।

তো আমি যখন এখান থেকে চলে যাবো আমার সামনেই দেখি একজন দাঁড়িয়ে আছে.... 

আমাকে সে দেখেই বললো - কি করছিলিস এখানে?

অভয় - আসলে আমি....আসলে আমি.....


ওই লোকটি - এতো আমতাআমতা করছিস কেন? এই লাশটাকে তুই এখানে পুঁতে দিলি.....মোবাইল টা বের কর তাড়াতাড়ি?? 


অভয় - মোবাইল কোন মোবাইল?আর আপনি কে?

ওই লোকটি - জীবনে অনেক মার্ডার করেছি আরও একটা করতে হাত কাঁপবেনা।


এই মেয়েটার লাশ যেখানে পড়েছিলো ওখানে আমার মোবাইল পড়ে যায়, আমি মোবাইল খুঁজতে খুঁজতে এখানে এসে দেখি তুই লাশটার উপর মাটি চাঁপা দিচ্ছিস....আমি বেশী সময় নষ্ট করতে ভালোবাসিনা মোবাইল-টা দে..


অভয় - প্রতাপ ভাই বিশ্বাস কর আমি ভয় পেয়ে গেছিলাম....তখনি নীচে পড়ে থাকা এক্কটা গোটা ইট তুলে ওই লোকটার মাথায় ছুঁড়ে মারি....লোকটি মাটিতে পড়ে গেলে.....আমি সেই ইটটা তুলে..লোকটাকে মেরে মেরে শেষ করে দিই....শেষে যখন আমি ওখান থেকে পালিয়ে চলে আসবো তখন দেখি ওখানে আরও একজন লোক এদিকে আসছে ফোনে কথা বলতে বলতে....সে আমাকে দেখতে পাইনি..তবে ফোনে কাকে যেন বলতে বলতে আসছিলো...

আরে আর বলিস না..বোবা মেয়েটার সাথে মজা নিয়ে যখন মেয়েটাকে মেরে রেললাইনের উপরে লাশটাকে ফেলে দিয়ে বাড়ি চলে আসি..তার দুইঘন্টা পর আমাকে আবীর ফোন করে বলে ওহ নাকি রেললাইনে মোবাইল ফেলে দিয়ে গেছে....তাইতো আবার ওর সাথে রেললাইনে এসে দেখি ওখানে লাশ ও মোবাইল কিছুই নেই, সেজন্য আবীর জঙ্গলের ভেতরে যায় কিন্তু এখনো ফিরছেনা বলে আমি নিজেই জঙ্গলের দিকে যাচ্ছি.....


বিশ্বাস কর প্রতাপ আমি আর চুপ থাকতে পারিনি....হাতের নীচে একটা ইট ছিলো তুলে ওটাকেও বিদায় দিয়ে দিলাম


এই দুটো লাশ সেই সয়তান গুলোর.....আর সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় কি জানিস??

প্রতাপ - কি?


এরা হলো vk এর খুব বিশ্বস্ত দুইজন লোক।


প্রতাপ - ভাই এ কি করেছিস তুই?
Vk জানলে তোকে তো মারবে আর সাথে আমাকেও....
আমি কালকেই এই শহর ছেড়ে অন্য জায়গাই চলে যাবো..


তুই নিজেও মরবি আর এদিকে আমাকেও মারবি।।


অভয় - তো??
এখনো তো মরে যাসনি। বাড়িতে চল মনটা খুব হাল্কা লাগছে 

প্রতাপ - হ্যাঁ ওখন তো হাল্কা লাগবেই। আমি কালকেই এই শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি।

একে তো তুই vkএর দুইজন খাস লোককে মেরেছিস আবার অন্যদিকে vk এর কাছেই কাজে গেছিস.....জানিস vk কে....


অভয় - আজ যদি তোর বোনের সাথে এই হতো যেটা কিনা এই মেয়েটির সাথে হয়েছে তখন তুই কি তার বদলা নিতিস না?

প্রতাপ চুপ করে মাটির দিকে তাকিয়ে আছে....


চুপচাপ বাড়ি চল....পরের কাজের খবর না আসা অবধি আমরা বরং vk কে কিভাবে ডাউন করা যায় সে বিষয় নিয়ে ভাবতে থাকি৷। 

অভয় আর প্রতাপ দুইজনেই এগিয়ে চললো বাড়ির দিকে....তখনি তাদের মাথার উপর থেকে রাত পাখি উড়ে গেলো....আর অস্পষ্ট মানুষ আর পাখির সম্মিলিত গলায় বলে গেলো....সাবধান,সাবধান সামনে খুব বিপদ।।


আলোচ্যে গল্পটির প্রথম পর্বটি ক্রাইম সিরিজ  ও ওয়েব সিরিজের থেকে ধারণা নিয়ে লেখা হয়েছে।
এই গল্পটি কোনো স্থান,কাল,পাত্রকে অসম্মান করার উদ্দেশ্যে নিয়ে লেখা হয়নি। আর এই ট্রেনের কনসেপ্ট-টা হাওড়া স্টেশনে প্রবেশের আগে যখন লোকাল ট্রেন গুলোকে দ্বার করিয়ে প্যাসেঞ্জার ট্রেন/এক্সপ্রেস ট্রেন গুলোকে আগে স্টেশনে নিয়ে যায়..তো কিছু লোক সিগনালের ওয়েট না করেই ট্রেন থেকে নেমে সেই প্যাসেঞ্জার কিংবা এক্সপ্রেস ট্রেন গুলোয় সিড়ীর সুবিধায় উপরে উঠে যায় আগেভাগে যাতে স্টেশনে পৌঁঁছানো যায়। আর এই স্ক্যানারের ব্যাপারটি কাকতালীয়..

তো অভয় মাঝেমধ্যে কেন অন্যমনস্ক হয়ে যায়..
আর কার দিকেই বা অভয় তাকিয়ে থাকে..সেটা জানতে হলে সাথে থাকুন..পরের পর্বে এইবিষয়ে কিছুটা রহস্য উন্মোচন করা হবে।  

প্রমাণ করতে পারবেন না গল্পের দ্বিতীয় পর্ব  - রামপুরহাট মেমো


  

অঙ্কিতা দিদি ও দিদির ছানাপোনা

বন্ধুরা সবাই কেমন আছো? অনেকদিন পর আবারো একটা গল্প নিয়ে চলে এলাম।  যেই গল্পের মুখ্য চরিত্র কাজল, আলু আর মায়াকে নিয়ে। অঙ্কিতা দিই হচ্ছে এই বাচ...